সওজের টেন্ডার নিয়ে সহিংসতা-সন্ত্রাসীদের হাতে ছিল ৫০ অস্ত্র, শতাধিক গুলি by রেজোয়ান বিশ্বাস
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের দরপত্র নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে হামলার সময় আনুমানিক ৫০টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও শতাধিক গুলি ছিল সন্ত্রাসীদের হাতে। সওজের অফিস সহকারী ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার কামাল উদ্দিন মূলত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের দলনেতা। শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের সহযোগী সন্ত্রাসীরা ওই হামলায় জড়িত।
হামলার সময় একটি প্রাইভেট কার ও কমপক্ষে ১০টি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা। সড়ক ভবনে সশস্ত্র হামলার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
র্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সড়ক ভবনে হামলাকারী সওজের অফিস সহকারী ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার কামাল প্রচুর অবৈধ অস্ত্রের মালিক। শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিককে সঙ্গে নিয়ে সে সড়ক ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করত। হামলার সময় বিভিন্ন ধরনের কমপক্ষে ৫০টি অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে ছিল। এতগুলো অবৈধ অস্ত্র কোনো টেন্ডারবাজির ঘটনায় এর আগে কখনো ব্যবহৃত হয়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, কোটি কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের জন্যই এ হামলার ঘটনা ঘটে। কামাল ও তার সহযোগীরা ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে সড়ক ভবনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা অনেক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপপরিচালক (নিরাপত্তা) চৌধুরী রুহুল আমিন বলেন, 'সড়ক ভবনে হামলাকারী কামাল ও তার সহযোগীরা ঘটনার সময় কমপক্ষে ৫০টি গুলি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার আগে সন্ত্রাসীরা টুটুল নামে একজন ঠিকাদারের মোবাইল ফোনে প্রথমে একটি মেসেজ পাঠায়। এরপর ওই ঠিকাদার মেসেজটি আমার কাছে পাঠিয়ে দেন। আমি মেসেজটি বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটে পাই। এরপর গেটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু এর মধ্যেই সন্ত্রাসীরা সড়ক ভবনে ঢুকে পড়ে। আর সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলির মুখে নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি।'
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলার সময় কামালের সঙ্গে রফিক, বজলু, ফজলু, কালামসহ আরো অনেক সন্ত্রাসী ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ওসি বলেন, কামাল মূলত একজন 'টেন্ডারবাজ' সন্ত্রাসী। নিজেকে ভালো প্রমাণ করতেই মূলত সে চাকরি করে। তার আসল উদ্দেশ্য সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে সড়ক ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ওসি বলেন, 'ঘটনার সময় সন্ত্রাসীদের কাছে অনেক অস্ত্র ছিল। হামলার আগে মোবাইল ফোনে প্রতিপক্ষকে মেসেজ পাঠিয়ে সন্ত্রাসীরা জানিয়ে দেয় তারা হামলা চালাবে। এরপর বিষয়টি আমাকেও জানানো হয়। ফোর্স প্রস্তুত করে গাড়িতে উঠে সেখানে পৌঁছাতে আমার সময় লাগে ১০ মিনিট। তবে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে অপারেশন সাকসেস করে পালিয়ে যায়। ওই অপারেশনে একটি প্রাইভেট কারসহ মোট ১০টি মোটরসাইকেল ছিল। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল ঘটনার সময় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সেটি জব্দ করা হয়েছে।'
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি বলেন, সড়ক ভবনে হামলাকারীরা পেশাদার সন্ত্রাসী। ঘটনার দিন ওই সন্ত্রাসীদের কারো কারো হাতে দুটি করে পিস্তল ও রিভলবার ছিল। এ ছাড়া রামদা, হাঁসুয়াসহ ধারালো অস্ত্র ছিল। ঘটনার পর চারটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে। অনেক সন্ত্রাসীর নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা তেজগাঁও এলাকার সন্ত্রাসী। তাদের ধরতে সারা দেশে অভিযান চলছে। এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে পরে অন্য কাজে ব্যবহার হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদারদের একটি সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সড়ক ভবনে হামলা যে হতে পারে তা আহত শামীম আগেই জানত। কিন্তু তার ধারণা ছিল না কামাল তাদের ওপর এত বড় মাপের হামলা চালাবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী কামাল ঘটনার আগে থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আশিক সহযোগিতা করতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রফিককে কাজে লাগায়। রফিক নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়ীতে কামালের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে। এরপর সড়ক ভবনে হামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়। হামলার আগে শামীম ও তার সহযোগীদের মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে বলে, 'আমরা আসছি, তোমরা প্রস্তুত থাকো।' এসএমএস পাঠানোর ১০ মিনিটের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে সড়ক ভবনে ঢোকে কামাল ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। এ সময় গেটে থাকা আনসার ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র অবস্থানের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। তাঁরা পালিয়ে বিভিন্ন ভবনের ভেতরে অবস্থান নেন। হামলাকারীরা সড়ক ভবনে গেট পার হওয়ার পরপরই প্রতিপক্ষ শামীম ও সেন্টুকে খুঁজতে থাকে। এরপর সামনে যাকে পায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। মুহূর্তে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে সড়ক ভবনের দুটি গেট দিয়ে বের হয়ে যায়। হামলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে শামীমের গায়ে তিনটি ও জাকিরের গায়ে দুটি গুলি লাগে। অন্যদের গায়ে লাগে একটি করে গুলি। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাজী মাসুম নামের একজন ঠিকাদার আহত হন।
এদিকে তদন্তের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির প্রধান কাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঘটনার দ্রুত তদন্ত চলছে। ঘটনার পর নোটিশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে কেউ তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনা জানায়নি। গত মঙ্গলবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদেরও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কাছ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। আগামী কর্মদিবসের মধ্যে (রবিবার) তদন্তকাজ শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হতে পারে।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আবদুল জলিল বলেন, সহিংসতার ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কামাল উদ্দিনসহ অন্য আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
