পবিত্র কোরআনের আলো-নবী (সা.)-এর পক্ষে কোনো কিছু খেয়ানত করা অসম্ভব
১৬০. ইন ইয়ানসুরকুমুল্লাহু ফালা-গা-লিবা লাকুম; ওয়া ইয়াখ্যুলকুম ফামান যাল্লাযী ইয়ানসুরুকুম মিম্ বা'দিহী; ওয়া আ'লাল্লাহি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মু'মিনূন। ১৬১. ওয়ামা- কা-না লিনাবিয়্যিন আন ইয়াগুল্লা; ওয়া মান ইয়াগলুল ইয়া'তি বিমা- গাল্লা ইয়াওমাল কি্বয়ামাতি; ছুম্মা তুওয়াফ্ফা- কুল্লু নাফছিম্ মা- কাছাবাত ওয়াহুম লা ইউয্লামূন।
[সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬০-১৬১]
অনুবাদ : ১৬০. যদি আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সাহায্য করেন তবে কোনো শক্তিই তোমাদের পরাজিত করতে পারবে না, আর তিনিই যদি তোমাদের পরিত্যাগ করেন তাহলে এমন কোন শক্তি আছে যে এর পরও তোমাদের সাহায্য করতে পারে! কাজেই ইমানদারদের উচিত আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা।
১৬১. নবীর পক্ষে কোনো কিছু খেয়ানত করা সম্ভব নয়। কেউ যদি কিছু খেয়ানত করে তবে কেয়ামতের দিন সে ব্যক্তিকে সেই বস্তুসহ আল্লাহর দরবারে হাজির হতে হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকেই তার অর্জিত প্রাপ্য সঠিকভাবে আদায় করে দেওয়া হবে, তাদের কারো ওপর অবিচার করা হবে না।
ব্যাখ্যা : ১৬০ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, মানুষের জন্য সরল সঠিক পথের রূপরেখা। সে পথ হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ, আল্লাহর ওপর ভরসা করার পথ। আল্লাহ যাদের সাহায্য করেন তাদের পরাজিত করার কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই। অপরদিকে আল্লাহ যাদের পরিত্যাগ করেন তাদের সাহায্য করার কোনো শক্তি জগতে নেই। সুতরাং মোমেনদের উচিত আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা।
১৬১ আয়াতে রাসুলের পবিত্র জীবনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসুল (সা.) কখনো খেয়ানতকারী হতে পারেন না। খেয়ানত অত্যন্ত বড় ধরনের পাপ। আমানতের খেয়ানত যে করবে তাকে কাল হাশরের ময়দানে সেই খেয়ানত করা বস্তু নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হতে হবে। এ আয়াতটির শানেনুজুল এ রকম : বদরের যুদ্ধে প্রাপ্ত গনিমতের মালের মধ্য থেকে একটি চাদর হারিয়ে যায়। সেই চাদরটির ব্যাপারে খোঁজাখুঁজি হচ্ছিল। গণিমতের মালের স্তূপ থেকে পছন্দমতো যেকোনো কিছু উঠিয়ে নেওয়ার অধিকার রাসুলের (সা.) আছে। এ কথা ভেবে কোনো একজন সরলপ্রাণ মুসলমান অথবা রাসুলের ওপর আস্থা নেই এমন কোনো মুনাফেক বলল, হয়তো এটা আল্লাহর রাসুল (সা.) নিয়েছেন। সেই ব্যক্তির ধারণা যে ভ্রান্ত ছিল এটাই এই আয়াতের মাধ্যমে বলা হয়েছে। গণিমতের মাল থেকে যা খুশি নেওয়ার অধিকার রাসুলের আছে, কিন্তু রাসুল (সা.) গোপনে বা অন্যদের না জানিয়ে এটা নিতে পারেন না, তিনি তা নেনওনি। এ ধরনের কাজ করা রাসুলের স্বভাবসুলভ নয়। আসলে এ ধরনের কাজ করা খেয়ানত তুল্য। রাসুলের স্বভাব এ ধরনের আচরণ থেকে পবিত্র। এই আয়াতের মর্ম থেকে বোঝা যায়, আমানতে খেয়ানত করা অত্যন্ত কঠিন অপরাধের কাজ। এ কাজ থেকে সবাইকে সতর্কভাবে বিরত থাকা উচিত।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ১৬০. যদি আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সাহায্য করেন তবে কোনো শক্তিই তোমাদের পরাজিত করতে পারবে না, আর তিনিই যদি তোমাদের পরিত্যাগ করেন তাহলে এমন কোন শক্তি আছে যে এর পরও তোমাদের সাহায্য করতে পারে! কাজেই ইমানদারদের উচিত আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা।
১৬১. নবীর পক্ষে কোনো কিছু খেয়ানত করা সম্ভব নয়। কেউ যদি কিছু খেয়ানত করে তবে কেয়ামতের দিন সে ব্যক্তিকে সেই বস্তুসহ আল্লাহর দরবারে হাজির হতে হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকেই তার অর্জিত প্রাপ্য সঠিকভাবে আদায় করে দেওয়া হবে, তাদের কারো ওপর অবিচার করা হবে না।
ব্যাখ্যা : ১৬০ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, মানুষের জন্য সরল সঠিক পথের রূপরেখা। সে পথ হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ, আল্লাহর ওপর ভরসা করার পথ। আল্লাহ যাদের সাহায্য করেন তাদের পরাজিত করার কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই। অপরদিকে আল্লাহ যাদের পরিত্যাগ করেন তাদের সাহায্য করার কোনো শক্তি জগতে নেই। সুতরাং মোমেনদের উচিত আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা।
১৬১ আয়াতে রাসুলের পবিত্র জীবনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসুল (সা.) কখনো খেয়ানতকারী হতে পারেন না। খেয়ানত অত্যন্ত বড় ধরনের পাপ। আমানতের খেয়ানত যে করবে তাকে কাল হাশরের ময়দানে সেই খেয়ানত করা বস্তু নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হতে হবে। এ আয়াতটির শানেনুজুল এ রকম : বদরের যুদ্ধে প্রাপ্ত গনিমতের মালের মধ্য থেকে একটি চাদর হারিয়ে যায়। সেই চাদরটির ব্যাপারে খোঁজাখুঁজি হচ্ছিল। গণিমতের মালের স্তূপ থেকে পছন্দমতো যেকোনো কিছু উঠিয়ে নেওয়ার অধিকার রাসুলের (সা.) আছে। এ কথা ভেবে কোনো একজন সরলপ্রাণ মুসলমান অথবা রাসুলের ওপর আস্থা নেই এমন কোনো মুনাফেক বলল, হয়তো এটা আল্লাহর রাসুল (সা.) নিয়েছেন। সেই ব্যক্তির ধারণা যে ভ্রান্ত ছিল এটাই এই আয়াতের মাধ্যমে বলা হয়েছে। গণিমতের মাল থেকে যা খুশি নেওয়ার অধিকার রাসুলের আছে, কিন্তু রাসুল (সা.) গোপনে বা অন্যদের না জানিয়ে এটা নিতে পারেন না, তিনি তা নেনওনি। এ ধরনের কাজ করা রাসুলের স্বভাবসুলভ নয়। আসলে এ ধরনের কাজ করা খেয়ানত তুল্য। রাসুলের স্বভাব এ ধরনের আচরণ থেকে পবিত্র। এই আয়াতের মর্ম থেকে বোঝা যায়, আমানতে খেয়ানত করা অত্যন্ত কঠিন অপরাধের কাজ। এ কাজ থেকে সবাইকে সতর্কভাবে বিরত থাকা উচিত।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments