ধান কাটার মৌসুম-চোখে যেন আঘাত না লাগে by এ কে খান
বাংলাদেশে প্রতিবছর ধানের মৌসুমে বিশেষত চারা ওঠানো, রোপণ, নিড়ানি, ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও শুকানোর সময় এমনকি ধান সেদ্ধ করার সময় চোখে আঘাত লেগে হাজার হাজার কৃষি শ্রমিকের (নারী ও পুরুষ) দৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনো কোনো সময় চোখ উঠিয়ে ফেলার মতো চিকিৎসা নিতে হয়।
সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি চোখে ধানের আঘাতের ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে কাজ না করতে পারলে রোজগার বন্ধ হয়। চিকিৎসা ও খাবার কেনার জন্য সুদে টাকা ধার নিয়ে, শারীরিক ও মানসিক কষ্টে একটি দরিদ্র পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসে।
অনাকাঙ্ক্ষিত এই অন্ধত্বের অভিশাপ কমিয়ে এনে তা সম্পূর্ণ বন্ধ করা দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল আই কেয়ার (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
লক্ষ্য: কৃষকদের মধ্যে চোখের আঘাত প্রতিরোধে চশমা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ ও চোখে আঘাত লাগলে অন্ধত্ব প্রতিরোধে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ।
কৃষক ও কৃষাণী ভাইবোনদের বিশেষ করণীয় ও সতর্কতা
কৃষিকাজের সময় বিশেষত ধান রোপণ, নিড়ানি, কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই, শুকানো, ধান সেদ্ধ ও ঢেঁকিতে চাল তৈরি করার সময় চোখে সাদা চশমা ব্যবহার করবেন।
স্বচ্ছ কাচের বা প্লাস্টিকের চশমা ব্যবহার করুন, যার মূল্য মাত্র ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। এটি পরলে চোখে আঘাত লাগবে না। চোখের দৃষ্টির ক্ষতি হবে না। মূল্যবান চোখ রক্ষা পাবে।
চোখের আঘাত যত সামান্যই হোক, আঘাতের কিছুক্ষণ পর আরাম বোধ করলেও যেদিন আঘাত পেয়েছেন, সেই দিনই অবহেলা না করে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যাবেন। কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ সব সরকারি হাসপাতালে চোখের আঘাতের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।
ঝাড়, ফুঁক, পানি পড়া, তেল পড়া, কবিরাজি, হাতুড়ে অ্যালপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক ইত্যাদি অপচিকিৎসা থেকে বিরত থাকুন। এতে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
যদি কাছাকাছি ওষুধের দোকান থাকে তবে তাৎক্ষণিক কোরামফেনিকল চোখের মলম ব্যবহার শুরু করে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, সুস্থ দেহ আর চোখের দৃষ্টি আপনার সম্পদ। এ সম্পদ হারালে রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার জীবন হবে দুর্বিষহ, পরিবার ও সমাজের বোঝা। একবার দৃষ্টি হারালে বা অন্ধ হয়ে গেলে অমূল্য চোখ আর ফিরে পাবেন না।
স্বাস্থ্যকর্মীদের করণীয়
সদ্য চোখে আঘাতজনিত যেকোনো উপসর্গ যেমন ঝাপসা দেখা, পানি পড়া, খচখচ করা, ব্যথা, চোখের পাতা মেলতে কষ্ট, আলোতে তাকাতে অসুবিধা, লাল হওয়া ও কালো মণিতে কোনো দাগ থাকুক বা না থাকুক সব ক্ষেত্রে কোরামফেনিকল বা সিপ্রোফক্সাসিন চোখের মলম দিনে তিন-চারবার দেওয়ার উপদেশ দিতে হবে।
