ভূমিকম্প ও সুনামি-সংকট মুক্তিতে জাপানের ত্রিমুখী সংগ্রাম by মনজুরুল হক

ঠিক এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দুইটা ৪৬ মিনিটে আঘাত হানা প্রচণ্ড ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল জাপানে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ত্রিমুখী সংকট। ভূমিকম্পের আঘাতে হতবিহ্বল মানুষ দুর্যোগের ব্যাপকতা বুঝে ওঠার আগেই ধেয়ে আসে সুনামির ঢেউ, যা ভাসিয়ে নিয়ে যায় বাড়িঘর, গাছপালা, যানবাহন,


দৈনন্দিন ব্যবহারের নানা রকম জিনিসপত্রসহ উপকূল এলাকায় বসবাসরত কয়েক হাজার নারী-পুরুষ আর শিশুকে। ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে সুনামির ব্যাপকতা ছিল ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি। বিশাল সেই ধ্বংসযজ্ঞের মুখে শোকাহত মানুষের চোখের জল ঝরতে থাকার মুখেই এসে যায় তৃতীয় আঘাত, যার আপাত দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতি তেমন ব্যাপক না দেখালেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবকে মোটেও খাটো করে দেখা যায় না। দুর্যোগ আঘাত হানার এক সপ্তাহ পর জাপানকে তাই এখন পুনরুদ্ধারের পথে ত্রিমুখী সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
সুনামির ঢেউয়ে ভেসে আসা ধ্বংসাবশেষ ও আবর্জনা সরিয়ে ফেলার কাজ এগিয়ে চলায় উত্তর-পূর্ব জাপানের দুর্যোগকবলিত বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ এখন ধীরে ধীরে আবারও স্থাপিত হচ্ছে। রেল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সড়কপথেই কেবল সেদিকে যাতায়াত এখন সম্ভব। তবে পেট্রলের ঘাটতি সেই যোগাযোগকে কঠিন করে তুলছে। তোহোকুর পথে যাত্রাকারী গাড়ির জন্য পথের বিভিন্ন পেট্রল স্টেশনে একটি গাড়িকে একবারে শুধু ১০ লিটার পর্যন্ত তেল ভরার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ব্যতিক্রম এই ক্ষেত্রে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় ব্যবহারের মোটরযান ও সংবাদমাধ্যমের গাড়ি।
ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার কাজে অগ্রগতি হয়ে চলার মুখে বিচ্ছিন্ন সব জনবসতিতে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান-তৎপরতা সম্প্রসারিত হওয়ায় মৃতের সংখ্যা গণনার হিসাব এখনো ঊর্ধ্বমুখী পথে ধাবমান। জাপানের জাতীয় পুলিশ এজেন্সি বলছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত হিসাবে নিহত ও নিখোঁজ লোকজনের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ, বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাণহানির সংখ্যা ২০ হাজার অতিক্রম করে যাওয়ার যে আশঙ্কার কথা আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, প্রকৃত সংখ্যা এখন সেদিকেই ধাবমান।
এদিকে জাপানের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আজ দুর্যোগ বিষয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ বৈঠকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংকট মোকাবিলার উদ্দেশ্যে জাতীয় সরকার গঠনের একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা সাদাকাজু তানিগাকি এবং নিউ কোমেই পার্টির নেতা নাৎসুও ইয়ামাগুচিকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানের কাছে করেছে।
দুর্যোগের এক সপ্তাহ পর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনা-পরবর্তী পরিস্থিতি এখনো হচ্ছে সারা বিশ্বে আলোচিত একটি বিষয়। পরিস্থিতি পুরোপুরি আয়ত্তে আনা সম্ভব না হলেও জাপানের আণবিক শক্তি এজেন্সি বলছে, ধীরে হলেও সংকট এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। এই মুহূর্তে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে চার নম্বর চুল্লির ব্যবহূত জ্বালানি রড শীতলীকরণের জলাধারে দেখা দেওয়া সমস্যা। অন্য সব কয়টি চুল্লির আগুন ইতিমধ্যে নিভিয়ে ফেলা হয়েছে এবং সেগুলোকে এখন মোটামুটি বিপদমুক্ত হিসেবে দেখা হলেও তেজস্ক্রিয়তা নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে চুল্লিগুলো এখনো পুরোপুরি মুক্ত নয়।
