যে নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে এত কিছু by সুমন কায়সার
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ব্যবস্থা বাংলাদেশের মতোই। এ পদ্ধতি সেখানে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ হিসেবে পরিচিত। এর অর্থ, কোনো আসনে সবচেয়ে বেশি ভোট যে প্রার্থী পাবেন, তাঁকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। অন্য প্রার্থীরা সবাই মিলে তাঁর চেয়ে বেশি ভোট পেলেও অসুবিধা নেই।
অর্থাৎ যিনি জিতলেন তাঁকে সমর্থন করার চেয়ে বিরোধিতা করেন—এমন ভোটারই হয়তো ওই আসনে বেশি। ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ কথাটা এসেছে ঘোড়দৌড় থেকে।
কোনো দল সার্বিক বা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে (অর্থাৎ অন্য দলগুলো সবাই মিলে যা পাবে, এর চেয়েও বেশি আসন) সরকার গঠন করবে। সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা সেখানে মূলত পরিচিত ‘ওভারঅল’ মেজরিটি হিসেবে। কোনো দল সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেই হয় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটস পার্টি বলছে, ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতি ছোট দলগুলোর জন্য বৈষম্যমূলক। ২০০৫ সালে মোট ভোটের ২২ শতাংশ পেয়েও লিব ডেমরা আসন পেয়েছিল মাত্র ৯ শতাংশ। সংস্কারের পক্ষে যারা, তাদের বক্তব্য হচ্ছে, কিছু নিশ্চিত আসনে বহু ভোট কার্যত অপচয় হয়। কারণ ওই সব আসনে হয় লেবার বা কনজারভেটিভদের বিশাল সমর্থন থাকে বলে অনেকেই ভোট দিতে যেতেও চান না।
লিব ডেমরা সিঙ্গল ট্রান্সফারেবল ভোট (এসটিভি) নামে একটি পদ্ধতির পক্ষে। তাদের যুক্তি, এ পদ্ধতি দল ছাড়াও প্রার্থীদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেবে ভোটারদের।
এসটিভি যেভাবে কাজ করবে
মাত্র একজন প্রার্থীর নামের পাশে ‘X’ চিহ্ন দেওয়ার বদলে ভোটার তাঁর প্রথম পছন্দের প্রার্থীর পাশে এক, দ্বিতীয় পছন্দের পাশে দুই এবং এভাবে নম্বর দিতে থাকবেন। একজন ভোটারের প্রথম পছন্দের প্রার্থী একটি নির্দিষ্টসংখ্যক ভোট পেলে বা তা ছাড়িয়ে গেলে (যাকে বলা হবে কোটা) তিনি নির্বাচিত হবেন। বিজয়ী প্রার্থী যদি কোটার চেয়ে বেশি ভোট পান, তাহলে বাড়তি ভোটগুলো আনুপাতিকহারে অন্য প্রার্থীর মধ্যে বণ্টন করা হবে। এ বিতরণ হবে বিজয়ী প্রার্থীকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের উল্লেখ করা পছন্দক্রম অনুযায়ী।
এসটিভি পদ্ধতি চালু হলে বর্তমানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের এক আসনে এক প্রার্থী ব্যবস্থার অবসান ঘটতে পারে। এসটিভির আওতায় বড়, আঞ্চলিক ও এক দলের একাধিক প্রার্থীর আসনের ব্যবস্থা থাকবে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রামীণ নির্বাচনী এলাকাগুলো এখনকার চেয়ে অনেক বড় হবে। দলগুলো এক আসনে একাধিক প্রার্থী দিতে পারবে। এর অর্থ দাঁড়াবে, ভোটার তাঁর পছন্দের দল ও প্রার্থী উভয়কেই ভোট দিতে পারবেন।
অলটারনেটিভ ভোট
এ পর্যন্ত লেবার দল এসটিভির পক্ষে নয়। তবে অন্য একটি নতুন ব্যবস্থার ব্যাপারে তারা খুবই আগ্রহী ছিল। একে বলা হচ্ছে, অলটারনেটিভ ভোট (বিকল্প ভোট) বা এভি। তাদের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে এটি ছিল।
এসটিভির সঙ্গে এভির কিছু তফাত আছে। এভিতে ভোটাররা পছন্দের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমিক নম্বর দেবেন। কোনো প্রার্থী প্রথম রাউন্ডে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে নির্বাচিত হবেন। তা না হলে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী বাদ পড়বেন এবং তাঁদের দ্বিতীয় পছন্দটি বরাদ্দ হবে অবশিষ্ট প্রার্থীদের জন্য। বিজয়ী বের হয়ে না আসা পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলবে।
