সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফল স্বাভাবিক নয়-রেকর্ডসংখ্যক প্রথম শ্রেণী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭ সালের স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় (২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত) ৪৬ জনের প্রথম শ্রেণী পাওয়া নিয়ে শিক্ষকদের পারস্পরিক দোষারোপ প্রমাণ করে, এর পেছনে ঘাপলা রয়েছে। একই ব্যাচের স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী পেয়েছিলেন মাত্র আটজন।
স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফলে খোদ বিভাগীয় চেয়ারম্যানও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এবং এ জন্য দুজন শিক্ষকের বেশি নম্বর দেওয়াকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত একজন শিক্ষক বলেছেন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান এক শিক্ষার্থিনীকে বেশি নম্বর দিয়ে প্রথম শ্রেণী পাইয়ে দিয়েছেন। অপর একজন শিক্ষয়িত্রী পরীক্ষার্থীদের সময় দিতে না পারার কারণে প্রশ্নপত্র সহজ করার কথা স্বীকার করেছেন। বিভাগীয় শিক্ষকদের মধ্যকার বিরোধ ও আঞ্চলিকতার কারণে এমনটি হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন অন্য একজন শিক্ষয়িত্রী।
সব মিলিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পরিবেশ যে সুস্থ ও শিক্ষানুকূল নয়, তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এ অবস্থায় স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কীভাবে রেকর্ডসংখ্যক ৪৬ জন প্রথম শ্রেণী পেলেন, সে প্রশ্ন না উঠে পারে না। এর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ৫২ জনের প্রথম শ্রেণী পাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তোলপাড় হয়েছিল। গঠিত হয়েছিল তদন্ত কমিটিও। দেশের সর্বাধিক নামী বিদ্যাপীঠের পরীক্ষার ফলের ক্ষেত্রে এ রকম অনিয়ম ও দুর্নীতি হলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। যেকোনো বিভাগের পরীক্ষার ফলাফলে ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন। কোনো বছর অহেতুক ‘ঔদার্য’ দেখানো, আবার কোনো বছর মাত্রাতিরিক্ত ‘রক্ষণশীল’ হওয়া কাম্য নয়। অথচ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকেরা সেই কাজটিই করেছেন। শিক্ষকদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য থেকেও বোঝা যায়, এর পেছনে রহস্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ‘কোনো বিষয়ে অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখা’র কথা বলেছেন।
যে ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্নাতক সম্মানে মাত্র আটজন প্রথম শ্রেণী পেয়েছেন, সে ব্যাচের স্নাতকোত্তরে ৪৬ জনের প্রথম শ্রেণী পাওয়া অস্বাভাবিক বটে। কীভাবে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণী পেলেন, তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। ভালো পরীক্ষা দিয়ে কেউ ভালো ফল করলে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু অযৌক্তিক উদারতা দেখিয়ে জোর করে কাউকে প্রথম শ্রেণী পাইয়ে দিলে প্রকৃতই যাঁরা ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি অবিচার করা হয়। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অস্বাভাবিক ফলের পেছনে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকলে কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে তা খুুঁজে বের করা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
সব মিলিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পরিবেশ যে সুস্থ ও শিক্ষানুকূল নয়, তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এ অবস্থায় স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কীভাবে রেকর্ডসংখ্যক ৪৬ জন প্রথম শ্রেণী পেলেন, সে প্রশ্ন না উঠে পারে না। এর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ৫২ জনের প্রথম শ্রেণী পাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তোলপাড় হয়েছিল। গঠিত হয়েছিল তদন্ত কমিটিও। দেশের সর্বাধিক নামী বিদ্যাপীঠের পরীক্ষার ফলের ক্ষেত্রে এ রকম অনিয়ম ও দুর্নীতি হলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। যেকোনো বিভাগের পরীক্ষার ফলাফলে ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন। কোনো বছর অহেতুক ‘ঔদার্য’ দেখানো, আবার কোনো বছর মাত্রাতিরিক্ত ‘রক্ষণশীল’ হওয়া কাম্য নয়। অথচ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকেরা সেই কাজটিই করেছেন। শিক্ষকদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য থেকেও বোঝা যায়, এর পেছনে রহস্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ‘কোনো বিষয়ে অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখা’র কথা বলেছেন।
যে ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্নাতক সম্মানে মাত্র আটজন প্রথম শ্রেণী পেয়েছেন, সে ব্যাচের স্নাতকোত্তরে ৪৬ জনের প্রথম শ্রেণী পাওয়া অস্বাভাবিক বটে। কীভাবে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণী পেলেন, তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। ভালো পরীক্ষা দিয়ে কেউ ভালো ফল করলে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু অযৌক্তিক উদারতা দেখিয়ে জোর করে কাউকে প্রথম শ্রেণী পাইয়ে দিলে প্রকৃতই যাঁরা ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি অবিচার করা হয়। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অস্বাভাবিক ফলের পেছনে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকলে কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে তা খুুঁজে বের করা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
No comments