সব পক্ষকে সংযত থাকতে হবে-হাসপাতালে গোলযোগ
শনিবার এক অপ্রীতিকর ঘটনায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনাটি সত্যিই মর্মপীড়াদায়ক। রোগীরা হাসপাতালে যায় রোগ-শোকের হাত থেকে বাঁচার জন্য। সেখানে যদি মারধর, সংঘর্ষ ও সহিংসতায় আতঙ্কিত হয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে হয় তাহলে রোগীরা যাবে কোথায়?
বারডেম হাসপাতালের যে সুনাম তাতে ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে অনেক বেশি সহনশীল আচরণ মানুষের কাম্য। অথচ সেদিন কথাকাটাকাটির জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে লিফটম্যান চড় মেরে বসলেন কীভাবে? কথার পিঠে কথা চলে, হাত ওঠানো তো গুরুতর অপরাধ। সেই ছাত্রের কথায় যদি কোনো আপত্তিকর কিছু থেকে থাকে তার প্রতিকারে প্রাতিষ্ঠানিক শান্তিপূর্ণ উপায়গুলোর আশ্রয় না নিয়ে কেন লিফটম্যান শক্তি প্রদর্শন করতে গেলেন?
ঘটনা সেখানেই থেমে থাকেনি। পরে বারডেমের পরিচালকের সঙ্গে আলোচনায় আশ্বস্ত হয়ে বের হওয়ার পথে বারডেমের নিরাপত্তারক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর হামলা চালান ও দুজনকে আটকে রাখেন। এভাবে সংঘর্ষ ছড়ায়। পাঁচজন ছাত্র আহত হন। শাহবাগ এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় একজন নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হোক।
এ ঘটনায় বারডেমের কর্মচারী ও নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর সব দোষ একতরফাভাবে চাপানো যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে যতটা নমনীয় মনোভাব মানুষ আশা করে, অনেক সময় সে রকম পাওয়া যায় না। ছোটখাটো ঘটনায়ও দেখা যায় শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে গিয়ে হাজির হন। দলবদ্ধতার যে মনোভাব কাজ করে তা গ্রহণযোগ্য নয়; বরং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আরও বেশি সংযত আচরণ কাম্য।
হাসপাতালকে সব সময় সব ধরনের গোলযোগ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সেখানে মরণাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা হয়। যেখানে হাসপাতালের কাছে এমনকি গাড়ির হর্ন বাজানোও নিষেধ, সেখানে সংঘর্ষ কেন হবে? কয়েক দিন আগেও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এক তুচ্ছ ঘটনায় একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অনেক সময় হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী মারা গেলে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। গত শুক্রবার এ ধরনের এক ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ভাঙচুর করা হলে রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
হাসপাতালে কোনোভাবেই শান্তিভঙ্গ হতে দেওয়া যায় না। এ ব্যাপারে সব মহলকে সংযত থাকতে হবে।
ঘটনা সেখানেই থেমে থাকেনি। পরে বারডেমের পরিচালকের সঙ্গে আলোচনায় আশ্বস্ত হয়ে বের হওয়ার পথে বারডেমের নিরাপত্তারক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর হামলা চালান ও দুজনকে আটকে রাখেন। এভাবে সংঘর্ষ ছড়ায়। পাঁচজন ছাত্র আহত হন। শাহবাগ এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় একজন নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হোক।
এ ঘটনায় বারডেমের কর্মচারী ও নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর সব দোষ একতরফাভাবে চাপানো যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে যতটা নমনীয় মনোভাব মানুষ আশা করে, অনেক সময় সে রকম পাওয়া যায় না। ছোটখাটো ঘটনায়ও দেখা যায় শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে গিয়ে হাজির হন। দলবদ্ধতার যে মনোভাব কাজ করে তা গ্রহণযোগ্য নয়; বরং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আরও বেশি সংযত আচরণ কাম্য।
হাসপাতালকে সব সময় সব ধরনের গোলযোগ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সেখানে মরণাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা হয়। যেখানে হাসপাতালের কাছে এমনকি গাড়ির হর্ন বাজানোও নিষেধ, সেখানে সংঘর্ষ কেন হবে? কয়েক দিন আগেও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এক তুচ্ছ ঘটনায় একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অনেক সময় হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী মারা গেলে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। গত শুক্রবার এ ধরনের এক ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ভাঙচুর করা হলে রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
হাসপাতালে কোনোভাবেই শান্তিভঙ্গ হতে দেওয়া যায় না। এ ব্যাপারে সব মহলকে সংযত থাকতে হবে।
No comments