র্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সড়ক ভবনে হামলাকারী সওজের অফিস সহকারী ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার কামাল প্রচুর অবৈধ অস্ত্রের মালিক। শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিককে সঙ্গে নিয়ে সে সড়ক ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করত। হামলার সময় বিভিন্ন ধরনের কমপক্ষে ৫০টি অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে ছিল। এতগুলো অবৈধ অস্ত্র কোনো টেন্ডারবাজির ঘটনায় এর আগে কখনো ব্যবহৃত হয়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, কোটি কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের জন্যই এ হামলার ঘটনা ঘটে। কামাল ও তার সহযোগীরা ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে সড়ক ভবনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা অনেক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপপরিচালক (নিরাপত্তা) চৌধুরী রুহুল আমিন বলেন, 'সড়ক ভবনে হামলাকারী কামাল ও তার সহযোগীরা ঘটনার সময় কমপক্ষে ৫০টি গুলি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার আগে সন্ত্রাসীরা টুটুল নামে একজন ঠিকাদারের মোবাইল ফোনে প্রথমে একটি মেসেজ পাঠায়। এরপর ওই ঠিকাদার মেসেজটি আমার কাছে পাঠিয়ে দেন। আমি মেসেজটি বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটে পাই। এরপর গেটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু এর মধ্যেই সন্ত্রাসীরা সড়ক ভবনে ঢুকে পড়ে। আর সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলির মুখে নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি।'
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলার সময় কামালের সঙ্গে রফিক, বজলু, ফজলু, কালামসহ আরো অনেক সন্ত্রাসী ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ওসি বলেন, কামাল মূলত একজন 'টেন্ডারবাজ' সন্ত্রাসী। নিজেকে ভালো প্রমাণ করতেই মূলত সে চাকরি করে। তার আসল উদ্দেশ্য সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে সড়ক ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ওসি বলেন, 'ঘটনার সময় সন্ত্রাসীদের কাছে অনেক অস্ত্র ছিল। হামলার আগে মোবাইল ফোনে প্রতিপক্ষকে মেসেজ পাঠিয়ে সন্ত্রাসীরা জানিয়ে দেয় তারা হামলা চালাবে। এরপর বিষয়টি আমাকেও জানানো হয়। ফোর্স প্রস্তুত করে গাড়িতে উঠে সেখানে পৌঁছাতে আমার সময় লাগে ১০ মিনিট। তবে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে অপারেশন সাকসেস করে পালিয়ে যায়। ওই অপারেশনে একটি প্রাইভেট কারসহ মোট ১০টি মোটরসাইকেল ছিল। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল ঘটনার সময় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সেটি জব্দ করা হয়েছে।'
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি বলেন, সড়ক ভবনে হামলাকারীরা পেশাদার সন্ত্রাসী। ঘটনার দিন ওই সন্ত্রাসীদের কারো কারো হাতে দুটি করে পিস্তল ও রিভলবার ছিল। এ ছাড়া রামদা, হাঁসুয়াসহ ধারালো অস্ত্র ছিল। ঘটনার পর চারটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে। অনেক সন্ত্রাসীর নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা তেজগাঁও এলাকার সন্ত্রাসী। তাদের ধরতে সারা দেশে অভিযান চলছে। এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে পরে অন্য কাজে ব্যবহার হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদারদের একটি সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সড়ক ভবনে হামলা যে হতে পারে তা আহত শামীম আগেই জানত। কিন্তু তার ধারণা ছিল না কামাল তাদের ওপর এত বড় মাপের হামলা চালাবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী কামাল ঘটনার আগে থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আশিক সহযোগিতা করতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রফিককে কাজে লাগায়। রফিক নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়ীতে কামালের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে। এরপর সড়ক ভবনে হামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়। হামলার আগে শামীম ও তার সহযোগীদের মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে বলে, 'আমরা আসছি, তোমরা প্রস্তুত থাকো।' এসএমএস পাঠানোর ১০ মিনিটের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে সড়ক ভবনে ঢোকে কামাল ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। এ সময় গেটে থাকা আনসার ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র অবস্থানের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। তাঁরা পালিয়ে বিভিন্ন ভবনের ভেতরে অবস্থান নেন। হামলাকারীরা সড়ক ভবনে গেট পার হওয়ার পরপরই প্রতিপক্ষ শামীম ও সেন্টুকে খুঁজতে থাকে। এরপর সামনে যাকে পায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। মুহূর্তে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে সড়ক ভবনের দুটি গেট দিয়ে বের হয়ে যায়। হামলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে শামীমের গায়ে তিনটি ও জাকিরের গায়ে দুটি গুলি লাগে। অন্যদের গায়ে লাগে একটি করে গুলি। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাজী মাসুম নামের একজন ঠিকাদার আহত হন।
এদিকে তদন্তের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির প্রধান কাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঘটনার দ্রুত তদন্ত চলছে। ঘটনার পর নোটিশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে কেউ তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনা জানায়নি। গত মঙ্গলবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদেরও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কাছ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। আগামী কর্মদিবসের মধ্যে (রবিবার) তদন্তকাজ শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হতে পারে।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আবদুল জলিল বলেন, সহিংসতার ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কামাল উদ্দিনসহ অন্য আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
No comments