বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান-অরক্ষিত উপকূলীয় জনপদ
দেশের বাদবাকি অঞ্চলে যা ঘোর বর্ষার চাপ, দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য তা ক্রমশ দুর্যোগের চেহারা নিচ্ছে। বঙ্গোপসাগর যেন জোয়ারের সঙ্গে উঠে আসতে চাইছে, উপকূলীয় রক্ষা বাঁধ ও পোল্ডার ভেঙে অনেক গ্রাম ডুবে গেছে, শহরগুলোও প্লাবিত হচ্ছে এবং ট্রলারডুবি ও বাঁধ ভেঙে মানুষের মৃত্যুর খবরও আসতে শুরু করেছে।
গত তিন দিনের টানা বৃষ্টির পর এখন উপকূলীয় জনপদগুলো ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় তটস্থ। এ রকম অবস্থায় কেবল সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের সজাগ প্রচেষ্টাই প্রত্যাশিত। ত্রাণসামগ্রী পাঠানো, খাদ্য সরবরাহ এবং উদ্ধারকাজ এখনই শুরু হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের জন্য প্রশাসনকে কাজে লাগানোর বিকল্প নেই।
সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকাগুলোয় এমনিতেই দুর্যোগের আশঙ্কা বেশি। কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণে দুর্যোগ প্রায়ই বিপর্যয়ে রূপ নেয়। গত কয়েক বছরে সিডর, রেশমি ও আইলায় সেখানকার অজস্র উপকূলীয় রক্ষা বাঁধ, পোল্ডার, সড়কের বিপুল ক্ষতি হয়েছিল। এখনো সেগুলো পুনর্নির্মাণ বা মেরামত যথাযথভাবে করা হয়নি। তাই দেখা যাচ্ছে, বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে কিংবা নাজুক অংশ ভেঙে গিয়ে চার-পাঁচ ফুট উঁচু জোয়ারের পানি গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে দিচ্ছে। গত বছরজুড়ে প্রথম আলোর সংবাদ ও সম্পাদকীয়তে আমরা বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে বর্ষা ও দুর্যোগের মৌসুম আসার আগেই সিডর-আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল রক্ষা বাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্রসহ ওই এলাকার অবকাঠামো মেরামত এবং ধারণক্ষম করা হোক। সিডর ও আইলার দুর্গত লাখ লাখ মানুষকে কেন এখনো খোলা আকাশের নিচে বাঁধ বা সড়কের ওপর জীবন ধারণ করতে হবে? আশা করি, দুর্যোগের কালো মেঘ আজ-কালের মধ্যেই কেটে যাবে এবং সরকারেরও টনক নড়বে।
পাশাপাশি আবহাওয়া পূর্বাভাস-ব্যবস্থারও আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। বর্তমানের তিন দিনের পূর্বাভাসের পাশাপাশি তিন মাসের পূর্বাভাস-পদ্ধতি চালুর যে প্রচেষ্টা চলছে, তা দ্রুততর হোক। এতে মানুষজন আগাম পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে পারবে।
বাংলাদেশে দুর্যোগের বাড়াবাড়ির জন্য বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনকেও দায়ী করছেন। এর শিকার বাংলাদেশ হলেও দায়ী ধনী দেশগুলোর পরিবেশবিরোধী কার্যকলাপ। সুতরাং, দুর্যোগ মোকাবিলায় দায়ভারও তাদের নিতে হবে। কিন্তু মৌখিক প্রতিশ্রুতির বাইরে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়া গেছে খুবই কম। আইলা ও সিডর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানলেও এবারের জলোচ্ছ্বাস ছিল সমগ্র উপকূলেই। প্রাণহানির ঘটনা কম হলেও ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। বিশেষ করে, শস্য ও ঘরবাড়ি হারিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের অনেকেই এখন নিঃস্ব। তাদের কাছে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে হবে।
ফিবছর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ আমরা দেখতে চাই না। আমরা চাই না মানুষের জীবন, সম্পদ ও অবকাঠামো এ রকম হুমকির মুখে পড়ুক। তাদের পুনর্বাসনে এখনই নিতে হবে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পরিকল্পনা।
সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকাগুলোয় এমনিতেই দুর্যোগের আশঙ্কা বেশি। কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণে দুর্যোগ প্রায়ই বিপর্যয়ে রূপ নেয়। গত কয়েক বছরে সিডর, রেশমি ও আইলায় সেখানকার অজস্র উপকূলীয় রক্ষা বাঁধ, পোল্ডার, সড়কের বিপুল ক্ষতি হয়েছিল। এখনো সেগুলো পুনর্নির্মাণ বা মেরামত যথাযথভাবে করা হয়নি। তাই দেখা যাচ্ছে, বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে কিংবা নাজুক অংশ ভেঙে গিয়ে চার-পাঁচ ফুট উঁচু জোয়ারের পানি গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে দিচ্ছে। গত বছরজুড়ে প্রথম আলোর সংবাদ ও সম্পাদকীয়তে আমরা বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে বর্ষা ও দুর্যোগের মৌসুম আসার আগেই সিডর-আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল রক্ষা বাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্রসহ ওই এলাকার অবকাঠামো মেরামত এবং ধারণক্ষম করা হোক। সিডর ও আইলার দুর্গত লাখ লাখ মানুষকে কেন এখনো খোলা আকাশের নিচে বাঁধ বা সড়কের ওপর জীবন ধারণ করতে হবে? আশা করি, দুর্যোগের কালো মেঘ আজ-কালের মধ্যেই কেটে যাবে এবং সরকারেরও টনক নড়বে।
পাশাপাশি আবহাওয়া পূর্বাভাস-ব্যবস্থারও আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। বর্তমানের তিন দিনের পূর্বাভাসের পাশাপাশি তিন মাসের পূর্বাভাস-পদ্ধতি চালুর যে প্রচেষ্টা চলছে, তা দ্রুততর হোক। এতে মানুষজন আগাম পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে পারবে।
বাংলাদেশে দুর্যোগের বাড়াবাড়ির জন্য বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনকেও দায়ী করছেন। এর শিকার বাংলাদেশ হলেও দায়ী ধনী দেশগুলোর পরিবেশবিরোধী কার্যকলাপ। সুতরাং, দুর্যোগ মোকাবিলায় দায়ভারও তাদের নিতে হবে। কিন্তু মৌখিক প্রতিশ্রুতির বাইরে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়া গেছে খুবই কম। আইলা ও সিডর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানলেও এবারের জলোচ্ছ্বাস ছিল সমগ্র উপকূলেই। প্রাণহানির ঘটনা কম হলেও ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। বিশেষ করে, শস্য ও ঘরবাড়ি হারিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের অনেকেই এখন নিঃস্ব। তাদের কাছে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে হবে।
ফিবছর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ আমরা দেখতে চাই না। আমরা চাই না মানুষের জীবন, সম্পদ ও অবকাঠামো এ রকম হুমকির মুখে পড়ুক। তাদের পুনর্বাসনে এখনই নিতে হবে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পরিকল্পনা।
No comments