ঢাকার আদালতপাড়ায় ভাঙচুর-বিশৃঙ্খলা
ঢাকার আদালতপাড়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার আদালত চলাকালে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। আদালত ভবনে ভাঙচুরের এ ঘটনায় গভীর রাতে বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব সানাউল্লাহ মিয়া, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ঢাকা বারের সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন, আইনজীবী মহসীন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান ও খোরশেদ আলমসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ রাতেই অভিযান শুরু করে। কোতোয়ালি থানা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ভাঙচুরের পরপর এ ঘটনার প্রতিবাদে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা মিছিল বের করলে আদালত এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে বাগ্বিতণ্ডাও হয়।
বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট নেতাদের কারাগারে পাঠানো এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালিত হয়নি। বরং বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা দলবেঁধে খায়রুল কবীর খোকনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেছেন গতকাল। আগের দিন সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিনের মেয়াদ না বাড়িয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ওই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। একই সঙ্গে কালো ব্যাজ ধারণ করে আদালত এলাকায় মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
গতকাল সকাল ১০টায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে ওই কর্মসূচি শুরু হয়। ওই সময় বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে এবং কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে একপর্যায়ে তাঁরা আদালত ভবনে ঢুকে মিছিল করতে থাকেন। ওই সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা আদালতের এজলাসসহ বিভিন্ন দপ্তরের দরজা-জানালায় লাথি মেরে, আঘাত করে শব্দ করতে থাকেন। তাঁরা সরকার, বিভিন্ন মন্ত্রী ও বিচারকদের নাম উল্লেখ করে স্লোগান দেন। এতে আদালতের কাজকর্মে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। সাধারণ আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আদালতের কর্মচারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার তরিকুল ইসলাম ও কর্মচারী জসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা জেলা জজ আদালত ভবনে ঢুকে মিছিল করেন। জেলা জজের খাস কামরার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন তাঁরা। লাথি মেরে জেলা জজের খাস কামরার সামনের কক্ষের জানালার কাচ ভেঙে ফেলা হয়। এরপর মিছিলকারীরা অন্য আদালতের দিকে চলে যান। সকাল ১১টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের প্রশাসনিক দপ্তরের একটি জানালার কাচ ভাঙচুর করেন মিছিলকারীরা।
দায়রা আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ শাহাবুদ্দিন ও নাজির মো. ওবায়দুল হক কালের কণ্ঠকে জানান, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিলের একপর্যায়ে আদালতের দরজায় আঘাত করেন এবং জানালার কাচ ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিছিল শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেন আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। বিচার বিভাগে দলীয়করণের মাধ্যমে আদালতে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ ১৮ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সমাবেশের পর ফোরামের কয়েকজন সদস্য মিছিল করে মহানগর হাকিম আদালতের তৃতীয় তলায় যান। মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের এজলাসে বিচারকাজ চলাকালে বিচারককে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান তাঁরা। এমনকি কালো পতাকা ছুড়ে মেরে আদালতকে বিচারকাজ বন্ধ রাখতে বলেন। বিচারক পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সাময়িকভাবে আদালতকক্ষ ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। ওই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক একদল আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হয়ে জাতীয়তাবাদী ফোরামের সদস্যদের আচরণের প্রতিবাদ জানালে দুই পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড বাগ্বিতণ্ডা হয়। এতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা খায়রুল কবীর খোকনের জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সানাউল্লাহ মিয়া, আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. বোরহানউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসীন মিয়া, ইকবাল হোসেন, খন্দকার দিদারুল ইসলাম ও ওমর ফারুক ফারুকীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আইনজীবী গতকাল বিভিন্ন সময়ে মিছিলে অংশ নেন।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দলের আইনজীবীদের এই উচ্ছৃঙ্খলতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আদালতে তাঁদের এ ধরনের আচরণের জন্য মামলা হওয়া উচিত।
এদিকে ভাঙচুরের পরপর এ ঘটনার প্রতিবাদে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা মিছিল বের করলে আদালত এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে বাগ্বিতণ্ডাও হয়।
বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট নেতাদের কারাগারে পাঠানো এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালিত হয়নি। বরং বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা দলবেঁধে খায়রুল কবীর খোকনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেছেন গতকাল। আগের দিন সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিনের মেয়াদ না বাড়িয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ওই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। একই সঙ্গে কালো ব্যাজ ধারণ করে আদালত এলাকায় মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
গতকাল সকাল ১০টায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে ওই কর্মসূচি শুরু হয়। ওই সময় বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে এবং কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে একপর্যায়ে তাঁরা আদালত ভবনে ঢুকে মিছিল করতে থাকেন। ওই সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা আদালতের এজলাসসহ বিভিন্ন দপ্তরের দরজা-জানালায় লাথি মেরে, আঘাত করে শব্দ করতে থাকেন। তাঁরা সরকার, বিভিন্ন মন্ত্রী ও বিচারকদের নাম উল্লেখ করে স্লোগান দেন। এতে আদালতের কাজকর্মে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। সাধারণ আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আদালতের কর্মচারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার তরিকুল ইসলাম ও কর্মচারী জসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা জেলা জজ আদালত ভবনে ঢুকে মিছিল করেন। জেলা জজের খাস কামরার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন তাঁরা। লাথি মেরে জেলা জজের খাস কামরার সামনের কক্ষের জানালার কাচ ভেঙে ফেলা হয়। এরপর মিছিলকারীরা অন্য আদালতের দিকে চলে যান। সকাল ১১টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের প্রশাসনিক দপ্তরের একটি জানালার কাচ ভাঙচুর করেন মিছিলকারীরা।
দায়রা আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ শাহাবুদ্দিন ও নাজির মো. ওবায়দুল হক কালের কণ্ঠকে জানান, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিলের একপর্যায়ে আদালতের দরজায় আঘাত করেন এবং জানালার কাচ ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিছিল শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেন আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। বিচার বিভাগে দলীয়করণের মাধ্যমে আদালতে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ ১৮ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সমাবেশের পর ফোরামের কয়েকজন সদস্য মিছিল করে মহানগর হাকিম আদালতের তৃতীয় তলায় যান। মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের এজলাসে বিচারকাজ চলাকালে বিচারককে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান তাঁরা। এমনকি কালো পতাকা ছুড়ে মেরে আদালতকে বিচারকাজ বন্ধ রাখতে বলেন। বিচারক পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সাময়িকভাবে আদালতকক্ষ ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। ওই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক একদল আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হয়ে জাতীয়তাবাদী ফোরামের সদস্যদের আচরণের প্রতিবাদ জানালে দুই পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড বাগ্বিতণ্ডা হয়। এতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা খায়রুল কবীর খোকনের জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সানাউল্লাহ মিয়া, আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. বোরহানউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসীন মিয়া, ইকবাল হোসেন, খন্দকার দিদারুল ইসলাম ও ওমর ফারুক ফারুকীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আইনজীবী গতকাল বিভিন্ন সময়ে মিছিলে অংশ নেন।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দলের আইনজীবীদের এই উচ্ছৃঙ্খলতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আদালতে তাঁদের এ ধরনের আচরণের জন্য মামলা হওয়া উচিত।
No comments