লাদেনের মৃত্যু পাকিস্তানকে তাড়া করে ফিরবে by সাইমন টিসুডাল
ইসলামাবাদ থেকে ৩৫ মাইল দূরে একটি কম্পাউন্ডে বিন লাদেনকে পাওয়া যাওয়ায় পাকিস্তান ও আইএসআই বিপজ্জনক অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে। পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন থেকেই লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত নয় বলে জানিয়ে আসছিল।
বিলাসবহুল এক কম্পাউন্ডে তাকে পাওয়া যাওয়ার ঘটনাটি নিঃসন্দেহে পাকিস্তান সরকারের জন্য চরম লজ্জার। এ এলাকাটিতে ইসলামাবাদ থেকে গাড়ি চালিয়ে খুব অল্প সময়েই পেঁৗছা যায়।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি থেকে নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা পর্যন্ত সবাই একবাক্যে আল কায়দা প্রধান পাকিস্তানে নেই বলে দাবি করে আসছিলেন। অন্য কোথাও বিশেষ করে আফগানিস্তানে লাদেন লুকিয়ে থাকতে পারে এমন ইঙ্গিতও তারা দিয়ে আসছিলেন। আসলে ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তান একই ধরনের দাবি করে আসছিল। বস্তুত পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের উৎসস্থল নয় ও ইসলাম অনুপ্রাণিত সন্ত্রাসবাদের স্প্রিংবোর্ড নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বলি_ এটা প্রমাণের জন্যই এ অস্বীকৃতি জানানোকে তারা সরকারি নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, পাকিস্তানের এই চোখ-কান বুজে চলার অবস্থা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের বিবাদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এদিকে আন্তঃসীমান্ত বরাবর চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান হামলা, লাহোরে এক সিআইএ কন্ট্রাক্টরকে গ্রেফতার করা এবং তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যর্থতা নিয়ে পাকিস্তানি সমালোচনা প্রচণ্ড বিতণ্ডা সৃষ্টি করে।
তবে এখন যা ঘটছে সে তুলনায় ওগুলো কিছুই নয়। সরকারিভাবে অস্বীকৃতি হিংস্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবেলায় পাকিস্তানের পদক্ষেপকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে আল কায়দার সংযোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়। ৯/১১-এর পর থেকে এ পর্যন্ত খোদ পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলায় হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে। এ সংখ্যাটা একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সম্মিলিত হতাহতের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
এ প্রেক্ষাপটে এবং মার্কিন ও ব্রিটিশ লক্ষ্যবস্তুর ওপর সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলা সম্পর্কে পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের ভবিষ্যদ্বাণী বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, এ ধরনের হামলা পাকিস্তানিরাই চালাতে পারে এবং হামলাকারীদের দলে আরও থাকতে পারে আফগানিরা। মুসলিম বিশ্বে কারও কারও কাছে নিহত ওসামা বিন লাদেন একজন মহাপুরুষ। তারা সম্ভবত ওসামার রক্তের বদলা নিতে চাইবে।
নিশ্চিতভাবেই আমেরিকান বিশেষ বাহিনীর হামলার আগে এ সম্পর্কে পাকিস্তান সরকারকে কিছু জানানো হয়নি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এ ধরনের স্পর্শকাতর তথ্য বিনিময়ে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর কর্মকর্তাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেনি।
ইসলামাবাদের ৩৫ মাইল উত্তরে একেবারে অস্বাভাবিক ও দুর্ভেদ্য করে এবোটাবাদে ব্যয়বহুলভাবে নির্মিত কম্পাউন্ড এবং তাতে বসবাসকারী অতিমূল্যবান ব্যক্তিটির অবস্থান সম্পর্কে আইএসআই অথবা এর বিভিন্ন শাখা বা এজেন্ট ও সোর্স আদৌ কিছু জানত কি-না_ এ নিয়ে নির্ঘাত প্রশ্ন উঠবে। তারা যদি এ ব্যাপারে কিছু আঁচ করে থাকতে পারে তাহলে তারা তা তদন্ত করে দেখল না কেন? তাহলে কি তারা এ বিষয়টি ইচ্ছাকৃতভাবেই এড়িয়ে গেছে?
