পাবনা প্রেস ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী by এবিএম ফজলুর রহমান
আজ ১ মে, পাবনা প্রেস ক্লাব ৫০ বছরে পা রাখছে। ১৯৬১ সালের এদিনে পাবনা শহরে পাবনা প্রেস ক্লাবের গোড়াপত্তন ঘটে। সেই থেকে অনেক স্মৃতি, নানা ইতিহাস ও গৌরবময় ঘটনার সঙ্গে পাবনা প্রেস ক্লাবের নাম জড়িয়ে রয়েছে।
সারাদেশে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য ও সাংবাদিকদের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও পাবনা প্রেস ক্লাব সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই প্রতিষ্ঠান এখনও দেশের মধ্যে অখণ্ড এবং ঐক্যের অনন্য নজির হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে রইবে।
পদ্মা-যমুনা বিধৌত এবং ইছামতি নদী তীরে গড়ে ওঠা পাবনার জনপদে সাংবাদিকতার সূত্রপাত ঘটে উনিশ শতকের প্রথম দিকে। এ অঞ্চলের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে দিকনির্দেশনায়, সৎ বস্তুনিষ্ঠ ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে এবং অসহায় নির্যাতিত মানুষের চালচিত্র নিঃশঙ্কভাবে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার ব্রত নিয়ে সর্বোপরি সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীতা অনুভব করেন। সাংবাদিকতায় লালিত এ ঐতিহ্যের ধারায় বিশ শতকের ষাটের দশকের শুরুতে তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকতা পেশার স্বীকৃতির দাবিকে সামনে রেখে পাবনা শহরে স্থাপিত হয় পাবনা প্রেস ক্লাব।
পাবনা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক 'পাক হিতৈষী'র প্রকাশক-সম্পাদক, দৈনিক আজাদ ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের পাবনা প্রতিনিধি একেএম আজিজুল হক বিএসসি ক্যালের সভাপতিত্বে তার বাসা সানভিউ ভিলায় অনুষ্ঠিত সভায় তিনিই (একেএম আজিজুল হক) পাবনা প্রেস ক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং সংবাদ প্রতিনিধি রণেশ মৈত্র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি এম আনোয়ারুল হক, বিশিষ্ট চিকিৎসক মেজর (অব.) ডা. মোফাজ্জল হোসেন, লোক শিক্ষক শহীদ মাওলানা কছিমুদ্দিন আহমেদ, ফটোগ্রাফার হিমাংশু কুমার বিশ্বাস প্রমুখ অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। বর্তমানে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্যসংখ্যা ৫৮।
প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার বছর ৮-৯ মে পাবনায় অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলন। যে সভা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সমিতি যা বর্তমানে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি হিসেবে পরিচিত। যে সম্মেলনের মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকরা পেশার স্বীকৃতি তথা রিটেইনার, লাইনেজ, পোস্টাল চার্জ, টেলিগ্রাম চার্জ, ছবির বিলসহ অন্যান্য খরচ পাওয়া শুরু করেন। পাবনা প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সেদিন সংবাদপত্রে মফস্বলে কর্মরত প্রতিনিধিদের পেশার স্বীকৃতি ঘটেছিল।
পাবনা প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর একেএম আজিজুল হক পাবনা প্রেস ক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং সংবাদ প্রতিনিধি রণেশ মৈত্র প্রথম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে এম আনোয়ারুল হক, মির্জা শামসুল ইসলাম, প্রফেসর আবদুস সাত্তার বাসু, অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, রবিউল ইসলাম রবি, অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মহিউদ্দিন, প্রফেসর বিশ্বজিত নাগ, আবদুল মতীন খান, এবিএম ফজলুর রহমান, প্রফেসর রুমি খন্দকার ও উৎপল মির্জা বিভিন্ন সময় এক বা একাধিকবার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
