জ্বালানি সংস্থানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে-বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি
বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি সহনীয় নয়; শিগগিরই যে সহনীয় পর্যায়ে আসবে—এমন আশ্বাসও কেউ দিতে পারছে না। উদ্বেগ ও হতাশা রয়েই যাচ্ছে। কারণ, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ছাড়া অর্থনীতির চাকা সচল রাখা কঠিন, উন্নয়ন-অগ্রগতি সাধন আরও কঠিন।
বিদ্যুতের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বাড়ছে না। ফলে মোট উৎপাদন বাড়লেও ঘাটতি সব সময় থেকেই যাচ্ছে। এই ঘাটতির পরিমাণ কম নয়; পরিস্থিতিভেদে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দেড় বছরে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হয়েছে ৯০০ মেগাওয়াট। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যোগ হবে আরও ৭০০ মেগাওয়াট। তাহলে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ নিশ্চিত উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে হবে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হবে সেচ মৌসুম, ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে হবে ছয় হাজার মেগাওয়াট। গরম আসার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েই চলবে। আগামী বছর আরও ৮৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা। তা যদি হয়, তবু চাহিদা আরও বাড়ার ফলে মোট বিদ্যুৎ-ঘাটতি দেড় হাজার মেগাওয়াটই থেকে যাবে।
তবে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি মহলগুলো থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ খাতে যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হলে ২০১৩ সাল নাগাদ ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সংকটের মাত্রা ও গভীরতা বিবেচনায় নিলে এই সময়কে দীর্ঘ সময় বলা যায় না; আবার দেশের অর্থনৈতিক প্রাণস্পন্দনের ক্ষীণদশার কথা ভাবলে অনেকে বলতে পারেন, অর্থনীতিতে বাড়তি প্রাণশক্তি সঞ্চারের প্রয়োজনীয়তা এতই জরুরি হয়ে উঠেছে যে ২০১৩ সাল নাগাদ অপেক্ষার মানে হবে ব্যাপক ক্ষতি স্বীকার করা। আমরা বলি, বাস্তবতার নিরিখে নিরুপায় দশায় আশাবাদী থাকা দরকার এবং সেই আশাবাদের অনুকূলে দক্ষতার সঙ্গে সুচিন্তিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। চলমান সময়ের দৈনন্দিন চাহিদাকে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। সে জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থার সব সামর্থ্য সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগাতে হবে। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি পুরোনোগুলোর যখন-তখন বিকল হয়ে যাওয়া ঠেকাতে হবে। বেশি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে; কারণ সেগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে, রক্ষণাবেক্ষণও সুষ্ঠুভাবে করা হয় না। এ ক্ষেত্রে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে যদি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিশ্চিত করা যায়, তাহলে চলমান সংকটের কিছুটা উন্নতি সম্ভব; অন্ততপক্ষে আরও অবনতি এড়ানো যেতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি খাতে নতুন নতুন উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগগুলো যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে, সর্বোচ্চ দক্ষতা ও কারিগরি উৎকর্ষের নিশ্চয়তাসহ বাস্তবায়িত হয়, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে প্রধান সংকট জ্বালানি। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি সংস্থানের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, কয়লা উত্তোলন ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্রুত। কেননা, পর্যাপ্ত জ্বালানি ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
তবে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি মহলগুলো থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ খাতে যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হলে ২০১৩ সাল নাগাদ ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সংকটের মাত্রা ও গভীরতা বিবেচনায় নিলে এই সময়কে দীর্ঘ সময় বলা যায় না; আবার দেশের অর্থনৈতিক প্রাণস্পন্দনের ক্ষীণদশার কথা ভাবলে অনেকে বলতে পারেন, অর্থনীতিতে বাড়তি প্রাণশক্তি সঞ্চারের প্রয়োজনীয়তা এতই জরুরি হয়ে উঠেছে যে ২০১৩ সাল নাগাদ অপেক্ষার মানে হবে ব্যাপক ক্ষতি স্বীকার করা। আমরা বলি, বাস্তবতার নিরিখে নিরুপায় দশায় আশাবাদী থাকা দরকার এবং সেই আশাবাদের অনুকূলে দক্ষতার সঙ্গে সুচিন্তিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। চলমান সময়ের দৈনন্দিন চাহিদাকে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। সে জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থার সব সামর্থ্য সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগাতে হবে। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি পুরোনোগুলোর যখন-তখন বিকল হয়ে যাওয়া ঠেকাতে হবে। বেশি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে; কারণ সেগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে, রক্ষণাবেক্ষণও সুষ্ঠুভাবে করা হয় না। এ ক্ষেত্রে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে যদি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিশ্চিত করা যায়, তাহলে চলমান সংকটের কিছুটা উন্নতি সম্ভব; অন্ততপক্ষে আরও অবনতি এড়ানো যেতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি খাতে নতুন নতুন উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগগুলো যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে, সর্বোচ্চ দক্ষতা ও কারিগরি উৎকর্ষের নিশ্চয়তাসহ বাস্তবায়িত হয়, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে প্রধান সংকট জ্বালানি। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি সংস্থানের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, কয়লা উত্তোলন ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্রুত। কেননা, পর্যাপ্ত জ্বালানি ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
No comments