এ বিষয়ে আগামী দিনগুলোতে আরও ক্ষতিকারক যে সন্দেহটি দেখা দেবে তাহলো_ আইএসআইর মধ্যে যারা হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত তারা লাদেন ও এবোটাবাদের কম্পাউন্ডে তার অবস্থান সম্পর্কে জানত। তারপরও তাদের এই নিশ্চুপ থাকার অর্থ হলো লাদেনকে কার্যকরভাবে নিরাপত্তা দেওয়া।
পাকিস্তান সরকার অবশ্য এ ধরনের সন্দেহকে জোরের সঙ্গেই অস্বীকার করবে। আইএসআইর ওপর পাকিস্তান সরকারের ক্ষীণ নিয়ন্ত্রণ এবং যে সংস্থাটিকে কখনও কখনও রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র বলা হয়, তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানত না, তা বিশ্বাস করানো কঠিন।
মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বললেন, তারা যখন কম্পাউন্ডটি দেখেন তখন এর অসাধারণত্ব দেখে তাদের মনে ধাক্কা লেগেছিল। বিশাল প্লটের ওপর নির্মিত এই বাড়িটি আশপাশের বাড়িগুলো থেকে আটগুণ বড় এবং এটি ২০০৫ সালে যখন নির্মাণ করা হয় তখন এটি নির্জন এলাকা ছিল। বাড়িটির সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এর বাইরের দেয়াল ছিল ১২ থেকে ১৮ ফুট উঁচু এবং তার ওপর কাঁটাতারের বেড়া ঘেরা এবং ভেতরের দিকে আবার দেয়াল ছিল। মধ্যযুগের সংরক্ষিত বাড়ির মতো এর দুটি নিরাপত্তা গেট ভেতরে ঢোকাকে নিয়ন্ত্রণ করত। তিনতলা ভবনটির বাইরের দিকে মুখ করা সামান্য কয়েকটি জানালা ছিল। চত্বরযুক্ত ও সারিবদ্ধভাবে বানানো ওই ভবনে সাত ফুটের একটি গোপনীয় দেয়ালও ছিল।
পাকিস্তানকে এখন কেবল আমেরিকানদের জোরালো প্রতিক্রিয়ার মুখেই পড়তে হবে না। নিজ দেশের জঙ্গিদের কোপানলেও পড়তে হবে তাদের। তাছাড়া গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানে সংঘর্ষ তীব্র হলে তা পাকিস্তানের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
নতুন করে দেখা দেওয়া গোলযোগ বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। সেখানে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালায় এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাবি জঙ্গিদের এর সঙ্গে জড়িত হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ভারত এ বিষয়টি ত্বরিত চিহ্নিত করে থাকবে। নয়াদিলি্লতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সময়ক্ষেপণ না করে বলে দেয়, পাকিস্তানে লাদেনকে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা প্রমাণ করেছে, দেশটি বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর অভয়ারণ্য।
বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড মানুষটি নিহত হওয়ার ঘটনায় লন্ডন ও দিলি্লর মতো ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কেও স্বস্তি দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু যখন তারা দেখে, লাদেন পাকিস্তানের কোনো দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গেড়ে থাকেনি, তিনি দিব্যি পাকিস্তানিদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই নিরুপদ্রবে এতদিন কাটিয়েছে জামাই আদরে, তখন তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্রোধ সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। আর তখন স্বস্তি প্রচণ্ড ক্রোধে ঢাকা পড়ে যায়।
গার্ডিয়ান থেকে ভাষান্তর
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি থেকে নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা পর্যন্ত সবাই একবাক্যে আল কায়দা প্রধান পাকিস্তানে নেই বলে দাবি করে আসছিলেন। অন্য কোথাও বিশেষ করে আফগানিস্তানে লাদেন লুকিয়ে থাকতে পারে এমন ইঙ্গিতও তারা দিয়ে আসছিলেন। আসলে ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তান একই ধরনের দাবি করে আসছিল। বস্তুত পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের উৎসস্থল নয় ও ইসলাম অনুপ্রাণিত সন্ত্রাসবাদের স্প্রিংবোর্ড নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বলি_ এটা প্রমাণের জন্যই এ অস্বীকৃতি জানানোকে তারা সরকারি নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, পাকিস্তানের এই চোখ-কান বুজে চলার অবস্থা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের বিবাদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এদিকে আন্তঃসীমান্ত বরাবর চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান হামলা, লাহোরে এক সিআইএ কন্ট্রাক্টরকে গ্রেফতার করা এবং তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যর্থতা নিয়ে পাকিস্তানি সমালোচনা প্রচণ্ড বিতণ্ডা সৃষ্টি করে।
তবে এখন যা ঘটছে সে তুলনায় ওগুলো কিছুই নয়। সরকারিভাবে অস্বীকৃতি হিংস্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবেলায় পাকিস্তানের পদক্ষেপকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে আল কায়দার সংযোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়। ৯/১১-এর পর থেকে এ পর্যন্ত খোদ পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলায় হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে। এ সংখ্যাটা একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সম্মিলিত হতাহতের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
এ প্রেক্ষাপটে এবং মার্কিন ও ব্রিটিশ লক্ষ্যবস্তুর ওপর সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলা সম্পর্কে পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের ভবিষ্যদ্বাণী বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, এ ধরনের হামলা পাকিস্তানিরাই চালাতে পারে এবং হামলাকারীদের দলে আরও থাকতে পারে আফগানিরা। মুসলিম বিশ্বে কারও কারও কাছে নিহত ওসামা বিন লাদেন একজন মহাপুরুষ। তারা সম্ভবত ওসামার রক্তের বদলা নিতে চাইবে।
নিশ্চিতভাবেই আমেরিকান বিশেষ বাহিনীর হামলার আগে এ সম্পর্কে পাকিস্তান সরকারকে কিছু জানানো হয়নি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এ ধরনের স্পর্শকাতর তথ্য বিনিময়ে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর কর্মকর্তাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেনি।
ইসলামাবাদের ৩৫ মাইল উত্তরে একেবারে অস্বাভাবিক ও দুর্ভেদ্য করে এবোটাবাদে ব্যয়বহুলভাবে নির্মিত কম্পাউন্ড এবং তাতে বসবাসকারী অতিমূল্যবান ব্যক্তিটির অবস্থান সম্পর্কে আইএসআই অথবা এর বিভিন্ন শাখা বা এজেন্ট ও সোর্স আদৌ কিছু জানত কি-না_ এ নিয়ে নির্ঘাত প্রশ্ন উঠবে। তারা যদি এ ব্যাপারে কিছু আঁচ করে থাকতে পারে তাহলে তারা তা তদন্ত করে দেখল না কেন? তাহলে কি তারা এ বিষয়টি ইচ্ছাকৃতভাবেই এড়িয়ে গেছে?
