আবার অগ্নিকাণ্ড, আবারও মৃত্যু
আবারও ঢাকার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আট শ্রমিক পুড়ে মারা গেছেন। রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে আমাদের যেন জতুগৃহে বসবাস। আগুন থেকে কোনোভাবেই মুক্তি মিলছে না। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এ অগ্নিকাণ্ডে সম্পদের ক্ষতি যেমন হচ্ছে, তেমনি ঘটছে জীবনহানির ঘটনা।
এর আগে ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকার বাঁশবাড়ীতে। যাত্রাবাড়ীতে কারখানায় আগুন লেগে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল গত বছর। ঢাকা ইপিজেড, হা-মীম গ্রুপের কারখানায় আগুন লেগে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে গত বছর। আগুন লেগে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও কারো বোধোদয় হচ্ছে বলে মনে হয় না।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার কদমতলী থানার শ্যামপুর শিল্প এলাকার একটি প্রিন্টিং অ্যান্ড ডাইং কারখানায় আগুন লেগে আট শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের পোস্তগোলা স্টেশন ও ফুলবাড়িয়া সদর দপ্তরের মোট আটটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা করা হচ্ছে, কারখানার চারতলার ওপর ছাদে টিনশেড ঘরের একটি কক্ষের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। কারখানাটির ছাদে ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ২০ ফুট প্রশস্ত একটি টিনশেড ঘর তৈরি করা হয়েছিল। কারখানার ৩০ থেকে ৪০ জন শ্রমিক সেখানে থাকতেন। কারখানার মালিক শ্রমিকদের থাকার জন্য টিনশেড ঘর তৈরি করেন। ছাদের ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা ছাউনির ভেতরে নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ড্রাম দেখা গেছে। রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে মুহূর্তেই আগুন ব্যাপক আকার ধারণ করে বলে অনুমান করা যেতে পারে। এসব পদার্থের ড্রামের ফাঁকফোকরেই বিছানা করে শ্রমিকরা ঘুমিয়ে ছিল। শ্রমিকদের ঘরে ছিল গ্যাসের চুলা। এ ছাড়া মশার কয়েল কিংবা সিগারেট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নেভানোর পর ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। এরপর ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দাফনের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, নিহত শ্রমিকরা যেখানে থাকতেন সেখানেই রাসায়নিকের ড্রাম রাখা ছিল। এর আগে নিমতলীতে এক রাসায়নিকের কারখানায় আগুন লেগেই জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এর পরও আমাদের এতটুকু সাবধানতা নেই। কদমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা সামান্য অসাবধানতা থেকেই ঘটেছে। একদিকে এসব কারখানায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন নন। অন্যদিকে কারখানার মালিকও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করেননি। সাবধানতা অবলম্বন করলে শ্রমিকদের রাত্রিবাসের শেডে রাসায়নিকের ড্রাম রাখা হতো না। একই সঙ্গে এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে শ্রমিকদের অনেকটাই মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। যেখানে রাসায়নিকের ড্রাম রাখা হবে, সেখানে কেন শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে?
কদমতলীতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা দুঃখজনক। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ভবিষ্যতে কোনো কারখানায় যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে রক্ষা পাবে অনেক জীবন। নিরীহ শ্রমিকদের জীবনকে কেন ঠেলে দেওয়া হবে ঝুঁকির মুখে?
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার কদমতলী থানার শ্যামপুর শিল্প এলাকার একটি প্রিন্টিং অ্যান্ড ডাইং কারখানায় আগুন লেগে আট শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের পোস্তগোলা স্টেশন ও ফুলবাড়িয়া সদর দপ্তরের মোট আটটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা করা হচ্ছে, কারখানার চারতলার ওপর ছাদে টিনশেড ঘরের একটি কক্ষের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। কারখানাটির ছাদে ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ২০ ফুট প্রশস্ত একটি টিনশেড ঘর তৈরি করা হয়েছিল। কারখানার ৩০ থেকে ৪০ জন শ্রমিক সেখানে থাকতেন। কারখানার মালিক শ্রমিকদের থাকার জন্য টিনশেড ঘর তৈরি করেন। ছাদের ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা ছাউনির ভেতরে নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ড্রাম দেখা গেছে। রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে মুহূর্তেই আগুন ব্যাপক আকার ধারণ করে বলে অনুমান করা যেতে পারে। এসব পদার্থের ড্রামের ফাঁকফোকরেই বিছানা করে শ্রমিকরা ঘুমিয়ে ছিল। শ্রমিকদের ঘরে ছিল গ্যাসের চুলা। এ ছাড়া মশার কয়েল কিংবা সিগারেট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নেভানোর পর ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। এরপর ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দাফনের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, নিহত শ্রমিকরা যেখানে থাকতেন সেখানেই রাসায়নিকের ড্রাম রাখা ছিল। এর আগে নিমতলীতে এক রাসায়নিকের কারখানায় আগুন লেগেই জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এর পরও আমাদের এতটুকু সাবধানতা নেই। কদমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা সামান্য অসাবধানতা থেকেই ঘটেছে। একদিকে এসব কারখানায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন নন। অন্যদিকে কারখানার মালিকও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করেননি। সাবধানতা অবলম্বন করলে শ্রমিকদের রাত্রিবাসের শেডে রাসায়নিকের ড্রাম রাখা হতো না। একই সঙ্গে এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে শ্রমিকদের অনেকটাই মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। যেখানে রাসায়নিকের ড্রাম রাখা হবে, সেখানে কেন শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে?
কদমতলীতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা দুঃখজনক। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ভবিষ্যতে কোনো কারখানায় যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে রক্ষা পাবে অনেক জীবন। নিরীহ শ্রমিকদের জীবনকে কেন ঠেলে দেওয়া হবে ঝুঁকির মুখে?
No comments