ব্যবহূত জ্বালানি রড শীতল করে নেওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। জলাধারে বিরতিহীনভাবে পানি প্রবাহিত করার মধ্য দিয়ে পানির উচ্চতা বিশেষ একটি মাত্রা পর্যন্ত ধরে রাখার জন্য সেটা করা হয়। পানির সেই মাত্রা নিচে নেমে গেলে উত্তপ্ত রড পানিকে সহজেই বাষ্পীভূত করে দিয়ে রডকে বাতাসের সংস্পর্শে নিয়ে এলে রড গলে গিয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার মতো সমূহ বিপদের আশঙ্কা দেখা দেয়। ফুকুশিমা-১-এর সমস্যার মূলে রয়েছে সে রকম বাস্তবতা। পানির সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য জলাধারের সঙ্গে সংযুক্ত পাম্প বিদ্যুতে চালানো হয়। এর বাইরে অতিরিক্ত একটি পাম্পও সেখানে থাকে, যেটা বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে ভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। সুনামির আঘাতে অতিরিক্ত সেই পাম্পের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া থেকেই সমস্যা সেখানে দেখা দেয়। পানির নিয়মিত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাধারে জমা হওয়া পানি একপর্যায়ে বাষ্পীভূত হতে শুরু করলে বিপদের আঁচ পাওয়া যায় এবং বিলম্ব না করে পানি সরবরাহ আবারও শুরু করতে কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়ে ওঠে।
তবে অন্য আরও তিনটি চুল্লিতে পর্যায়ক্রমিকভাবে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ায় সাময়িক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া অন্য কিছু করা সেই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছিল না। তিনটি চুল্লির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরই কেবল আকাশ থেকে এবং সেই সঙ্গে দমকলের শক্তিশালী ইঞ্জিন কাজে লাগিয়ে জলাধারে পানি ঢালার কাজ গতকাল থেকে শুরু করা হয়, যা এখনো অব্যাহত আছে। কেন্দ্রের পরিচালক সংস্থা টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি বলছে, কিছুটা সাফল্য এখন এতে লক্ষ করা যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা কেবলই সময়ের ব্যাপার।
ফলে ধরে নেওয়া যায়, তেজস্ক্রিয়তা চারদিক ঢেকে ফেলছে বলে যেসব প্রচার বিশ্বের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম নিয়মিতভাবে চালিয়ে আসছিল এবং সে রকম প্রচারে প্রভাবিত হয়ে কয়েকটি দেশ তাদের দূতাবাস টোকিও থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া কিংবা নাগরিকদের জাপান থেকে ফেরত আনা নিয়ে হইচই শুরু করে দিয়েছিল, তার অনেকটাই এখন প্রশমিত হবে। দক্ষিণ কোরিয়া যেমন এখন বলছে, দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন দেখা দিলে ফিরিয়ে আনার জন্য সামরিক বাহিনীর বিমান ও উপকূল রক্ষীবাহিনীর জাহাজ প্রস্তুত রাখার পরিকল্পনা সরকার করছে। অর্থাৎ সরিয়ে আনা নয়, বরং পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে যাওয়া এবং প্রয়োজন দেখা দিলেই কেবল পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যা কিনা হচ্ছে খুবই স্বাভাবিক এক প্রতিক্রিয়া, অযথা আতঙ্কে তাড়িত হয়ে নেওয়া তড়িঘড়ি কোনো পদক্ষেপ নয়, যেমনটা আমরা লক্ষ করেছি বাংলাদেশের বেলায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো একই ধরনের হাস্যকর পদক্ষেপ আজ নিতে দেখা যায় আমাদের আরেক প্রতিবেশী দেশ নেপালকে। সবাই যখন সংকট কাটিয়ে ওঠায় নেওয়া পদক্ষেপে অগ্রগতির আভাস পেতে শুরু করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে নেপাল দূতাবাস টোকিও থেকে ওসাকায় সরিয়ে নেওয়া সম্পর্কে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। এ রকম অবস্থার বেলাতেই বোধহয় বলা হয় ‘হাতি-ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল?’