এ বিষয়ে আগামী দিনগুলোতে আরও ক্ষতিকারক যে সন্দেহটি দেখা দেবে তাহলো_ আইএসআইর মধ্যে যারা হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত তারা লাদেন ও এবোটাবাদের কম্পাউন্ডে তার অবস্থান সম্পর্কে জানত। তারপরও তাদের এই নিশ্চুপ থাকার অর্থ হলো লাদেনকে কার্যকরভাবে নিরাপত্তা দেওয়া।
পাকিস্তান সরকার অবশ্য এ ধরনের সন্দেহকে জোরের সঙ্গেই অস্বীকার করবে। আইএসআইর ওপর পাকিস্তান সরকারের ক্ষীণ নিয়ন্ত্রণ এবং যে সংস্থাটিকে কখনও কখনও রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র বলা হয়, তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানত না, তা বিশ্বাস করানো কঠিন।
মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বললেন, তারা যখন কম্পাউন্ডটি দেখেন তখন এর অসাধারণত্ব দেখে তাদের মনে ধাক্কা লেগেছিল। বিশাল প্লটের ওপর নির্মিত এই বাড়িটি আশপাশের বাড়িগুলো থেকে আটগুণ বড় এবং এটি ২০০৫ সালে যখন নির্মাণ করা হয় তখন এটি নির্জন এলাকা ছিল। বাড়িটির সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এর বাইরের দেয়াল ছিল ১২ থেকে ১৮ ফুট উঁচু এবং তার ওপর কাঁটাতারের বেড়া ঘেরা এবং ভেতরের দিকে আবার দেয়াল ছিল। মধ্যযুগের সংরক্ষিত বাড়ির মতো এর দুটি নিরাপত্তা গেট ভেতরে ঢোকাকে নিয়ন্ত্রণ করত। তিনতলা ভবনটির বাইরের দিকে মুখ করা সামান্য কয়েকটি জানালা ছিল। চত্বরযুক্ত ও সারিবদ্ধভাবে বানানো ওই ভবনে সাত ফুটের একটি গোপনীয় দেয়ালও ছিল।
পাকিস্তানকে এখন কেবল আমেরিকানদের জোরালো প্রতিক্রিয়ার মুখেই পড়তে হবে না। নিজ দেশের জঙ্গিদের কোপানলেও পড়তে হবে তাদের। তাছাড়া গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানে সংঘর্ষ তীব্র হলে তা পাকিস্তানের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
নতুন করে দেখা দেওয়া গোলযোগ বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। সেখানে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালায় এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাবি জঙ্গিদের এর সঙ্গে জড়িত হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ভারত এ বিষয়টি ত্বরিত চিহ্নিত করে থাকবে। নয়াদিলি্লতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সময়ক্ষেপণ না করে বলে দেয়, পাকিস্তানে লাদেনকে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা প্রমাণ করেছে, দেশটি বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর অভয়ারণ্য।
বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড মানুষটি নিহত হওয়ার ঘটনায় লন্ডন ও দিলি্লর মতো ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কেও স্বস্তি দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু যখন তারা দেখে, লাদেন পাকিস্তানের কোনো দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গেড়ে থাকেনি, তিনি দিব্যি পাকিস্তানিদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই নিরুপদ্রবে এতদিন কাটিয়েছে জামাই আদরে, তখন তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্রোধ সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। আর তখন স্বস্তি প্রচণ্ড ক্রোধে ঢাকা পড়ে যায়।
গার্ডিয়ান থেকে ভাষান্তর
No comments