বর্তমান ব্যবস্থায় অনেক এমপিই নির্বাচিত হন তাঁর এলাকার ভোটারদের একটি সংখ্যালঘু অংশের রায়ে। কারণ, এককভাবে বেশি ভোট পেলেই বিজয়ী হওয়া যায়। বিকল্প ভোটিং (এভি) ব্যবস্থায় নিজ এলাকার অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন ছাড়া কেউ এমপি হতে পারবেন না। এটি এমপিদের গ্রহণযোগ্যতা ও ভোটারদের বাছাইয়ের সুযোগ দুটোই বাড়াবে।
তবে এটা ঠিক, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নয়। কারণ, দলগুলো ৫০ শতাংশের কম প্রথম পছন্দের ভোট পেয়েও সরকার গঠন করতে পারবে। ‘ইলেকটোরাল রিফর্ম সোসাইটি’র মতো আন্দোলনকারী ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দল একটি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পক্ষে, যে ব্যবস্থায় একটি দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা তাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যার সঙ্গে আরও বেশি সংগতিপূর্ণ হবে।
লিব ডেমদের সঙ্গে সরকার গঠনের আলোচনায় নির্বাচনী সংস্কারের ব্যাপারে অনেকটাই নমনীয়তা দেখিয়েছিল লেবার পার্টি। ১৯৯৭ সাল থেকেই তাঁরা নির্বাচনী সংস্কারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৯৭ সালে দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে এ সংস্কারের ব্যাপারে গণভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রচলিত ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতির বিকল্প নির্বাচনী পদ্ধতি হস্তান্তরিত প্রশাসন (যেমন, স্কটল্যান্ড), ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও লন্ডন অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে প্রবর্তন করা হলেও ওয়েস্টমিনস্টার (কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট) নির্বাচনে তা এখনো প্রয়োগ করা হয়নি।
লিব ডেমদের যুক্তি হলো, বিকল্প ভোটব্যবস্থাও যথেষ্ট আনুপাতিক নয়। এমনকি এটি হয়তো প্রচলিত পদ্ধতির চেয়েও কম আনুপাতিক। তবে বিকল্প ভোট-ব্যবস্থার প্রতি লেবার পার্টির সমর্থনকে ‘সঠিক পথে ছোট্ট পদক্ষেপ’ হিসেবেই বর্ণনা করেছে লিব ডেম। নির্বাচনী সংস্কারের ব্যাপারে লেবার পার্টির প্রস্তাবিত গণভোটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল দলটি। পরিস্থিতিতে আরেকটি মাত্রা যোগ হয়, যখন গত মার্চে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিব ডেমের নেতা নিক ক্লেগ বলেন, বিকল্প ভোটব্যবস্থার একটি ‘পরিমার্জিত’ সংস্করণের প্রতি তাঁরা সমর্থন দিতে পারেন। এটি এভি+ হিসেবে পরিচিত।
এভি+পদ্ধতি কিছুটা আগের এভি পদ্ধতির মতোই। তবে এর বাড়তি বিষয়টি হচ্ছে, ভোটাররা নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দের ক্রম অনুযায়ী একটি বিন্যাস তৈরি করার পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়ে তাঁরা আরেকটি ভোট পাবেন। তাঁরা হয় কোনো পছন্দের দলকে ভোট দেবেন, নয়তো দলগুলোর প্রস্তাবিত তালিকা থেকে কোনো প্রার্থীকে এ দ্বিতীয় ভোটটি দেবেন। এর অর্থ হলো, এ পদ্ধতিতে নির্বাচনী এলাকা থেকে যেমন এমপি নির্বাচিত হবেন, তেমনই দলীয় তালিকার এমপিও থাকবেন। কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, দুই ধরনের এমপি থাকার বিষয়টি এ পদ্ধতির একটি অসুবিধা। যুক্তরাজ্যের কোথাও এখনো পর্যন্ত এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়নি। তবে সমর্থকদের বক্তব্য, এতে ভোটের আনুপাতিক হারের বেশি প্রতিফলন থাকবে। আবার বর্তমান পদ্ধতির ‘এমপিভিত্তিক নির্বাচনী এলাকা’র ব্যাপারটিও বহাল থাকবে।
