দায় অন্যের ওপর না চাপিয়ে সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হোন-যে উত্তরাধিকার পরিত্যাগ করতে হবে
ব্যাধিই সংক্রামক, আরোগ্য নয়। চাঁদাবাজি ও বিদ্যুৎ-সংকট উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বলে যে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তা ভুল নয়। এক দিনে এ সমস্যার সমাধান হবে না, সে কথাও অস্বীকারের উপায় নেই।
কিন্তু তাঁর বক্তব্যে দায় এড়ানোর সাফাই রয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষত, সরকারের পৌনে দুই বছরের মধ্যে চাঁদাবাজি বা বিদ্যুৎ-সংকটের দায় পূর্বসূরির ওপর চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার সুযোগ নেই।
চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ক্ষমতাশ্রিত তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, তাদের প্রভাবিত ছাত্র-যুবসংগঠন থেকে শুরু করে মূল দলের কর্মীরাও নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্য তাঁদের কাছে কী বার্তা দেবে? ভাববেন, তাঁরা যে অপরাধ করছেন, তার দায় পূর্ববর্তী সরকারের।
বিদ্যুৎ-সংকটসহ জনজীবনে অনেক সমস্যা রয়েছে, যার সমাধানও এক দিনে হওয়ার নয়। কিন্তু যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের কৃতিত্বই হচ্ছে, অতীতের মন্দ উত্তরাধিকার থেকে বেরিয়ে আসা এবং দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। বিদ্যুতের বেলায় সরকারের কিছু কিছু তৎপরতা থাকলেও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও দলীয়করণ অতীতের চেয়ে কোনো অংশে কমেছে বলে মনে হয় না। অথচ, গত বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের এসব ব্যর্থতার কারণেই জনগণ ক্ষমতার পরিবর্তন চেয়েছিল। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী স্লোগান হিসেবে দিনবদলের ডাকও ভোটারদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিল।
অস্বীকার করার উপায় নেই, সরকারের বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো হয়ে আছে চাঁদাবাজি ও দলীয়করণ। দলীয় কোন্দলও প্রায়ই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে দেখা যায়। বিদ্যুৎ, দ্রব্যমূল্যসহ অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়ে এসব বিষয় সরকারের দক্ষতা ও নিষ্ঠা সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবের জন্ম দিতে পারে। এসব থেকে বেরিয়ে আসার পথ হলো, অতীতের মন্দ উত্তরাধিকার পরিত্যাগে দল ও সরকারকে নিয়োজিত করা। দলবাজি-চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরতা দেখানোর মাধ্যমেই তা হতে পারে। সেই কাজের মাধ্যমেই কেবল আদর্শিকভাবেই নয়, দেশ পরিচালনার বেলায়ও শাসক দল নতুন ধারার জন্ম দিতে পারে। নিজের ব্যর্থতা বা অন্যায়ের দায় অন্যের ওপর চাপানোর ফল যে কখনো ভালো হয় না, সরকারের নীতিনির্ধারকদের সে কথাটি উপলব্ধি করতে হবে।
চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ক্ষমতাশ্রিত তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, তাদের প্রভাবিত ছাত্র-যুবসংগঠন থেকে শুরু করে মূল দলের কর্মীরাও নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্য তাঁদের কাছে কী বার্তা দেবে? ভাববেন, তাঁরা যে অপরাধ করছেন, তার দায় পূর্ববর্তী সরকারের।
বিদ্যুৎ-সংকটসহ জনজীবনে অনেক সমস্যা রয়েছে, যার সমাধানও এক দিনে হওয়ার নয়। কিন্তু যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের কৃতিত্বই হচ্ছে, অতীতের মন্দ উত্তরাধিকার থেকে বেরিয়ে আসা এবং দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। বিদ্যুতের বেলায় সরকারের কিছু কিছু তৎপরতা থাকলেও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও দলীয়করণ অতীতের চেয়ে কোনো অংশে কমেছে বলে মনে হয় না। অথচ, গত বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের এসব ব্যর্থতার কারণেই জনগণ ক্ষমতার পরিবর্তন চেয়েছিল। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী স্লোগান হিসেবে দিনবদলের ডাকও ভোটারদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিল।
অস্বীকার করার উপায় নেই, সরকারের বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো হয়ে আছে চাঁদাবাজি ও দলীয়করণ। দলীয় কোন্দলও প্রায়ই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে দেখা যায়। বিদ্যুৎ, দ্রব্যমূল্যসহ অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়ে এসব বিষয় সরকারের দক্ষতা ও নিষ্ঠা সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবের জন্ম দিতে পারে। এসব থেকে বেরিয়ে আসার পথ হলো, অতীতের মন্দ উত্তরাধিকার পরিত্যাগে দল ও সরকারকে নিয়োজিত করা। দলবাজি-চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরতা দেখানোর মাধ্যমেই তা হতে পারে। সেই কাজের মাধ্যমেই কেবল আদর্শিকভাবেই নয়, দেশ পরিচালনার বেলায়ও শাসক দল নতুন ধারার জন্ম দিতে পারে। নিজের ব্যর্থতা বা অন্যায়ের দায় অন্যের ওপর চাপানোর ফল যে কখনো ভালো হয় না, সরকারের নীতিনির্ধারকদের সে কথাটি উপলব্ধি করতে হবে।
No comments