শিক্ষক হতে চাইলে by জিয়াউর রহমান চৌধুরী
ছোটবেলা থেকেই একেকজন একেক ধরনের ক্যারিয়ার বা কর্মজীবন গঠনের স্বপ্ন দেখে থাকেন।এর মধ্যে কেউ কেউ স্বপ্নও দেখেন শিক্ষক হওয়ার। তাঁরা হয়ে উঠতে চান মানুষ গড়ার কারিগর। যাঁরা ছোটবেলা থেকেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বা পড়ালেখা শেষ করে শিক্ষকতার মতো মহৎ পেশাকে নিজের ক্যারিয়ার বা কর্মক্ষেত্র হিসেবে নিতে চান, তাঁদের সামনে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে ‘অষ্টম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০১২’।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে। সে অনুযায়ী স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা আগামী ৩১ আগস্ট আর কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১ সেপ্টেম্বর। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একটি সনদ দেওয়া হবে, যে সনদের সাহায্যে পরবর্তী সময় যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃৃপক্ষের (এনআরটিসিএ) পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন কমিটির সদস্য ছামেনা বেগম জানান, বেসরকারি বা এমপিওভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে গেলে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শিক্ষক হওয়ার প্রথম ধাপ বা পরীক্ষা। তাই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। শিক্ষক হতে চাইলে যাঁরা এখনো আবেদন করেননি, তাঁরা এখনই আবেদন করতে পারেন। আর যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁরা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে তুলুন নিজেকে।
পরীক্ষার পদ্ধতি: প্রার্থীকে ১০০ নম্বরের আবশ্যিক বিষয় ও ১০০ নম্বরের ঐচ্ছিক বিষয়সহ মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। প্রতি বিষয়ের জন্য পাস নম্বর হচ্ছে ৪০। আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ও ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে লিখিত। আবশ্যিক ও লিখিত দুটি বিষয়ে পরীক্ষার জন্য মোট সময় তিন ঘণ্টা। প্রথমে আবশ্যিক বিষয়ের এক ঘণ্টার পরীক্ষা দিতে হয়। এরপর ১৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে তিন ঘণ্টার ঐচ্ছিক পরীক্ষা দিতে হয়। প্রার্থী যে বিষয়ে শিক্ষকতা করতে চান, সে বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।
আবশ্যিকের বিষয়সমূহ ও মানবণ্টন: ছামেনা বেগম এ বিষয়ে জানান, আবশ্যিক পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়। তবে মাঝেমধ্যে আলাদা বিষয়ে প্রশ্নসংখ্যা ২৫-এর কমবেশি হতে পারে। সঠিক উত্তরের জন্য প্রতি প্রশ্নে এক নম্বর আর দুটি প্রশ্নের ভুল উত্তর হলে কাটা যাবে এক নম্বর।
প্রস্তুত করুন নিজেকে: আবেদন শেষে নিজেদের শাণিত করতে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন ছামেনা বেগম। তিনি জানান, আবশ্যিক পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ বিজ্ঞান বইগুলো নিজের আয়ত্তে নিতে হবে। এ ছাড়া ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য প্রার্থী যে বিষয়ে আবেদন করেছেন, সে বিষয়ে পঠিত স্নাতকোত্তর পর্যন্ত বইগুলো অনুসরণ করতে হবে।
পরীক্ষাকালীন সতর্কতা: পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিষয় কোড, আবশ্যিক বিষয়ের সেট নম্বর ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত রোল নম্বর আবশ্যিক বিষয়ের ওএমআর উত্তরপত্র ও ঐচ্ছিক বিষয়ের উত্তরপত্রের ওএমআরের প্রথম অংশের নির্ধারিত স্থানে লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বৃত্তগুলো সঠিকভাবে ভরাট করতে হবে। ওএমআর পূরণে ভুল/ঘষামাজা/কাটাকাটি হলে পরীক্ষার ফলাফল বাতিল হতে পারে।
আবেদন-প্রক্রিয়া চলছে: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে অষ্টম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য ৩১ মে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। http://ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রিন্টকৃত অনলাইন আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, নম্বরপত্র, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ সনদ ও নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করে বিদ্যালয় পর্যায়ের প্রার্থীরা হলুদ খামে এবং কলেজ পর্যায়ের প্রার্থীরা খাকি খামে ভরে সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন), এনটিআরসিএ, নায়েম একাডেমিক ভবন (ষষ্ঠতলা), ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৫-এর বরাবর সরাসরি বা ডাকযোগে আগামী ১৪ জুনের মধ্যে পৌঁছাতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অবতীর্ণ কোনো প্রার্থীর আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে সদ্য উত্তীর্ণরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদনের পর প্রত্যেক আবেদনকারীকে প্রদত্ত ইনভয়েস নম্বর দিয়ে অনধিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রি-পেইড মুঠোফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ ৩৫০ টাকা প্রদান করতে হবে। ফি দেওয়ার পর প্রার্থীকে ইনভয়েস নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং সিরিয়াল নম্বর ফিরতি খুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময় প্রার্থীকে (http://ntrca.teletalk.com.bd) এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ইনভয়েস নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পরীক্ষার তারিখ, সময় ও ভেন্যুর নামসহ প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে নিতে হবে। প্রবেশপত্র পাওয়ার ঠিকানা (www.ntrca.gov.bd) অথবা (http://ntrca.teletalk.com.bd)