পাবনা প্রেস ক্লাবের অতীত ঐতিহ্য ও বিশাল ইতিহাস থাকলেও আজও পাবনা প্রেস ক্লাবের নিজস্ব ভবন হয়নি। পরিত্যক্ত সম্পত্তির ওপর গড়ে ওঠা এই ক্লাবটির শরীরে শীর্ণতা থাকলেও মর্যাদা ও আভিজাত্যে এখনও অটুট। সম্প্রতি ওই পরিত্যক্ত ভবনেই একটি অত্যাধুনিক অফিস কক্ষ, ভিআইপি মিলনায়তন, সাধারণ মিলনায়তন এবং লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই পাবনা প্রেস ক্লাব সবসময় পাবনা তথা দেশের সাংবাদিক ও মানুষের মণিকোঠায় মর্যাদার আসীনে অধিষ্ঠিত থাকবে এটা সব সদস্যের প্রত্যাশা।
পদ্মা-যমুনা বিধৌত এবং ইছামতি নদী তীরে গড়ে ওঠা পাবনার জনপদে সাংবাদিকতার সূত্রপাত ঘটে উনিশ শতকের প্রথম দিকে। এ অঞ্চলের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে দিকনির্দেশনায়, সৎ বস্তুনিষ্ঠ ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে এবং অসহায় নির্যাতিত মানুষের চালচিত্র নিঃশঙ্কভাবে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার ব্রত নিয়ে সর্বোপরি সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীতা অনুভব করেন। সাংবাদিকতায় লালিত এ ঐতিহ্যের ধারায় বিশ শতকের ষাটের দশকের শুরুতে তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকতা পেশার স্বীকৃতির দাবিকে সামনে রেখে পাবনা শহরে স্থাপিত হয় পাবনা প্রেস ক্লাব।
পাবনা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক 'পাক হিতৈষী'র প্রকাশক-সম্পাদক, দৈনিক আজাদ ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের পাবনা প্রতিনিধি একেএম আজিজুল হক বিএসসি ক্যালের সভাপতিত্বে তার বাসা সানভিউ ভিলায় অনুষ্ঠিত সভায় তিনিই (একেএম আজিজুল হক) পাবনা প্রেস ক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং সংবাদ প্রতিনিধি রণেশ মৈত্র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি এম আনোয়ারুল হক, বিশিষ্ট চিকিৎসক মেজর (অব.) ডা. মোফাজ্জল হোসেন, লোক শিক্ষক শহীদ মাওলানা কছিমুদ্দিন আহমেদ, ফটোগ্রাফার হিমাংশু কুমার বিশ্বাস প্রমুখ অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। বর্তমানে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্যসংখ্যা ৫৮।
প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার বছর ৮-৯ মে পাবনায় অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলন। যে সভা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সমিতি যা বর্তমানে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি হিসেবে পরিচিত। যে সম্মেলনের মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকরা পেশার স্বীকৃতি তথা রিটেইনার, লাইনেজ, পোস্টাল চার্জ, টেলিগ্রাম চার্জ, ছবির বিলসহ অন্যান্য খরচ পাওয়া শুরু করেন। পাবনা প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সেদিন সংবাদপত্রে মফস্বলে কর্মরত প্রতিনিধিদের পেশার স্বীকৃতি ঘটেছিল।
পাবনা প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর একেএম আজিজুল হক পাবনা প্রেস ক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং সংবাদ প্রতিনিধি রণেশ মৈত্র প্রথম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে এম আনোয়ারুল হক, মির্জা শামসুল ইসলাম, প্রফেসর আবদুস সাত্তার বাসু, অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, রবিউল ইসলাম রবি, অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মহিউদ্দিন, প্রফেসর বিশ্বজিত নাগ, আবদুল মতীন খান, এবিএম ফজলুর রহমান, প্রফেসর রুমি খন্দকার ও উৎপল মির্জা বিভিন্ন সময় এক বা একাধিকবার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
পাবনা প্রেস ক্লাবের অতীত ঐতিহ্য ও বিশাল ইতিহাস থাকলেও আজও পাবনা প্রেস ক্লাবের নিজস্ব ভবন হয়নি। পরিত্যক্ত সম্পত্তির ওপর গড়ে ওঠা এই ক্লাবটির শরীরে শীর্ণতা থাকলেও মর্যাদা ও আভিজাত্যে এখনও অটুট। সম্প্রতি ওই পরিত্যক্ত ভবনেই একটি অত্যাধুনিক অফিস কক্ষ, ভিআইপি মিলনায়তন, সাধারণ মিলনায়তন এবং লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই পাবনা প্রেস ক্লাব সবসময় পাবনা তথা দেশের সাংবাদিক ও মানুষের মণিকোঠায় মর্যাদার আসীনে অধিষ্ঠিত থাকবে এটা সব সদস্যের প্রত্যাশা।
No comments