এভারেস্ট-চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরল যে মেয়েটি সেই নিশাত মজুমদারকে অভিনন্দন-এভারেস্ট-চূড়ায়...
১৯ মে ২৯ হাজার ২৯ ফুট উচ্চতায় আরোহণ করে প্রথম বাংলাদেশি নারী অভিযাত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন আমাদের নিশাত মজুমদার। অভিনন্দন নিশাত। বাংলাদেশি নারী হিসেবে নিশাত মজুমদার প্রথম এভারেস্ট জয় করলেও এখানে নারীদের বিজয়কেতন আরও আগ থেকেই উড়ছে।
এ পর্যন্ত শতাধিক নারীর বিজয়ী পদচিহ্ন আঁকা হয়েছে এই শৃঙ্গে। ১৯৫৩ সালে তেনজিং নগরে ও অ্যাডমন্ড হিলারির বিজয়ের ২২ বছর পর বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন জাপানের জুংকো তাবে। শুরুটা তখন থেকেই...
১৯৭৫
এভারেস্টে প্রথম নারী: জুংকো তাবে
১৯৭৫ সালের ১৬ মে। দিনটি শুরু হয়েছিল আর দশটা সাধারণ দিনের মতোই। তবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে এ দিনটিকে অসাধারণ করে তুললেন এক জাপানি মেয়ে—জুংকো তাবে। সেই প্রথম এভারেস্টশৃঙ্গে রচিত হলো নারীর বিজয়গাথা। ১৯৩৯ সালে জাপানের ফুকুশিমায় জন্ম নেওয়া জুংকো তাবে শোয়ে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে। মাত্র ১০ বছর বয়সে পর্বতারোহণের হাতেখড়ি হয় তাঁর শিক্ষকের সঙ্গে ন্যসু পর্বত আরোহণের মাধ্যমে। ১৯৬৯ সালে জাপানে নারী পর্বতারোহী ক্লাব বা এলসিসি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সে সময় থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গ জয় করে চলেছেন তাবে। তিনিই প্রথম নারী অভিযাত্রী, যিনি সাতটি মহাদেশের সাত শীর্ষ পর্বতশৃঙ্গ (সেভেন সামিট) আরোহণ করেছেন। সাতটি মহাদেশের পর্বতশৃঙ্গগুলো হলো—পাপুয়া নিউগিনির পুঙ্কোক জয়া (ওসেনিয়া), কিলিমানজারো পর্বতের উড়ু (আফ্রিকা), এলসওর্থ পর্বতের ম্যাসিফ (অ্যান্টার্কটিকা), রাশিয়ার ককেসাস পর্বতের এলব্রাস (ইউরোপ), আলাস্কার ম্যাককিনলে (উত্তর আমেরিকা), আর্জেন্টিনায় আন্দিজ পর্বতের অ্যাকোনকাগুয়া (দক্ষিণ আমেরিকা) ও হিমালয়ের এভারেস্ট (এশিয়া)। বর্তমানে তিনি জাপানের হিমালয় অভিযান ট্রাস্টের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ সংস্থাটি পার্বত্যাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে।
১৯৭৮
ইউরোপের প্রথম নারী: ওয়ান্ডা রোকিজ
পোল্যান্ডের অধিবাসী ওয়ান্ডা রোকিজ প্রথম ইউরোপীয় নারী অভিযাত্রী হিসেবে হিমালয়ের শীর্ষে পা রাখেন ১৯৭৮ সালের ১৬ অক্টোবর। আবার এভারেষ্ট বিজয়ী তৃতীয় নারী তিনি। ১৯৪৩ সালে প্লাংগেনিতে (বর্তমানে লিথুনিয়া) তাঁর জন্ম। এভারেস্টের পর ১৯৮৬ সালের ১৩ জুন প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কে-টু জয় করেন ওয়ান্ডা। এই অভিযানে তাঁর সহযাত্রী মাইকেল বায়ার্ড ও মরিন দম্পতির মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৯২ সালে কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে ওয়ান্ডা পতিত হন মৃত্যুর মিছিলে। ১২ মে, ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন সাড়ে তিনটা। কাঞ্চনজঙ্ঘার সাত হাজার ৯৫০ মিটার উচ্চতায় চতুর্থ ক্যাম্প থেকে সহযাত্রী কার্লোস কার্সোলিওর সঙ্গে যাত্রা শুরু করলেন ওয়ান্ডা। এর প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কার্লোস যখন সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছান, ওয়ান্ডা তখন আট হাজার ২০০ থেকে আট হাজার ৩০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাঁর খাবার ফুরিয়ে গিয়েছিল। পরে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