২৪ ঘণ্টা পর রোগী আবার চোখ দেখাতে আসবেন। যদি কোনো উন্নতি হয় ও চোখের মণিতে কোনো সাদা দাগ না দেখা যায়, তবে আগের ওষুধ সাত দিন চলবে। যদি উন্নতি না হয় ও চোখের মণিতে সাদা দাগ (আলসার) দেখা যায়, তবে তাৎক্ষণিক চক্ষু চিকিৎসক বা হাসপাতালে জরুরি প্রেরণ (রেফার) করতে হবে।
(সহযোগী অধ্যাপক, চক্ষু বিভাগ, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ)
অনাকাঙ্ক্ষিত এই অন্ধত্বের অভিশাপ কমিয়ে এনে তা সম্পূর্ণ বন্ধ করা দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল আই কেয়ার (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
লক্ষ্য: কৃষকদের মধ্যে চোখের আঘাত প্রতিরোধে চশমা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ ও চোখে আঘাত লাগলে অন্ধত্ব প্রতিরোধে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ।
কৃষক ও কৃষাণী ভাইবোনদের বিশেষ করণীয় ও সতর্কতা
কৃষিকাজের সময় বিশেষত ধান রোপণ, নিড়ানি, কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই, শুকানো, ধান সেদ্ধ ও ঢেঁকিতে চাল তৈরি করার সময় চোখে সাদা চশমা ব্যবহার করবেন।
স্বচ্ছ কাচের বা প্লাস্টিকের চশমা ব্যবহার করুন, যার মূল্য মাত্র ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। এটি পরলে চোখে আঘাত লাগবে না। চোখের দৃষ্টির ক্ষতি হবে না। মূল্যবান চোখ রক্ষা পাবে।
চোখের আঘাত যত সামান্যই হোক, আঘাতের কিছুক্ষণ পর আরাম বোধ করলেও যেদিন আঘাত পেয়েছেন, সেই দিনই অবহেলা না করে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যাবেন। কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ সব সরকারি হাসপাতালে চোখের আঘাতের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।
ঝাড়, ফুঁক, পানি পড়া, তেল পড়া, কবিরাজি, হাতুড়ে অ্যালপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক ইত্যাদি অপচিকিৎসা থেকে বিরত থাকুন। এতে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
যদি কাছাকাছি ওষুধের দোকান থাকে তবে তাৎক্ষণিক কোরামফেনিকল চোখের মলম ব্যবহার শুরু করে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, সুস্থ দেহ আর চোখের দৃষ্টি আপনার সম্পদ। এ সম্পদ হারালে রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার জীবন হবে দুর্বিষহ, পরিবার ও সমাজের বোঝা। একবার দৃষ্টি হারালে বা অন্ধ হয়ে গেলে অমূল্য চোখ আর ফিরে পাবেন না।
স্বাস্থ্যকর্মীদের করণীয়
সদ্য চোখে আঘাতজনিত যেকোনো উপসর্গ যেমন ঝাপসা দেখা, পানি পড়া, খচখচ করা, ব্যথা, চোখের পাতা মেলতে কষ্ট, আলোতে তাকাতে অসুবিধা, লাল হওয়া ও কালো মণিতে কোনো দাগ থাকুক বা না থাকুক সব ক্ষেত্রে কোরামফেনিকল বা সিপ্রোফক্সাসিন চোখের মলম দিনে তিন-চারবার দেওয়ার উপদেশ দিতে হবে।
২৪ ঘণ্টা পর রোগী আবার চোখ দেখাতে আসবেন। যদি কোনো উন্নতি হয় ও চোখের মণিতে কোনো সাদা দাগ না দেখা যায়, তবে আগের ওষুধ সাত দিন চলবে। যদি উন্নতি না হয় ও চোখের মণিতে সাদা দাগ (আলসার) দেখা যায়, তবে তাৎক্ষণিক চক্ষু চিকিৎসক বা হাসপাতালে জরুরি প্রেরণ (রেফার) করতে হবে।
(সহযোগী অধ্যাপক, চক্ষু বিভাগ, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ)
No comments