এ পর্যন্ত কনজারভেটিভ দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিরোধী ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর কোয়ালিশন গঠনের আলোচনায় তারা নাটকীয়ভাবে অবস্থান বদলে ফেলে এবং এভি বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব দেয়।
কোনো দল সার্বিক বা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে (অর্থাৎ অন্য দলগুলো সবাই মিলে যা পাবে, এর চেয়েও বেশি আসন) সরকার গঠন করবে। সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা সেখানে মূলত পরিচিত ‘ওভারঅল’ মেজরিটি হিসেবে। কোনো দল সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেই হয় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটস পার্টি বলছে, ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতি ছোট দলগুলোর জন্য বৈষম্যমূলক। ২০০৫ সালে মোট ভোটের ২২ শতাংশ পেয়েও লিব ডেমরা আসন পেয়েছিল মাত্র ৯ শতাংশ। সংস্কারের পক্ষে যারা, তাদের বক্তব্য হচ্ছে, কিছু নিশ্চিত আসনে বহু ভোট কার্যত অপচয় হয়। কারণ ওই সব আসনে হয় লেবার বা কনজারভেটিভদের বিশাল সমর্থন থাকে বলে অনেকেই ভোট দিতে যেতেও চান না।
লিব ডেমরা সিঙ্গল ট্রান্সফারেবল ভোট (এসটিভি) নামে একটি পদ্ধতির পক্ষে। তাদের যুক্তি, এ পদ্ধতি দল ছাড়াও প্রার্থীদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেবে ভোটারদের।
এসটিভি যেভাবে কাজ করবে
মাত্র একজন প্রার্থীর নামের পাশে ‘X’ চিহ্ন দেওয়ার বদলে ভোটার তাঁর প্রথম পছন্দের প্রার্থীর পাশে এক, দ্বিতীয় পছন্দের পাশে দুই এবং এভাবে নম্বর দিতে থাকবেন। একজন ভোটারের প্রথম পছন্দের প্রার্থী একটি নির্দিষ্টসংখ্যক ভোট পেলে বা তা ছাড়িয়ে গেলে (যাকে বলা হবে কোটা) তিনি নির্বাচিত হবেন। বিজয়ী প্রার্থী যদি কোটার চেয়ে বেশি ভোট পান, তাহলে বাড়তি ভোটগুলো আনুপাতিকহারে অন্য প্রার্থীর মধ্যে বণ্টন করা হবে। এ বিতরণ হবে বিজয়ী প্রার্থীকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের উল্লেখ করা পছন্দক্রম অনুযায়ী।
এসটিভি পদ্ধতি চালু হলে বর্তমানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের এক আসনে এক প্রার্থী ব্যবস্থার অবসান ঘটতে পারে। এসটিভির আওতায় বড়, আঞ্চলিক ও এক দলের একাধিক প্রার্থীর আসনের ব্যবস্থা থাকবে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রামীণ নির্বাচনী এলাকাগুলো এখনকার চেয়ে অনেক বড় হবে। দলগুলো এক আসনে একাধিক প্রার্থী দিতে পারবে। এর অর্থ দাঁড়াবে, ভোটার তাঁর পছন্দের দল ও প্রার্থী উভয়কেই ভোট দিতে পারবেন।
অলটারনেটিভ ভোট
এ পর্যন্ত লেবার দল এসটিভির পক্ষে নয়। তবে অন্য একটি নতুন ব্যবস্থার ব্যাপারে তারা খুবই আগ্রহী ছিল। একে বলা হচ্ছে, অলটারনেটিভ ভোট (বিকল্প ভোট) বা এভি। তাদের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে এটি ছিল।
এসটিভির সঙ্গে এভির কিছু তফাত আছে। এভিতে ভোটাররা পছন্দের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমিক নম্বর দেবেন। কোনো প্রার্থী প্রথম রাউন্ডে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে নির্বাচিত হবেন। তা না হলে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী বাদ পড়বেন এবং তাঁদের দ্বিতীয় পছন্দটি বরাদ্দ হবে অবশিষ্ট প্রার্থীদের জন্য। বিজয়ী বের হয়ে না আসা পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলবে।
বর্তমান ব্যবস্থায় অনেক এমপিই নির্বাচিত হন তাঁর এলাকার ভোটারদের একটি সংখ্যালঘু অংশের রায়ে। কারণ, এককভাবে বেশি ভোট পেলেই বিজয়ী হওয়া যায়। বিকল্প ভোটিং (এভি) ব্যবস্থায় নিজ এলাকার অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন ছাড়া কেউ এমপি হতে পারবেন না। এটি এমপিদের গ্রহণযোগ্যতা ও ভোটারদের বাছাইয়ের সুযোগ দুটোই বাড়াবে।