১৯৮৪
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী: বচেন্দ্রী পাল
ভারতের উত্তরাঞ্চল প্রদেশের উত্তর কাশী জেলার নাকুরী গ্রামে ১৯৫৪ সালে জন্ম নেন বচেন্দ্রী পাল। তাঁর বাবা কিষান সিং ও মা হাসনা দেবী। শৈশবে দুরন্তপনা ছিল নিত্যসঙ্গী। মাত্র ১২ বছর বয়সে সহপাঠীদের সঙ্গে বনভোজনে গিয়ে পর্বতারোহণ করে চার হাজার মিটার ওপরে ওঠেন বচেন্দ্রী। এ সময় চারদিকে অন্ধকার নেমে এলে কোনো রকম খাদ্য ও আশ্রয় ছাড়াই সেখানে রাত কাটান। পরবর্তীকালে সেই স্মৃতিই অজ্ঞাত নাকুরীর এই মেয়েকে এভারেস্ট জয়ে উৎসাহ জুগিয়েছে। তিনি যেমন এভারেস্টজয়ী প্রথম ভারতীয় নারী, তেমনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ী। ১৯৮৪ সালের ২৩ মে, দুপুর একটা সাত মিনিট। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী বচেন্দ্রী পাল দাঁড়ালেন ২৯ হাজার ৮৪ ফুট উচ্চতায়—এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায়। চারপাশে হাজার হাজার ফুট খাড়া ঢাল। আর চূড়াটিও এত সরু যে, একসঙ্গে দুজনের জায়গা হওয়াই দায়। কিন্তু বচেন্দ্রী সেখানেই হাঁটু গেড়ে বসে কপাল স্পর্শ করে প্রণাম করলেন এবং সঙ্গে নিয়ে যাওয়া দুর্গা ও হনুমানের মূর্তি স্থাপন করলেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দুতে। পরবর্তীকালে বচেন্দ্রী পাল হিমালয় অভিযান নিয়ে মাই জার্নি টু দ্য টপ শিরোনামে একটি গ্রন্থও রচনা করেছেন।
১৯৮৮
আমেরিকার প্রথম নারী: স্ট্যান্সি অ্যালিসন
জিয়ান ন্যাশনাল পার্কে ইট বেয়ে ওঠার সময় পর্বতারোহণের প্রতি প্রথম যে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল অরিগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্ট্যান্সি অ্যালিসনের, সে আগ্রহই একদিন তাঁকে নিয়ে যায় দুর্গম হিমালয়ের পথে—এভারেস্টের সর্বোচ্চ স্থানে। আমেরিকার প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন তিনি। প্রথম অভিযানে আলাস্কার মাউন্ট ওয়াশিংটনের পর স্ট্যান্সি অ্যালিসন মাউন্ট হান্টিংটনও আরোহণ শুরু করেন। তবে ২০০ মিটার বাকি থাকতেই সঙ্গীর পায়ের গোড়ালি ভেঙে যাওয়ার কারণে অভিযান শেষ না করেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। কিন্তু হার মানেননি স্ট্যান্সি। পরে ১৯৮৮ সালে উত্তর-পূর্ব আমেরিকান এভারেস্ট অভিযাত্রী দলের সঙ্গে পর্বতারোহণ শুরু করে ২৯ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছান এই নারী।
২০০৯
প্রথম বাঙালি নারী: শিপ্রা মজুমদার
২০০৯ সাল। পাঁচ বাঙালি নারীর একটি দল হিমালয় অভিমুখে চীন থেকে এভারেস্ট অভিযান শুরু করে। দলে আছেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য ক্যাপ্টেন শিপ্রা মজুমদার, যিনি এর আগে ২০০৫ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নারী দলের সঙ্গেও এভারেস্ট অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তাঁর সেই প্রথম প্রয়াস সম্পূর্ণ সফল হয়নি। কিন্তু ২০০৯ সালের এপ্রিলে চীন থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন তিনি। প্রথম বাঙালি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয়ের অনন্য গৌরবের অধিকারী হন শিপ্রা মজুমদার।
