আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-রাজনীতিকীকরণের প্যাঁচে স্বাস্থ্যসেবা
রাজনীতিকরণের প্যাঁচে পড়ে স্বাস্থ্যসেবার কী ধরনের বেহাল অবস্থা হয় তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। মঙ্গলবার সমকালের রাজধানীর উপকণ্ঠ পাতায় 'তারা স্বাচিপের সদস্য তাই রোগী দেখতে অনীহা' শিরোনামে প্রকাশিত সরেজমিন প্রতিবেদনে রোগী দেখার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের দেখা মেলে না বলে দেখানো হয়েছে।
দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসকের পদ ২২টি থাকলেও ৫টি পদ শূন্য, তিনজন ছুটিতে ও তিনজন প্রশিক্ষণে থাকায় ১১ জন সেখানে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকার কথা। খাতা-কলমে তাই আছে। বাস্তবে কিন্তু এর বিপরীত চিত্রই দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী সাধারণত দুই থেকে তিনজন চিকিৎসককে স্বল্প সময়ের জন্য রোগী দেখার জন্য পাওয়া যায়। প্রশাসন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েও চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনীহ চিকিৎসকদের তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতে পারেনি। এমনকি এসব চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো ক্ষমতাই উচ্চতর প্রশাসনের নেই বলেই বোধ হচ্ছে। কারণ এসব চিকিৎসকের অনেকেই সরকারি দলের চিকিৎসক সংগঠন স্বাচিপের সদস্য। কেউ কেউ মন্ত্রী, এমপি বা ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়তার সূত্র ও নাম ব্যবহার করেও বেশ দাপটের সঙ্গেই আছেন। আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসকরা অধিকাংশ সময় অনুপস্থিত থাকার কারণে স্বাস্থ্যসেবার আধুনিক ব্যবস্থা থাকার পরও গ্রামাঞ্চলের সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ তাদের স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্যই এসব সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। একশ্রেণীর চিকিৎসকের দলবাজি, সেবার মানসিকতার অভাব ও দায়িত্ব পালনে অনীহার কারণে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চিকিৎসকরা যাতে গ্রামীণ জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন সে জন্য বিভিন্ন উপলক্ষে আহ্বান জানানো হয়। এ ব্য্যাপারে সরকার কিছু নিয়মকানুনও প্রবর্তন করেছে। কিন্তু দলবাজি ও চিকিৎসকদের সেবার মানসিকতাবর্জিত মনোভাবের কারণে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশও উপেক্ষিত হচ্ছে। চিকিৎসা প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে কড়া মনোভাব নেওয়া। প্রশাসন যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে সে জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনার সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপও নেওয়া চাই। দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো গ্রামীণ রোগীদের সাশ্রয়ী ব্যয়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অবলম্বন হয়ে উঠুক।
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চিকিৎসকরা যাতে গ্রামীণ জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন সে জন্য বিভিন্ন উপলক্ষে আহ্বান জানানো হয়। এ ব্য্যাপারে সরকার কিছু নিয়মকানুনও প্রবর্তন করেছে। কিন্তু দলবাজি ও চিকিৎসকদের সেবার মানসিকতাবর্জিত মনোভাবের কারণে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশও উপেক্ষিত হচ্ছে। চিকিৎসা প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে কড়া মনোভাব নেওয়া। প্রশাসন যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে সে জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনার সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপও নেওয়া চাই। দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো গ্রামীণ রোগীদের সাশ্রয়ী ব্যয়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অবলম্বন হয়ে উঠুক।
No comments