বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে-আবার ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং
বর্তমানে রাজধানীসহ সারা দেশে যেভাবে লোডশেডিং চলছে, তাতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ না থাকায় শহরবাসী নানা দুর্ভোগে পড়েছে; বিশেষ করে, মধ্যরাতে লোডশেডিংয়ের কারণে অসহ্য গরমে মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে, যার প্রভাব পড়ছে পেশাগত কাজের ওপর।
অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, পানিসংকট তৈরি হচ্ছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অথচ সেচের মৌসুম শেষ হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা কমার পর এ ধরনের পরিস্থিতি প্রত্যাশিত ছিল না। মাঝে লোডশেডিং কিছুটা কমার পর এখন আবার নতুন করে দফায় দফায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। পুরোনো কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকায় এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিগত দুই দশকে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে অনেক, সে তুলনায় উৎপাদন বাড়েনি। ফলে বর্তমানে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থার ত্রুটি, দুর্নীতি, অপচয় ও অব্যবস্থাপনা বর্তমান সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন গত জোট সরকারের আমলে এ খাত ছিল খুবই দুর্নীতিগ্রস্ত। তখন উৎপাদন বাড়েনি, বেড়েছে শুধু খুঁটির সংখ্যা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি। বর্তমান সরকারের প্রায় দেড় বছরেও এ খাতে বাস্তব অগ্রগতি ঘটেনি।
অন্যদিকে সংস্কারের অভাবে সরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতা কমেছে। পুরোনো এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রায়ই কারিগরি সমস্যার কারণে একাধিক ইউনিট বন্ধ রাখতে হয়। আর বেশির ভাগ ইউনিট গ্যাসভিত্তিক হওয়ায় গ্যাসের স্বল্পতার কারণে উৎপাদন কমে যায়। তা ছাড়া উৎপাদিত বিদ্যুতের এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি সিস্টেম লসের শিকার হয়, যা কারিগরিভাবে ৫ থেকে ৭ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা নয়। সিস্টেম লসের নামে বিদ্যুতের চুরি ঠেকাতেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
স্বল্প মেয়াদে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে আগামী দুই মাসের মধ্যে ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি যদি বর্তমান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধ হতে থাকে, তবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবে না। নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি বিদ্যুতের চুরি ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বিদ্যুৎ-সংকটের রাতারাতি কোনো সমাধান কেউ আশা করে না। এ জন্য ওই খাতে সরকারের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আর বিদ্যুৎ খাতের সব পরিকল্পনা জনগণকে জানিয়ে সংসদে আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। লোডশেডিংয়ের এই অসহনীয় অবস্থার একটি সমাধান বের করতে সরকার আরও যত্নবান হবে বলে আশা করি।
বিগত দুই দশকে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে অনেক, সে তুলনায় উৎপাদন বাড়েনি। ফলে বর্তমানে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থার ত্রুটি, দুর্নীতি, অপচয় ও অব্যবস্থাপনা বর্তমান সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন গত জোট সরকারের আমলে এ খাত ছিল খুবই দুর্নীতিগ্রস্ত। তখন উৎপাদন বাড়েনি, বেড়েছে শুধু খুঁটির সংখ্যা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি। বর্তমান সরকারের প্রায় দেড় বছরেও এ খাতে বাস্তব অগ্রগতি ঘটেনি।
অন্যদিকে সংস্কারের অভাবে সরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতা কমেছে। পুরোনো এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রায়ই কারিগরি সমস্যার কারণে একাধিক ইউনিট বন্ধ রাখতে হয়। আর বেশির ভাগ ইউনিট গ্যাসভিত্তিক হওয়ায় গ্যাসের স্বল্পতার কারণে উৎপাদন কমে যায়। তা ছাড়া উৎপাদিত বিদ্যুতের এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি সিস্টেম লসের শিকার হয়, যা কারিগরিভাবে ৫ থেকে ৭ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা নয়। সিস্টেম লসের নামে বিদ্যুতের চুরি ঠেকাতেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
স্বল্প মেয়াদে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে আগামী দুই মাসের মধ্যে ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি যদি বর্তমান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধ হতে থাকে, তবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবে না। নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি বিদ্যুতের চুরি ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বিদ্যুৎ-সংকটের রাতারাতি কোনো সমাধান কেউ আশা করে না। এ জন্য ওই খাতে সরকারের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আর বিদ্যুৎ খাতের সব পরিকল্পনা জনগণকে জানিয়ে সংসদে আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। লোডশেডিংয়ের এই অসহনীয় অবস্থার একটি সমাধান বের করতে সরকার আরও যত্নবান হবে বলে আশা করি।
No comments