১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলা-‘এনএসআইয়ের লোককে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দেন বাবর’
দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) লোককে গ্রেপ্তার না করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) তৎকালীন পুলিশ কমিশনার এস এম সাব্বির আলী সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন।
বিকেলে সাব্বির আলীর সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। তাঁর সাক্ষ্য অসমাপ্ত রেখেই আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত আদালত মুলতবি রাখা হয়েছে। এর আগে গতকাল সকালে তৎকালীন বন্দর অঞ্চলের উপপুলিশ কমিশনার আবদুল্লাহ হেল বাকীকে জেরা করেন তিন আসামির আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল দিবাগত রাতে সিইউএফএলের জেটিঘাটে দশ ট্রাক অস্ত্র আটক করে পুলিশ। ওই রাতে অস্ত্র উদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিএমপির বন্দর অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি, বন্দর) আবদুল্লাহ হেল বাকী। সিএমপির সেই সময়ের পুলিশ কমিশনার সাব্বির আলী ২০০৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান। সাক্ষ্যে সাব্বির আলী আদালতে জানান, অস্ত্র আটকের রাতে লুৎফুজ্জামান বাবর এনএসআইয়ের লোককে গ্রেপ্তার না করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সিইউএফএল জেটিঘাটে উপস্থিত এনএসআইয়ের উপপরিচালক মেজর লিয়াকত হোসেন অস্ত্র খালাসে পুলিশের সহযোগিতাও চেয়েছিলেন বলে সাব্বির আলী বলেন। সাব্বির আলী বলেন, ‘২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাত আনুমানিক পৌনে একটার সময় বন্দর অঞ্চলের উপপুলিশ কমিশনার আবদুল্লাহ হেল বাকী আমাকে সিইউএফএল জেটিঘাটে অবৈধ মালামাল খালাসের বিষয়টি টেলিফোনে জানান।’
সাক্ষ্যে সাব্বির আলী বলেন, ‘রাত আনুমানিক তিনটার সময় আবদুল্লাহ হেল বাকী টেলিফোনে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। অবৈধ মালের একটি বাক্স খুলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেখতে পান। বাকী আরও জানান, পাঁচজন সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে আটক এবং দুটি ট্রলার ও পাঁচটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।’ সাব্বির আলী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তি নিজেকে এনএসআইয়ের উপপরিচালক মেজর লিয়াকত পরিচয় দিয়ে ডিসি বন্দরকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মালামাল খালাস করা হচ্ছে। আপনি কেন আটক করছেন? বরং খালাসের ব্যাপারে সহায়তা করুন।’ সাব্বির আলী বলেন, ‘এনএসআইয়ের কর্মকর্তার বিষয়ে ডিসি বন্দর আমার কাছে জানতে চান। আমি তাঁকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ হেফাজতে নিতে বলি এবং এনএসআইয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একটু অপেক্ষা করতে বলি।’ তখন এ বিষয়ে সেই সময়ের পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের (এসবি) সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে সাক্ষ্যে জানান সাব্বির আলী। তিনি বলেন, ‘ওই দুজনকে না পেয়ে আমি বিষয়টি তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে জানাই। বাবর বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি ডিআইজি এসবি শামসুল ইসলামের কাছে বিস্তারিত শুনেছেন এবং করণীয় সম্পর্কে তাঁকে বলেছেন।’ এরপরে টেলিফোনে লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে কথোপকথন উদ্ধৃত করে সাব্বির আলী সাক্ষ্যে বলেন, ‘তিনি (বাবর) আরও বলেন, “এনএসআইয়ের লোককে গ্রেপ্তার না করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হেফাজতে নিন। আমি সহসাই চট্টগ্রামে আসব।” উনার সাথে আলাপে বুঝতে পারি বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। আলাপের বিষয়টি ডিসি বন্দরকে বলি এবং অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে দামপাড়া পুলিশ লাইনে নিয়ে আসতে বলি।’ এর আগে সকালে আবদুল্লাহ হেল বাকীকে জেরা করেন সিইউএফএলের সেই সময়ের এমডি মোহসীন উদ্দিন তালুকদারের আইনজীবী ফজলুল করিম ভূঁইয়া, সিইউএফএলের সেই সময়ের জিএম (প্রশাসন) এম এনামুল হকের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান এবং লুৎফুজ্জামান বাবরের দুই আইনজীবী মাহাবুব আহমেদ ও আবদুস সোবহান তরফদার।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল দিবাগত রাতে সিইউএফএলের জেটিঘাটে দশ ট্রাক অস্ত্র আটক করে পুলিশ। ওই রাতে অস্ত্র উদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিএমপির বন্দর অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি, বন্দর) আবদুল্লাহ হেল বাকী। সিএমপির সেই সময়ের পুলিশ কমিশনার সাব্বির আলী ২০০৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান। সাক্ষ্যে সাব্বির আলী আদালতে জানান, অস্ত্র আটকের রাতে লুৎফুজ্জামান বাবর এনএসআইয়ের লোককে গ্রেপ্তার না করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সিইউএফএল জেটিঘাটে উপস্থিত এনএসআইয়ের উপপরিচালক মেজর লিয়াকত হোসেন অস্ত্র খালাসে পুলিশের সহযোগিতাও চেয়েছিলেন বলে সাব্বির আলী বলেন। সাব্বির আলী বলেন, ‘২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাত আনুমানিক পৌনে একটার সময় বন্দর অঞ্চলের উপপুলিশ কমিশনার আবদুল্লাহ হেল বাকী আমাকে সিইউএফএল জেটিঘাটে অবৈধ মালামাল খালাসের বিষয়টি টেলিফোনে জানান।’
সাক্ষ্যে সাব্বির আলী বলেন, ‘রাত আনুমানিক তিনটার সময় আবদুল্লাহ হেল বাকী টেলিফোনে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। অবৈধ মালের একটি বাক্স খুলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেখতে পান। বাকী আরও জানান, পাঁচজন সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে আটক এবং দুটি ট্রলার ও পাঁচটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।’ সাব্বির আলী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তি নিজেকে এনএসআইয়ের উপপরিচালক মেজর লিয়াকত পরিচয় দিয়ে ডিসি বন্দরকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মালামাল খালাস করা হচ্ছে। আপনি কেন আটক করছেন? বরং খালাসের ব্যাপারে সহায়তা করুন।’ সাব্বির আলী বলেন, ‘এনএসআইয়ের কর্মকর্তার বিষয়ে ডিসি বন্দর আমার কাছে জানতে চান। আমি তাঁকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ হেফাজতে নিতে বলি এবং এনএসআইয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একটু অপেক্ষা করতে বলি।’ তখন এ বিষয়ে সেই সময়ের পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের (এসবি) সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে সাক্ষ্যে জানান সাব্বির আলী। তিনি বলেন, ‘ওই দুজনকে না পেয়ে আমি বিষয়টি তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে জানাই। বাবর বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি ডিআইজি এসবি শামসুল ইসলামের কাছে বিস্তারিত শুনেছেন এবং করণীয় সম্পর্কে তাঁকে বলেছেন।’ এরপরে টেলিফোনে লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে কথোপকথন উদ্ধৃত করে সাব্বির আলী সাক্ষ্যে বলেন, ‘তিনি (বাবর) আরও বলেন, “এনএসআইয়ের লোককে গ্রেপ্তার না করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হেফাজতে নিন। আমি সহসাই চট্টগ্রামে আসব।” উনার সাথে আলাপে বুঝতে পারি বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। আলাপের বিষয়টি ডিসি বন্দরকে বলি এবং অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে দামপাড়া পুলিশ লাইনে নিয়ে আসতে বলি।’ এর আগে সকালে আবদুল্লাহ হেল বাকীকে জেরা করেন সিইউএফএলের সেই সময়ের এমডি মোহসীন উদ্দিন তালুকদারের আইনজীবী ফজলুল করিম ভূঁইয়া, সিইউএফএলের সেই সময়ের জিএম (প্রশাসন) এম এনামুল হকের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান এবং লুৎফুজ্জামান বাবরের দুই আইনজীবী মাহাবুব আহমেদ ও আবদুস সোবহান তরফদার।
No comments