জাপানের দুর্যোগ ঘিরে প্রায় পুরো সপ্তাহ ধরে মানুষের দুর্দশার নানা রকম ট্র্যাজেডি একে একে উন্মোচিত হলেও দৃষ্টি এখন কিছুটা সরে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে যাঁরা বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করা এবং সেই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন, তাঁদের ওপর আলোকপাত করা হচ্ছে। সে রকম একদল মানুষকে বীর হিসেবে দেখে শ্রদ্ধায় নতজানু হয়ে তাঁদের মঙ্গল কামনা করতে শুরু করেছে জাপানের লোকজন। মানুষের মনে ইতিমধ্যে শ্রদ্ধার আসন লাভ করা সেই বীরদের দলে সর্বাগ্রে আছেন ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনার পর থেকে বিরতিহীনভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করে যাওয়া কেন্দ্রের ৫০ জন কর্মী, পেশায় যাঁরা হলেন প্রকৌশলী ও পরমাণু প্রযুক্তিবিদ।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে তাঁরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাওয়ায় দুর্ঘটনার মুখে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার বিপদ সম্পর্কে সবাই ভালোভাবে অবগত। তবে তার পরও প্রয়োজনের এই কঠিন সময়ে স্বেচ্ছায় তাঁরা এগিয়ে এসেছেন মানুষের দুর্দশা আর দুশ্চিন্তা লাঘবে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর ব্রত নিয়ে। আর তাঁরাই হচ্ছেন জাপানের সেই সব বীর নাগরিক, দেশটাকে যাঁরা নীরবে ভালোবেসে নীরবেই কাজ করে চলেছেন রাষ্ট্র ও মানুষের মঙ্গল নিশ্চিত করায়। কেউ কিন্তু তাঁদের বলেনি যে কাজটি করতেই হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে রাজি হওয়া স্বেচ্ছাসেবীর প্রয়োজন দেখা দিলে কেন্দ্রের প্রায় ৮০০ কর্মীর মধ্যে আগ বাড়িয়ে যাঁরা এগিয়ে আসেন, তাঁদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞ ও সামর্থ্যবান ৫০ জনকে বেছে নেওয়া হয় এবং নিজেদের বিপদের আশঙ্কা উপেক্ষা করে মানুষকে বিপদমুক্ত করার দায়িত্বের ভার তাঁদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া বিদ্যুৎবিহীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে দিনরাত তাঁরা এখন পালাক্রমে কাজ করে চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার। কী মূল্য এ জন্য তাঁদের পরবর্তী সময়ে দিতে হয়, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আমরা জানি, চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর ঠিক সে রকম দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল তিন মাস সময়ের মধ্যে তেজস্ক্রিয়তাজনিত অসুখে আক্রান্ত হয়ে।
ফুকুশিমার আত্মত্যাগী বীরদের সেই দলে আছেন ৪০ বছর ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করা বর্ষীয়ান এক কর্মী, এ বছরের সেপ্টেম্বরে যাঁর অবসরে যাওয়ার কথা। তার পরও নিজেই তিনি এগিয়ে গিয়ে দলে তালিকাভুক্ত করিয়েছেন তাঁর নাম। কাজ শুরু করতে যাওয়ার আগে কন্যাকে তিনি টেলিফোনে বলেছেন, ‘সংকট কীভাবে আমরা সামাল দিই, তার ওপর নির্ভর করছে আমাদের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভবিষ্যৎ। ফলে এটাকে আমি আমার পবিত্র দায়িত্ব বলেই গণ্য করছি।’ ঠিক এই মুহূর্তে তিনি সবকিছু ভুলে গিয়ে নিজেকে নিবেদিত রাখছেন মানুষকে বিপদমুক্ত করার কাজে।
এঁদেরই নিরলস পরিশ্রমে পরমাণু চুল্লির সঙ্গে বাইরে থেকে আনা বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দেওয়া এখন সম্ভব হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ আবারও নিশ্চিত করা গেলে শীতলীকরণ জলাধারের অতিরিক্ত পাম্প পুনরায় চালু করা প্রকৌশলীদের পক্ষে সম্ভব হবে, যা কিনা পানির নিয়মিত সরবরাহ পুনরায় শুরু করে দিয়ে ব্যবহূত রড শীতল রেখে তেজস্ক্রিয়া বিকিরণের বিপদ থেকে সবাইকে মুক্ত রাখবে। তবে এর মাশুল হিসেবে নিজেরাই তাঁরা হয়তো সইবেন তেজস্ক্রিয়তার ভয়ংকর বিপজ্জনক আঘাত।
এঁরাই তো টিকিয়ে রেখেছেন জাপানকে। সেই সঙ্গে এটাও তাঁরা আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছেন, বিপদের মুখে দিশেহারা না হয়ে এবং নিজের সংকীর্ণ স্বার্থের কথা না ভেবে কীভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয় মানুষের কল্যাণে। তাই এঁদের সেই ত্যাগ আর নিঃস্বার্থ অবদানের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হতে দেখে জলে ভিজে যায় মানুষের চোখ। শোক কিংবা পরিতাপে নয়, বরং এ রকম এক গভীর তৃপ্তিবোধে, যে আমাদের এই পৃথিবী থেকে এখনো হারিয়ে যায়নি মানবিক মূল্যবোধ, হারিয়ে যায়নি মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা। আসুন, আমরাও অন্তত একবার মাথা নত করে মঙ্গল কামনা করি তাঁদের, নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভেবে নিয়ে মানুষের কল্যাণ সাধনে ঠিক এই মুহূর্তেও যাঁরা আছেন নিয়োজিত।
টোকিও, ১৮ মার্চ ২০১১
মনজুরুল হক: শিক্ষক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.