আলতাফ শাহনেওয়াজ
তথ্যসূত্র: এভারেস্টহিস্ট্রি ডট কম
১৯৭৫
এভারেস্টে প্রথম নারী: জুংকো তাবে
১৯৭৫ সালের ১৬ মে। দিনটি শুরু হয়েছিল আর দশটা সাধারণ দিনের মতোই। তবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে এ দিনটিকে অসাধারণ করে তুললেন এক জাপানি মেয়ে—জুংকো তাবে। সেই প্রথম এভারেস্টশৃঙ্গে রচিত হলো নারীর বিজয়গাথা। ১৯৩৯ সালে জাপানের ফুকুশিমায় জন্ম নেওয়া জুংকো তাবে শোয়ে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে। মাত্র ১০ বছর বয়সে পর্বতারোহণের হাতেখড়ি হয় তাঁর শিক্ষকের সঙ্গে ন্যসু পর্বত আরোহণের মাধ্যমে। ১৯৬৯ সালে জাপানে নারী পর্বতারোহী ক্লাব বা এলসিসি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সে সময় থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গ জয় করে চলেছেন তাবে। তিনিই প্রথম নারী অভিযাত্রী, যিনি সাতটি মহাদেশের সাত শীর্ষ পর্বতশৃঙ্গ (সেভেন সামিট) আরোহণ করেছেন। সাতটি মহাদেশের পর্বতশৃঙ্গগুলো হলো—পাপুয়া নিউগিনির পুঙ্কোক জয়া (ওসেনিয়া), কিলিমানজারো পর্বতের উড়ু (আফ্রিকা), এলসওর্থ পর্বতের ম্যাসিফ (অ্যান্টার্কটিকা), রাশিয়ার ককেসাস পর্বতের এলব্রাস (ইউরোপ), আলাস্কার ম্যাককিনলে (উত্তর আমেরিকা), আর্জেন্টিনায় আন্দিজ পর্বতের অ্যাকোনকাগুয়া (দক্ষিণ আমেরিকা) ও হিমালয়ের এভারেস্ট (এশিয়া)। বর্তমানে তিনি জাপানের হিমালয় অভিযান ট্রাস্টের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ সংস্থাটি পার্বত্যাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে।
১৯৭৮
ইউরোপের প্রথম নারী: ওয়ান্ডা রোকিজ
পোল্যান্ডের অধিবাসী ওয়ান্ডা রোকিজ প্রথম ইউরোপীয় নারী অভিযাত্রী হিসেবে হিমালয়ের শীর্ষে পা রাখেন ১৯৭৮ সালের ১৬ অক্টোবর। আবার এভারেষ্ট বিজয়ী তৃতীয় নারী তিনি। ১৯৪৩ সালে প্লাংগেনিতে (বর্তমানে লিথুনিয়া) তাঁর জন্ম। এভারেস্টের পর ১৯৮৬ সালের ১৩ জুন প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কে-টু জয় করেন ওয়ান্ডা। এই অভিযানে তাঁর সহযাত্রী মাইকেল বায়ার্ড ও মরিন দম্পতির মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৯২ সালে কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে ওয়ান্ডা পতিত হন মৃত্যুর মিছিলে। ১২ মে, ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন সাড়ে তিনটা। কাঞ্চনজঙ্ঘার সাত হাজার ৯৫০ মিটার উচ্চতায় চতুর্থ ক্যাম্প থেকে সহযাত্রী কার্লোস কার্সোলিওর সঙ্গে যাত্রা শুরু করলেন ওয়ান্ডা। এর প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কার্লোস যখন সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছান, ওয়ান্ডা তখন আট হাজার ২০০ থেকে আট হাজার ৩০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাঁর খাবার ফুরিয়ে গিয়েছিল। পরে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
১৯৮৪
