একক নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেই জাতীয় পার্টি by মোশতাক আহমদ
এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনো মাঠে নামতে পারেনি মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি। এ বছরের শুরু থেকে লংমার্চসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলে আসছেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। এ ঘোষণায় দলের নেতা-কর্মীরা মনে করেছিলেন, এখন থেকেই হয়তো জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিসহ নানা ইস্যুতে প্রধান বিরোধী দলের কর্মসূচিতে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও জাতীয় পার্টি এখনো কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি হাতে নিতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে দলটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। সাংগঠনিক কর্মসূচি না পেয়ে হতাশ দলের নেতা-কর্মীরাও।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা জানান, আড়াই মাস ধরে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি নেই। পানি রক্ষার দাবিতে গত ৫ মার্চ ফেনী নদী অভিমুখে লংমার্চই ছিল দলের শেষ কর্মসূচি। এরপর কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলায় আর কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। এভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি না পেয়ে দলের নেতা-কর্মীরা দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছেন।
ওই নেতা জানান, মহাজোটে থাকলেও দেশ ও জনগণের স্বার্থে লংমার্চসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে সরব থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় পার্টি। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতাদের মতানৈক্য, সমন্বয়হীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এরশাদের যুববিষয়ক উপদেষ্টা আবদুস সবুর বলেন, একক নির্বাচন করতে হলে এখনই জাতীয় পার্টিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করতে হবে। এ বিষয়ে পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিশ্চয়ই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতি মাসে না হলেও অন্তত দুই মাসে একবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা-ও হচ্ছে না। জেলা পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তদারকিসহ তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন শক্তিশালী করতে পাঁচ মাস আগে কেন্দ্র থেকে একাধিক টিম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু পরে সেই উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দল কোন দিকে তা-ই বুঝতে পারছেন না নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকেও কোনো নির্দেশনা নেই।
জাতীয় পার্টির জেলা পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি রাজনীতির কারণে দেশ এখন উত্তপ্ত। এ পরিস্থিতিতে তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দল একেবারেই নীরব। কোনো কর্মসূচিই নেই। বিষয়টি দুঃখজনক।' তিনি বলেন, কর্মসূচি না থাকায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা হতাশ।
দলের যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মো. রাজু বলেন, সাংগঠনিক কর্মসূচি ঠিক করতে গত শনিবার বনানীতে দলীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরশাদ দেশের বাইরে থাকায় তা স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, আট দিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার রাতে চীন গেছেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা জানান, আড়াই মাস ধরে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি নেই। পানি রক্ষার দাবিতে গত ৫ মার্চ ফেনী নদী অভিমুখে লংমার্চই ছিল দলের শেষ কর্মসূচি। এরপর কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলায় আর কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। এভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি না পেয়ে দলের নেতা-কর্মীরা দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছেন।
ওই নেতা জানান, মহাজোটে থাকলেও দেশ ও জনগণের স্বার্থে লংমার্চসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে সরব থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় পার্টি। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতাদের মতানৈক্য, সমন্বয়হীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এরশাদের যুববিষয়ক উপদেষ্টা আবদুস সবুর বলেন, একক নির্বাচন করতে হলে এখনই জাতীয় পার্টিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করতে হবে। এ বিষয়ে পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিশ্চয়ই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতি মাসে না হলেও অন্তত দুই মাসে একবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা-ও হচ্ছে না। জেলা পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তদারকিসহ তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন শক্তিশালী করতে পাঁচ মাস আগে কেন্দ্র থেকে একাধিক টিম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু পরে সেই উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দল কোন দিকে তা-ই বুঝতে পারছেন না নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকেও কোনো নির্দেশনা নেই।
জাতীয় পার্টির জেলা পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি রাজনীতির কারণে দেশ এখন উত্তপ্ত। এ পরিস্থিতিতে তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দল একেবারেই নীরব। কোনো কর্মসূচিই নেই। বিষয়টি দুঃখজনক।' তিনি বলেন, কর্মসূচি না থাকায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা হতাশ।
দলের যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মো. রাজু বলেন, সাংগঠনিক কর্মসূচি ঠিক করতে গত শনিবার বনানীতে দলীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরশাদ দেশের বাইরে থাকায় তা স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, আট দিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার রাতে চীন গেছেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
No comments