সরকারের কাজে গতি বাড়াতে হবে-সাংসদদের কথা আমলে নিন
বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট সাংসদদের দুই দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েকজন সাংসদ খোলাখুলি মন্ত্রীদের সমালোচনা করেছেন এবং তাঁদের ক্ষমতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
একজন সাংসদ বলেছেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সাংসদ কম থাকলেও সরকার শক্তিশালী ছিল। এখন দলীয় সাংসদের সংখ্যা অনেক বেশি, কিন্তু সরকার দুর্বল। এ ছাড়া একাধিক সাংসদ মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পারা, এলাকায় উন্নয়নকাজ না হওয়া এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজে ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মহাজোটের শরিক একজন সাংসদের সরস মন্তব্য হলো, ‘আমরা এক নৌকায় উঠেছি। নৌকা উল্টে গেলে সবাই ডুবে মরব।’ অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নৌকা ডুববে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন।
তাঁর এই আশ্বাসবাণী দল ও জোটের সাংসদদের আশ্বস্ত করলেও জনগণকে কি আশ্বস্ত করতে পারবে? সাংসদেরা যেসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেসব বিষয়ে এখনই সরকারকে নজর দিতে হবে। এত দিন সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা সম্পর্কে বিরোধী দল সমালোচনা করলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নীতিনির্ধারকেরা সেসব অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিতেন। খোদ দলের ও মহাজোটের শরিকেরাও যখন সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছেন, তখন সরকার কী বলবে? গত দুই বছরে কাজের চেয়ে কথা যে বেশি হয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
মনে রাখা প্রয়োজন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ফল দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশা জাগিয়েছিল। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম সত্যি সত্যি ২০২১ সালের রূপকল্পের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল। এখন তাদের সেই সমর্থন ধরে রাখতে হলে সরকারকে জনজীবনের সমস্যার সমাধানেই মনোযোগী হতে হবে।
এ মুহূর্তে যেসব সমস্যা জনমানুষের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, তা হলো নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, শেয়ারবাজারের ধস এবং প্রবাসী শ্রমিকদের দলে দলে দেশে প্রত্যাবর্তন। এসব ক্ষেত্রে সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি দক্ষ ও জনকল্যাণমুখী সরকারের কর্তব্য হলো ব্যর্থতাকে আড়াল না করে তা দূর করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা। আমরা জানি, সমস্যাগুলো খুবই জটিল। আবার সব সমস্যার সমাধান এখনই সরকার করে দিতে পারবে, তা-ও নয়। কিন্তু তাই বলে অর্থ বরাদ্দের অভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফেসিলিটিজ বিভাগ কিংবা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাজ বন্ধ থাকা দুর্ভাগ্যজনক। প্রায়শ পত্রপত্রিকায় নাজুক সড়ক ও বেহাল বিদ্যালয় ভবনের ছবি ছাপা হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের টনক না নড়া দুর্ভাগ্যজনক। প্রথম আলোতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাজের ধীরগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন করার পর সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু এখন খোদ সরকারি দলের সাংসদেরাও একই কথা বলছেন। আসলে সরকারের অনেক কিছুই ঠিকমতো চলছে না।
দেশের উন্নয়নের গতি বাড়াতে যেমন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিরতিহীন চেষ্টা চালাতে হবে, তেমনি রাজনৈতিক স্থিতির দিকেও নজর দিতে হবে। নেতিবাচক ভূমিকা থেকেও সরে আসতে হবে বিরোধী দলকে। সবাইকে ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিহার করে বৃহত্তর জনগণের কল্যাণেই আত্মনিয়োগ করতে হবে।
তাঁর এই আশ্বাসবাণী দল ও জোটের সাংসদদের আশ্বস্ত করলেও জনগণকে কি আশ্বস্ত করতে পারবে? সাংসদেরা যেসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেসব বিষয়ে এখনই সরকারকে নজর দিতে হবে। এত দিন সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা সম্পর্কে বিরোধী দল সমালোচনা করলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নীতিনির্ধারকেরা সেসব অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিতেন। খোদ দলের ও মহাজোটের শরিকেরাও যখন সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছেন, তখন সরকার কী বলবে? গত দুই বছরে কাজের চেয়ে কথা যে বেশি হয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
মনে রাখা প্রয়োজন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ফল দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশা জাগিয়েছিল। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম সত্যি সত্যি ২০২১ সালের রূপকল্পের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল। এখন তাদের সেই সমর্থন ধরে রাখতে হলে সরকারকে জনজীবনের সমস্যার সমাধানেই মনোযোগী হতে হবে।
এ মুহূর্তে যেসব সমস্যা জনমানুষের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, তা হলো নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, শেয়ারবাজারের ধস এবং প্রবাসী শ্রমিকদের দলে দলে দেশে প্রত্যাবর্তন। এসব ক্ষেত্রে সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি দক্ষ ও জনকল্যাণমুখী সরকারের কর্তব্য হলো ব্যর্থতাকে আড়াল না করে তা দূর করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা। আমরা জানি, সমস্যাগুলো খুবই জটিল। আবার সব সমস্যার সমাধান এখনই সরকার করে দিতে পারবে, তা-ও নয়। কিন্তু তাই বলে অর্থ বরাদ্দের অভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফেসিলিটিজ বিভাগ কিংবা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাজ বন্ধ থাকা দুর্ভাগ্যজনক। প্রায়শ পত্রপত্রিকায় নাজুক সড়ক ও বেহাল বিদ্যালয় ভবনের ছবি ছাপা হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের টনক না নড়া দুর্ভাগ্যজনক। প্রথম আলোতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাজের ধীরগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন করার পর সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু এখন খোদ সরকারি দলের সাংসদেরাও একই কথা বলছেন। আসলে সরকারের অনেক কিছুই ঠিকমতো চলছে না।
দেশের উন্নয়নের গতি বাড়াতে যেমন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিরতিহীন চেষ্টা চালাতে হবে, তেমনি রাজনৈতিক স্থিতির দিকেও নজর দিতে হবে। নেতিবাচক ভূমিকা থেকেও সরে আসতে হবে বিরোধী দলকে। সবাইকে ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিহার করে বৃহত্তর জনগণের কল্যাণেই আত্মনিয়োগ করতে হবে।
No comments