চলে গেলেন অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ
দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)।
দেশে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মোজাফ্ফর আহমদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে সিরাজুল আমিন আহমেদ ও মমতাজুল করিম আহমেদ এবং এক মেয়ে সোহেলা নাজনীনকে রেখে যান।
পরিবার ও তাঁর সহকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টার পর মোজাফ্ফর আহমদ ধানমণ্ডির শঙ্করের বাসায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ল্যাবএইড হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খালিদ জানান, রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে অধ্যাপক মোজাফ্ফরকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জরুরি বিভাগের অন্য চিকিৎসক মো. ইমরান বলেন, 'অধ্যাপক মোজাফ্ফর আমাদের এখানে চেকআপের জন্য আসতেন। রক্তশূন্যতায় ভোগার কারণে তাঁকে সময়ে সময়ে রক্তও দিতে হতো। তাঁর উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ছিল। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর নির্বাহী পরিচালক বদিউল আলম মজুমদার জানান, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি একুশে পদক পান। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ইমেরিটাস মোজাফ্ফর আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তিনি এক শোকবার্তায় প্রয়াতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক মোজাফ্ফরের দায়িত্ব পালনের কথাও স্মরণ করেন খালেদা জিয়া। শোক প্রকাশ করে অধ্যাপক মোজাফ্ফরের দীর্ঘদিনের কর্মসঙ্গী টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তাঁর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি গণমানুষের প্রতি দরদ থেকে আজীবন সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের বড় ছেলে সিরাজুল আমিন আহমদ জানান, রাত ১০টা ৩০ মিনিটে বাবার সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়। তখন বেডরুমে চেয়ারে বসে ছিলেন তিনি। তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী রওশন জাহান। তিনি এশার নামাজ পড়ে খাওয়া-দাওয়া করে নেবুলাইজার নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় তাঁরা তাঁকে দ্রুত ল্যাবএইডে নিয়ে যান। পথে তিনি জ্ঞান হারান। ১০টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালে ঢোকেন। চিকিৎসকরা তখনই ধারণা করেন, তিনি মারা গেছেন। পরে মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বড় ছেলেকে জানান, তিনি মূলত হার্ট অ্যাটাকেই মারা গেছেন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণ, রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকা, উচ্চরক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টও তাঁর মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছে।
জানাজা : সিরাজুল আমিন জানান, মারা যাওয়ার পর রাতেই তাঁর বাবার মৃতদেহ বারডেম হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বুধবার বাদ জোহর ধানমণ্ডি ঈদগাহে তাঁর জানাজা হবে। দাফন করা হবে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর মায়ের কবরের পাশে। সকাল ১১টার দিকে বারডেমের হিমঘর থেকে মৃতদেহ ধানমণ্ডির বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
পরিবার ও তাঁর সহকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টার পর মোজাফ্ফর আহমদ ধানমণ্ডির শঙ্করের বাসায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ল্যাবএইড হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খালিদ জানান, রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে অধ্যাপক মোজাফ্ফরকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জরুরি বিভাগের অন্য চিকিৎসক মো. ইমরান বলেন, 'অধ্যাপক মোজাফ্ফর আমাদের এখানে চেকআপের জন্য আসতেন। রক্তশূন্যতায় ভোগার কারণে তাঁকে সময়ে সময়ে রক্তও দিতে হতো। তাঁর উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ছিল। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর নির্বাহী পরিচালক বদিউল আলম মজুমদার জানান, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি একুশে পদক পান। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ইমেরিটাস মোজাফ্ফর আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তিনি এক শোকবার্তায় প্রয়াতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক মোজাফ্ফরের দায়িত্ব পালনের কথাও স্মরণ করেন খালেদা জিয়া। শোক প্রকাশ করে অধ্যাপক মোজাফ্ফরের দীর্ঘদিনের কর্মসঙ্গী টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তাঁর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি গণমানুষের প্রতি দরদ থেকে আজীবন সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের বড় ছেলে সিরাজুল আমিন আহমদ জানান, রাত ১০টা ৩০ মিনিটে বাবার সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়। তখন বেডরুমে চেয়ারে বসে ছিলেন তিনি। তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী রওশন জাহান। তিনি এশার নামাজ পড়ে খাওয়া-দাওয়া করে নেবুলাইজার নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় তাঁরা তাঁকে দ্রুত ল্যাবএইডে নিয়ে যান। পথে তিনি জ্ঞান হারান। ১০টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালে ঢোকেন। চিকিৎসকরা তখনই ধারণা করেন, তিনি মারা গেছেন। পরে মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বড় ছেলেকে জানান, তিনি মূলত হার্ট অ্যাটাকেই মারা গেছেন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণ, রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকা, উচ্চরক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টও তাঁর মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছে।
জানাজা : সিরাজুল আমিন জানান, মারা যাওয়ার পর রাতেই তাঁর বাবার মৃতদেহ বারডেম হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বুধবার বাদ জোহর ধানমণ্ডি ঈদগাহে তাঁর জানাজা হবে। দাফন করা হবে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর মায়ের কবরের পাশে। সকাল ১১টার দিকে বারডেমের হিমঘর থেকে মৃতদেহ ধানমণ্ডির বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
No comments