তবে কি পরীক্ষার দিন হরতাল নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে?-কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো: পরদিন মঙ্গলবার কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠেয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৬ মে শনিবার। পরীক্ষার ঠিক আগের দিন পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি? কী কারণ? শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘অনিবার্য কারণে’ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ঘটনা হলো, নোয়াখালীতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি মঙ্গলবার স্থানীয়ভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। নোয়াখালী পড়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে। সুতরাং, ওই বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠেয় মঙ্গলবারের পরীক্ষা স্থগিত না করে উপায় কী? বিরোধী দল হরতাল ডেকেছে। তারা হরতাল ডাকে, কিন্তু তারা চেয়ে দেখে না জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয় কি না। তারা রাস্তায় নামে হরতাল সফল করতে। তার ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সেটা তো পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নিরাপদ-নির্বিঘ্ন হতে পারে না।
এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত মোট ছয় দিন হরতাল করেছে বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। দেশজুড়ে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষাগুলো চলছে—এটা তারা বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। খোদ শিক্ষামন্ত্রী একবার তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, অন্তত পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে হরতাল স্থগিত করতে। তারা কর্ণপাত করেনি। উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষাগুলোর অন্তত তিনটি হরতালের কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যমের ও লেভেল আর এ লেভেলের পরীক্ষার্থীদেরও অসহনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়ও বিঘ্ন ঘটেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় পরীক্ষাগুলোও হরতালের কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর এ কেমন বিবেচনাবোধ? তারা কেন এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ক্ষতি, ভোগান্তি, হতাশার দিকটি বিবেচনায় নিচ্ছে না? এ কেমন রাজনীতি? কাদের জন্য এই রাজনীতি? তবে কি সময় হয়েছে পরীক্ষার দিনে হরতাল নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়নের কথা ভেবে দেখার? তার চেয়ে কি ভালো হয় না রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেরাই এ বিষয়ে একটু দায়িত্বশীলতা ও বিবেচনাবোধের পরিচয় দিয়ে হরতালের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে?
এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত মোট ছয় দিন হরতাল করেছে বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। দেশজুড়ে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষাগুলো চলছে—এটা তারা বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। খোদ শিক্ষামন্ত্রী একবার তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, অন্তত পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে হরতাল স্থগিত করতে। তারা কর্ণপাত করেনি। উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষাগুলোর অন্তত তিনটি হরতালের কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যমের ও লেভেল আর এ লেভেলের পরীক্ষার্থীদেরও অসহনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়ও বিঘ্ন ঘটেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় পরীক্ষাগুলোও হরতালের কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর এ কেমন বিবেচনাবোধ? তারা কেন এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ক্ষতি, ভোগান্তি, হতাশার দিকটি বিবেচনায় নিচ্ছে না? এ কেমন রাজনীতি? কাদের জন্য এই রাজনীতি? তবে কি সময় হয়েছে পরীক্ষার দিনে হরতাল নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়নের কথা ভেবে দেখার? তার চেয়ে কি ভালো হয় না রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেরাই এ বিষয়ে একটু দায়িত্বশীলতা ও বিবেচনাবোধের পরিচয় দিয়ে হরতালের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে?
No comments