তবে এটা ঠিক, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নয়। কারণ, দলগুলো ৫০ শতাংশের কম প্রথম পছন্দের ভোট পেয়েও সরকার গঠন করতে পারবে। ‘ইলেকটোরাল রিফর্ম সোসাইটি’র মতো আন্দোলনকারী ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দল একটি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পক্ষে, যে ব্যবস্থায় একটি দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা তাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যার সঙ্গে আরও বেশি সংগতিপূর্ণ হবে।
লিব ডেমদের সঙ্গে সরকার গঠনের আলোচনায় নির্বাচনী সংস্কারের ব্যাপারে অনেকটাই নমনীয়তা দেখিয়েছিল লেবার পার্টি। ১৯৯৭ সাল থেকেই তাঁরা নির্বাচনী সংস্কারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৯৭ সালে দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে এ সংস্কারের ব্যাপারে গণভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রচলিত ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতির বিকল্প নির্বাচনী পদ্ধতি হস্তান্তরিত প্রশাসন (যেমন, স্কটল্যান্ড), ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও লন্ডন অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে প্রবর্তন করা হলেও ওয়েস্টমিনস্টার (কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট) নির্বাচনে তা এখনো প্রয়োগ করা হয়নি।
লিব ডেমদের যুক্তি হলো, বিকল্প ভোটব্যবস্থাও যথেষ্ট আনুপাতিক নয়। এমনকি এটি হয়তো প্রচলিত পদ্ধতির চেয়েও কম আনুপাতিক। তবে বিকল্প ভোট-ব্যবস্থার প্রতি লেবার পার্টির সমর্থনকে ‘সঠিক পথে ছোট্ট পদক্ষেপ’ হিসেবেই বর্ণনা করেছে লিব ডেম। নির্বাচনী সংস্কারের ব্যাপারে লেবার পার্টির প্রস্তাবিত গণভোটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল দলটি। পরিস্থিতিতে আরেকটি মাত্রা যোগ হয়, যখন গত মার্চে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিব ডেমের নেতা নিক ক্লেগ বলেন, বিকল্প ভোটব্যবস্থার একটি ‘পরিমার্জিত’ সংস্করণের প্রতি তাঁরা সমর্থন দিতে পারেন। এটি এভি+ হিসেবে পরিচিত।
এভি+পদ্ধতি কিছুটা আগের এভি পদ্ধতির মতোই। তবে এর বাড়তি বিষয়টি হচ্ছে, ভোটাররা নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দের ক্রম অনুযায়ী একটি বিন্যাস তৈরি করার পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়ে তাঁরা আরেকটি ভোট পাবেন। তাঁরা হয় কোনো পছন্দের দলকে ভোট দেবেন, নয়তো দলগুলোর প্রস্তাবিত তালিকা থেকে কোনো প্রার্থীকে এ দ্বিতীয় ভোটটি দেবেন। এর অর্থ হলো, এ পদ্ধতিতে নির্বাচনী এলাকা থেকে যেমন এমপি নির্বাচিত হবেন, তেমনই দলীয় তালিকার এমপিও থাকবেন। কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, দুই ধরনের এমপি থাকার বিষয়টি এ পদ্ধতির একটি অসুবিধা। যুক্তরাজ্যের কোথাও এখনো পর্যন্ত এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়নি। তবে সমর্থকদের বক্তব্য, এতে ভোটের আনুপাতিক হারের বেশি প্রতিফলন থাকবে। আবার বর্তমান পদ্ধতির ‘এমপিভিত্তিক নির্বাচনী এলাকা’র ব্যাপারটিও বহাল থাকবে।
এ পর্যন্ত কনজারভেটিভ দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিরোধী ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর কোয়ালিশন গঠনের আলোচনায় তারা নাটকীয়ভাবে অবস্থান বদলে ফেলে এবং এভি বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব দেয়।
No comments