বিস্তারিত জানতে: নিবন্ধন পরীক্ষা-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও পরামর্শ জানতে www.ntrca.gov.bd-এ ঠিকানায় ভিজিট করতে পারেন। ফোনে যোগাযোগ: ০২-৮৬৫০৬৯৭, ৮৬৫০৮৯৪, ৮৬৫২৩৩৭, ৮৬৫০৭৪৭, ৯৬১৫৭৫০ নম্বরেও জেনে নিতে পারেন দরকারি সব তথ্য।
পরীক্ষার পদ্ধতি: প্রার্থীকে ১০০ নম্বরের আবশ্যিক বিষয় ও ১০০ নম্বরের ঐচ্ছিক বিষয়সহ মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। প্রতি বিষয়ের জন্য পাস নম্বর হচ্ছে ৪০। আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ও ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে লিখিত। আবশ্যিক ও লিখিত দুটি বিষয়ে পরীক্ষার জন্য মোট সময় তিন ঘণ্টা। প্রথমে আবশ্যিক বিষয়ের এক ঘণ্টার পরীক্ষা দিতে হয়। এরপর ১৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে তিন ঘণ্টার ঐচ্ছিক পরীক্ষা দিতে হয়। প্রার্থী যে বিষয়ে শিক্ষকতা করতে চান, সে বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।
আবশ্যিকের বিষয়সমূহ ও মানবণ্টন: ছামেনা বেগম এ বিষয়ে জানান, আবশ্যিক পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়। তবে মাঝেমধ্যে আলাদা বিষয়ে প্রশ্নসংখ্যা ২৫-এর কমবেশি হতে পারে। সঠিক উত্তরের জন্য প্রতি প্রশ্নে এক নম্বর আর দুটি প্রশ্নের ভুল উত্তর হলে কাটা যাবে এক নম্বর।
প্রস্তুত করুন নিজেকে: আবেদন শেষে নিজেদের শাণিত করতে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন ছামেনা বেগম। তিনি জানান, আবশ্যিক পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ বিজ্ঞান বইগুলো নিজের আয়ত্তে নিতে হবে। এ ছাড়া ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য প্রার্থী যে বিষয়ে আবেদন করেছেন, সে বিষয়ে পঠিত স্নাতকোত্তর পর্যন্ত বইগুলো অনুসরণ করতে হবে।
পরীক্ষাকালীন সতর্কতা: পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিষয় কোড, আবশ্যিক বিষয়ের সেট নম্বর ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত রোল নম্বর আবশ্যিক বিষয়ের ওএমআর উত্তরপত্র ও ঐচ্ছিক বিষয়ের উত্তরপত্রের ওএমআরের প্রথম অংশের নির্ধারিত স্থানে লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বৃত্তগুলো সঠিকভাবে ভরাট করতে হবে। ওএমআর পূরণে ভুল/ঘষামাজা/কাটাকাটি হলে পরীক্ষার ফলাফল বাতিল হতে পারে।
আবেদন-প্রক্রিয়া চলছে: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে অষ্টম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য ৩১ মে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। http://ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রিন্টকৃত অনলাইন আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, নম্বরপত্র, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ সনদ ও নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করে বিদ্যালয় পর্যায়ের প্রার্থীরা হলুদ খামে এবং কলেজ পর্যায়ের প্রার্থীরা খাকি খামে ভরে সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন), এনটিআরসিএ, নায়েম একাডেমিক ভবন (ষষ্ঠতলা), ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৫-এর বরাবর সরাসরি বা ডাকযোগে আগামী ১৪ জুনের মধ্যে পৌঁছাতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অবতীর্ণ কোনো প্রার্থীর আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে সদ্য উত্তীর্ণরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদনের পর প্রত্যেক আবেদনকারীকে প্রদত্ত ইনভয়েস নম্বর দিয়ে অনধিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রি-পেইড মুঠোফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ ৩৫০ টাকা প্রদান করতে হবে। ফি দেওয়ার পর প্রার্থীকে ইনভয়েস নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং সিরিয়াল নম্বর ফিরতি খুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময় প্রার্থীকে (http://ntrca.teletalk.com.bd) এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ইনভয়েস নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পরীক্ষার তারিখ, সময় ও ভেন্যুর নামসহ প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে নিতে হবে। প্রবেশপত্র পাওয়ার ঠিকানা (www.ntrca.gov.bd) অথবা (http://ntrca.teletalk.com.bd)
বিস্তারিত জানতে: নিবন্ধন পরীক্ষা-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও পরামর্শ জানতে www.ntrca.gov.bd-এ ঠিকানায় ভিজিট করতে পারেন। ফোনে যোগাযোগ: ০২-৮৬৫০৬৯৭, ৮৬৫০৮৯৪, ৮৬৫২৩৩৭, ৮৬৫০৭৪৭, ৯৬১৫৭৫০ নম্বরেও জেনে নিতে পারেন দরকারি সব তথ্য।
No comments