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী: বচেন্দ্রী পাল
ভারতের উত্তরাঞ্চল প্রদেশের উত্তর কাশী জেলার নাকুরী গ্রামে ১৯৫৪ সালে জন্ম নেন বচেন্দ্রী পাল। তাঁর বাবা কিষান সিং ও মা হাসনা দেবী। শৈশবে দুরন্তপনা ছিল নিত্যসঙ্গী। মাত্র ১২ বছর বয়সে সহপাঠীদের সঙ্গে বনভোজনে গিয়ে পর্বতারোহণ করে চার হাজার মিটার ওপরে ওঠেন বচেন্দ্রী। এ সময় চারদিকে অন্ধকার নেমে এলে কোনো রকম খাদ্য ও আশ্রয় ছাড়াই সেখানে রাত কাটান। পরবর্তীকালে সেই স্মৃতিই অজ্ঞাত নাকুরীর এই মেয়েকে এভারেস্ট জয়ে উৎসাহ জুগিয়েছে। তিনি যেমন এভারেস্টজয়ী প্রথম ভারতীয় নারী, তেমনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ী। ১৯৮৪ সালের ২৩ মে, দুপুর একটা সাত মিনিট। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী বচেন্দ্রী পাল দাঁড়ালেন ২৯ হাজার ৮৪ ফুট উচ্চতায়—এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায়। চারপাশে হাজার হাজার ফুট খাড়া ঢাল। আর চূড়াটিও এত সরু যে, একসঙ্গে দুজনের জায়গা হওয়াই দায়। কিন্তু বচেন্দ্রী সেখানেই হাঁটু গেড়ে বসে কপাল স্পর্শ করে প্রণাম করলেন এবং সঙ্গে নিয়ে যাওয়া দুর্গা ও হনুমানের মূর্তি স্থাপন করলেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দুতে। পরবর্তীকালে বচেন্দ্রী পাল হিমালয় অভিযান নিয়ে মাই জার্নি টু দ্য টপ শিরোনামে একটি গ্রন্থও রচনা করেছেন।
১৯৮৮
আমেরিকার প্রথম নারী: স্ট্যান্সি অ্যালিসন
জিয়ান ন্যাশনাল পার্কে ইট বেয়ে ওঠার সময় পর্বতারোহণের প্রতি প্রথম যে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল অরিগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্ট্যান্সি অ্যালিসনের, সে আগ্রহই একদিন তাঁকে নিয়ে যায় দুর্গম হিমালয়ের পথে—এভারেস্টের সর্বোচ্চ স্থানে। আমেরিকার প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন তিনি। প্রথম অভিযানে আলাস্কার মাউন্ট ওয়াশিংটনের পর স্ট্যান্সি অ্যালিসন মাউন্ট হান্টিংটনও আরোহণ শুরু করেন। তবে ২০০ মিটার বাকি থাকতেই সঙ্গীর পায়ের গোড়ালি ভেঙে যাওয়ার কারণে অভিযান শেষ না করেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। কিন্তু হার মানেননি স্ট্যান্সি। পরে ১৯৮৮ সালে উত্তর-পূর্ব আমেরিকান এভারেস্ট অভিযাত্রী দলের সঙ্গে পর্বতারোহণ শুরু করে ২৯ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছান এই নারী।
২০০৯
প্রথম বাঙালি নারী: শিপ্রা মজুমদার
২০০৯ সাল। পাঁচ বাঙালি নারীর একটি দল হিমালয় অভিমুখে চীন থেকে এভারেস্ট অভিযান শুরু করে। দলে আছেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য ক্যাপ্টেন শিপ্রা মজুমদার, যিনি এর আগে ২০০৫ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নারী দলের সঙ্গেও এভারেস্ট অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তাঁর সেই প্রথম প্রয়াস সম্পূর্ণ সফল হয়নি। কিন্তু ২০০৯ সালের এপ্রিলে চীন থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন তিনি। প্রথম বাঙালি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয়ের অনন্য গৌরবের অধিকারী হন শিপ্রা মজুমদার।
আলতাফ শাহনেওয়াজ
তথ্যসূত্র: এভারেস্টহিস্ট্রি ডট কম
No comments