নিশ্চিত হোক স্বাস্থ্যসেবা
স্বাধীনতার চার দশক পেরুলেও স্বাস্থ্যসেবা এখন পর্যন্ত সবার জন্য নিশ্চিত করা যায়নি। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পেঁৗছে দেওয়া যায়নি স্বাস্থ্যসেবা। এক সময় চিকিৎসকের সংকট ছিল। বর্তমানে আমাদের নগরমুখী মানসিকতা উচ্চশিক্ষিত মহলকে নগরকেন্দ্রিক করে ফেলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাণিজ্যিক মানসিকতা।
এসবের মিলিত ফল দাঁড়াচ্ছে এই যে, আমাদের দেশের চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ গ্রামমুখী হতে চান না। এ কারণে পল্লী এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আমরা দেখছি, শহরাঞ্চলে বড় বড় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল গড়ে উঠছে। সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের বা দূর-দূরান্তের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না। সে সব হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হলেও তাঁরা সেখানে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। বদলি করা হলে অনেকেই নানা রকম প্রভাব খাটিয়ে বদলি বাতিল করাতে সক্ষম হন। কখনো আবার সেখান থেকে প্রেষণে বদলি হয়ে শহরে থেকে যান। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে ঢাকার বড় হাসপাতালগুলোতেও অত্যধিক দলীয় তৎপরতার কারণে চিকিৎসাসেবার মান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
চিকিৎসাসেবা বা চিকিৎসাব্যবস্থার যখন এই হাল, তখন আবার সাবধানবাণী উচ্চারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। এমন সাবধানবাণী তিনি এর আগেও উচ্চারণ করেছেন। চিকিৎসকদের গ্রামে যেতে হবে, গ্রামের মানুষের চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করতে হবে_এমন কথা বারবার বলেছেন তিনি। কিন্তু দলের ব্র্যাকেটবন্দি চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রীর সেই সাবধানবাণীতে খুব একটা কর্ণপাত করছেন বলে মনে হয় না। চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রীর সাবধানবাণী আমলে নিলে তাঁকে আবারও একই কথা বোধ হয় বলতে হতো না। এলাকায় চিকিৎসক না থাকলে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যখন চিকিৎসকদের গ্রামে যাওয়ার জন্য বারবার তাগিদ দিচ্ছেন, তখন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার বিবর্ণ চিত্র নিয়ে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেশের স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশাই তুলে ধরে সবার সামনে। ৩৭৫ শয্যার এই হাসপাতালটিতে আধুনিক সব ব্যবস্থাই থাকার কথা। কিন্তু এখানে আসা রোগীদের সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। আছে দালালদের উপদ্রব। হাসপাতালের চিকিৎসকরা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে উল্লেখ করেছেন কেমন করে রোগীরা প্রতারিত হচ্ছেন দালালদের হাতে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বাণিজ্যিক মানসিকতা বাদ দিয়ে সেবার মানসিকতা অর্জন করতে না পারলে এ পেশার মান যেমন উন্নত হবে না, তেমনি নিশ্চিত করা যাবে না স্বাস্থ্যসেবা। গ্রামের মানুষের কাছে পেঁৗছে দেওয়া যাবে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। কেবল তখনই সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চিকিৎসাসেবা বা চিকিৎসাব্যবস্থার যখন এই হাল, তখন আবার সাবধানবাণী উচ্চারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। এমন সাবধানবাণী তিনি এর আগেও উচ্চারণ করেছেন। চিকিৎসকদের গ্রামে যেতে হবে, গ্রামের মানুষের চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করতে হবে_এমন কথা বারবার বলেছেন তিনি। কিন্তু দলের ব্র্যাকেটবন্দি চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রীর সেই সাবধানবাণীতে খুব একটা কর্ণপাত করছেন বলে মনে হয় না। চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রীর সাবধানবাণী আমলে নিলে তাঁকে আবারও একই কথা বোধ হয় বলতে হতো না। এলাকায় চিকিৎসক না থাকলে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যখন চিকিৎসকদের গ্রামে যাওয়ার জন্য বারবার তাগিদ দিচ্ছেন, তখন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার বিবর্ণ চিত্র নিয়ে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেশের স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশাই তুলে ধরে সবার সামনে। ৩৭৫ শয্যার এই হাসপাতালটিতে আধুনিক সব ব্যবস্থাই থাকার কথা। কিন্তু এখানে আসা রোগীদের সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। আছে দালালদের উপদ্রব। হাসপাতালের চিকিৎসকরা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে উল্লেখ করেছেন কেমন করে রোগীরা প্রতারিত হচ্ছেন দালালদের হাতে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বাণিজ্যিক মানসিকতা বাদ দিয়ে সেবার মানসিকতা অর্জন করতে না পারলে এ পেশার মান যেমন উন্নত হবে না, তেমনি নিশ্চিত করা যাবে না স্বাস্থ্যসেবা। গ্রামের মানুষের কাছে পেঁৗছে দেওয়া যাবে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। কেবল তখনই সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
No comments