বিকল্প শ্রমবাজার খুঁজতে হবে
লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে ওই সব দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্গতি চরমে উঠেছে। আর লিবিয়ার শোচনীয় অবস্থার কারণে সেখানকার শ্রমিকদের বড় চাওয়া এখন দেশে ফেরা। অবশ্য সরকারও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিদিনই দেশে ফিরতে পারছেন শ শ শ্রমিক।
তাঁদের নিরাপদে ফিরে আসার কারণে নিকটজনরা যেমন স্বস্তি ফিরে পাচ্ছে, তেমনি তাদের মধ্যে একধরনের অস্বস্তিরও জন্ম নিচ্ছে। কারণ এসব শ্রমিকের পরবর্তী কর্মসংস্থানের কোনো নিশ্চয়তা নেই। একেকজন শ্রমিক বিদেশে যাওয়ার সময় কয়েক লাখ টাকা ঋণ করেছেন। অথচ প্রত্যেকেই ফিরেছেন নিঃস্ব হয়ে এবং বেকারত্বকে সম্বল করে। এতে প্রতিটি পরিবারই অসহায় অবস্থার শিকার। বেকার হয়ে যাওয়া এসব শ্রমিক কিছুকাল আগেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। সেসব শ্রমিকের দুর্যোগ মোকাবিলা করার দায় দেশকেও নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এসব শ্রমিকের বেকারত্ব নিরসন করতে না পারলে দেশের অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে তা থেকে কেউই রেহাই পাবে না। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন কমে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে, তাও দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকেই দুর্ভোগে ফেলবে। এমন পরিস্থিতিতে এফবিসিসিআই উদ্যোগ নিয়েছে বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য। দেশের শিল্পপতিদের কয়েকজন ঘোষণা করেছেন, লিবিয়া থেকে ফেরত আসা শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবেন তাঁরা।
রপ্তানি থেকে দেশে যেখানে বছরে ৯০০ কোটি ডলার নিট আয় হয় সেখানে এসব শ্রমিক দেশের অর্থনীতিতে প্রতিবছর এক হাজার ১০০ কোটি ডলার যোগ করছে। অথচ এর জন্য সরকারের কোনো বিনিয়োগ করতে হয় না। এমন অর্থনীতি সুহৃদদের সচল রাখার জন্য এখন রাষ্ট্রের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পপতিদের কাছ থেকে যে আশ্বাস পাওয়া গেছে তাকে সাধুবাদ জানানোর পরও বলতে হবে, বিদেশফেরত শ্রমিকের আয় কমে যাবে এবং পুরনো বেকারদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাবে। ফলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথকে বিস্তৃত করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প শ্রমবাজার খোঁজা অপরিহার্য। শুধু মালয়েশিয়ায়ই এত বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান সম্ভব হবে না। সরকার মরিশাসে শ্রমিক প্রেরণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে। আর লিবিয়াফেরত শ্রমিকদের অগ্রাধিকার প্রদানের যে ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে তাও যেন কার্যকর হয় সেদিকটিও খেয়াল করতে হবে। এফবিসিসিআই এবং কিছু শিল্পোদ্যোক্তার শ্রমবান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে ততই মঙ্গল।
রপ্তানি থেকে দেশে যেখানে বছরে ৯০০ কোটি ডলার নিট আয় হয় সেখানে এসব শ্রমিক দেশের অর্থনীতিতে প্রতিবছর এক হাজার ১০০ কোটি ডলার যোগ করছে। অথচ এর জন্য সরকারের কোনো বিনিয়োগ করতে হয় না। এমন অর্থনীতি সুহৃদদের সচল রাখার জন্য এখন রাষ্ট্রের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পপতিদের কাছ থেকে যে আশ্বাস পাওয়া গেছে তাকে সাধুবাদ জানানোর পরও বলতে হবে, বিদেশফেরত শ্রমিকের আয় কমে যাবে এবং পুরনো বেকারদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাবে। ফলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথকে বিস্তৃত করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প শ্রমবাজার খোঁজা অপরিহার্য। শুধু মালয়েশিয়ায়ই এত বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান সম্ভব হবে না। সরকার মরিশাসে শ্রমিক প্রেরণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে। আর লিবিয়াফেরত শ্রমিকদের অগ্রাধিকার প্রদানের যে ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে তাও যেন কার্যকর হয় সেদিকটিও খেয়াল করতে হবে। এফবিসিসিআই এবং কিছু শিল্পোদ্যোক্তার শ্রমবান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে ততই মঙ্গল।
No comments