অমানবিক কারা ব্যবস্থাপনার সংস্কার দরকার-দুঃসহ কারা-পরিস্থিতি
কারাবন্দী মানেই অভিশপ্ত নয়। যদিও বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে বন্দীদের বেশির ভাগকেই কাটাতে হয় অভিশপ্ত জীবন। দুঃসহ পরিবেশ, নাজুক ব্যবস্থাপনা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং খাদ্য ও চিকিৎসার সমস্যা এতই চরম যে বন্দীদের নৈতিক, শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় ঘটে।
মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিকদের পরিদর্শনের সুযোগ কঠিন হওয়ায় কারা প্রশাসনের কার্যক্রম পর্যালোচনার সুযোগও থাকে না।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত কারা সংস্কার সম্মেলনে কারাগার সংস্কারের জরুরতটি উঠে এসেছে। সেখানে কারাগারকে শাস্তি ও বিচারের শেষ বিকল্প ভাবতে বলা হয়েছে। বিচারাধীন বন্দীদের বিচার দ্রুত শেষ করা, ছোট অপরাধে আটকে না রেখে অন্য শাস্তি দেওয়া, বিনা বিচারে কাউকে আটকে না রাখার মতো ব্যাপারগুলো অনুসরণ করা হলে কারাগারে অতিরিক্ত বন্দীদের চাপ পড়ে না। কারাগার না বাড়িয়ে বন্দী কমানোর আইনানুগ মানবিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করা সম্ভব হলে কারাবন্দীদের সংখ্যা কমবে বলে সম্মেলনে সুপারিশ করা হয়। এর পাশাপাশি কারাগারের পরিবেশকে উন্নতও করা দরকার।
ভারতের তিহার কারাগার সংস্কারে সাফল্যের নায়ক সাবেক কারা মহাপরিদর্শক কিরণ বেদি নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার সময় ব্রত নিয়েছিলাম, ছয় মাসের মধ্যেই কারাগারটিকে আশ্রমে পরিণত করব।...যাতে তাদের (বন্দীদের) একজনও আবার কারাগারে না ফেরে।’ বাংলাদেশের কারাবন্দীদের জন্যও এমন উদ্যোগ দরকার।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ধারণক্ষমতার চেয়ে সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে। মোট ৭৬টি কারাগারে ২৮ হাজার ৯৬৯ জনের ধারণক্ষমতার জায়গায় রয়েছে ৭০ হাজার বন্দী। এদের মধ্যে আবার বেশির ভাগই বিচারাধীন হাজতি। আদালতের দীর্ঘসূত্রতার কারণে তাদের আটক থাকতে হচ্ছে। থাকা-খাওয়া-পরিচ্ছন্নতাসহ প্রায় সব বিষয়েই কারা-পরিস্থিতি অসহনীয়। ডায়রিয়া ও চর্মরোগ নিয়মিত ব্যাপার, জ্বরজারিসহ গুরুতর রোগ তো হচ্ছেই। মাদকের বিস্তারও কম নয়। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা নারী ও শিশুবন্দীদের। এ রকম দুঃসহ পরিবেশে ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যেতে পারে। কারাগার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, সুস্থ পরিবেশে আটকে রেখে অপরাধীদের সংশোধন ঘটানো। অথচ আমাদের কারাগারগুলো অপরাধের ঘাঁটি হয়ে রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে আইন মন্ত্রণালয় কারা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো চূড়ান্ত হয়নি। বন্দীরাও মানুষ, তাদের পশুর মতো জীবনে রাখা বা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সভ্যতাবিরোধী কাজ। কারা প্রশাসনের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার স্বার্থে সেখানে মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিকদের পরিদর্শনেরও সুযোগ থাকা দরকার।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত কারা সংস্কার সম্মেলনে কারাগার সংস্কারের জরুরতটি উঠে এসেছে। সেখানে কারাগারকে শাস্তি ও বিচারের শেষ বিকল্প ভাবতে বলা হয়েছে। বিচারাধীন বন্দীদের বিচার দ্রুত শেষ করা, ছোট অপরাধে আটকে না রেখে অন্য শাস্তি দেওয়া, বিনা বিচারে কাউকে আটকে না রাখার মতো ব্যাপারগুলো অনুসরণ করা হলে কারাগারে অতিরিক্ত বন্দীদের চাপ পড়ে না। কারাগার না বাড়িয়ে বন্দী কমানোর আইনানুগ মানবিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করা সম্ভব হলে কারাবন্দীদের সংখ্যা কমবে বলে সম্মেলনে সুপারিশ করা হয়। এর পাশাপাশি কারাগারের পরিবেশকে উন্নতও করা দরকার।
ভারতের তিহার কারাগার সংস্কারে সাফল্যের নায়ক সাবেক কারা মহাপরিদর্শক কিরণ বেদি নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার সময় ব্রত নিয়েছিলাম, ছয় মাসের মধ্যেই কারাগারটিকে আশ্রমে পরিণত করব।...যাতে তাদের (বন্দীদের) একজনও আবার কারাগারে না ফেরে।’ বাংলাদেশের কারাবন্দীদের জন্যও এমন উদ্যোগ দরকার।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ধারণক্ষমতার চেয়ে সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে। মোট ৭৬টি কারাগারে ২৮ হাজার ৯৬৯ জনের ধারণক্ষমতার জায়গায় রয়েছে ৭০ হাজার বন্দী। এদের মধ্যে আবার বেশির ভাগই বিচারাধীন হাজতি। আদালতের দীর্ঘসূত্রতার কারণে তাদের আটক থাকতে হচ্ছে। থাকা-খাওয়া-পরিচ্ছন্নতাসহ প্রায় সব বিষয়েই কারা-পরিস্থিতি অসহনীয়। ডায়রিয়া ও চর্মরোগ নিয়মিত ব্যাপার, জ্বরজারিসহ গুরুতর রোগ তো হচ্ছেই। মাদকের বিস্তারও কম নয়। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা নারী ও শিশুবন্দীদের। এ রকম দুঃসহ পরিবেশে ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যেতে পারে। কারাগার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, সুস্থ পরিবেশে আটকে রেখে অপরাধীদের সংশোধন ঘটানো। অথচ আমাদের কারাগারগুলো অপরাধের ঘাঁটি হয়ে রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে আইন মন্ত্রণালয় কারা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো চূড়ান্ত হয়নি। বন্দীরাও মানুষ, তাদের পশুর মতো জীবনে রাখা বা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সভ্যতাবিরোধী কাজ। কারা প্রশাসনের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার স্বার্থে সেখানে মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিকদের পরিদর্শনেরও সুযোগ থাকা দরকার।
No comments