র্যাবের গুলিতে পান্থপথে যুবক নিহত
রাজধানীর পান্থপথে গতকাল শুক্রবার ভোরে র্যাবের গুলিতে মাসুদ রানা ওরফে তুষার মাসুদ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি, গুলিবিনিময়ের সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই স্থানে বন্দুকযুদ্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিহত যুবক পেশায় ভ্রাম্যমাণ ফল-বিক্রেতা বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে।
র্যাব-২-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে রাজধানীর গ্রিন রোড পান্থপথের চৌরাস্তায় নিয়মিত তল্লাশি চৌকিতে কয়েকজন র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছিলেন। ভোর চারটার দিকে স্কয়ার হাসপাতালসংলগ্ন সড়ক দিয়ে আসা একটি মাইক্রোবাসকে থামার সংকেত দেয় র্যাবের সদস্যরা। কিন্তু মাইক্রোবাসটি না থেমে একটি গুলি ছুড়ে তল্লাশি চৌকি অতিক্রম করার চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা তার পরও গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করলে দৃর্বৃত্তরা আরও একটি গুলি ছুড়ে। এরপর র্যাব পাল্টা গুলি চালালে একটি গুলি গাড়ির চাকায় লাগে। গাড়িটি তল্লাশি চৌকি থেকে ৫০ গজ দূরে সড়কের পাশে থেমে যায়। এরপর গাড়ি থেকে তিন-চারজন যুবক নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। র্যাব সদস্যরা গাড়িটির কাছে গিয়ে দেখেন ভেতরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবকের লাশ পড়ে আছে। গাড়িতে একটি রিভলবার, চারটি গুলি ও ওই রিভলবারের দুটি গুলির খোসা পড়ে আছে।
র্যাব কর্মকর্তা দাবি করেন, মাসুদ গাড়ি ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কটি মামলা আছে। ঘটনাস্থলে ১৫-১৬টি গুলিবিনিময় হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে কয়েকজন দোকানি জানান, ভোরের দিকে তাঁরা চার-পাঁচটি গুলির শব্দ পেয়েছেন। সব গুলি র্যাবই চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক নৈশপ্রহরী বলেন, ‘চেকপোস্টে চার-পাঁচটা গুলির শব্দ শুইনা তাকাইয়া দেখি, গাড়ির চাকা পাংচার, ভিতরে লাশ।’
নিহত মাসুদ রানার ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের বাসা থেকে বের হন মাসুদ। রাত সাড়ে ১১টার পর তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতে তাঁর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। সকালে টিভিতে দেখে মর্গে এসে তাঁরা লাশ শনাক্ত করেন।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র রাখা ও ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যুবকের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এজাহারে এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা দাবি করেন, মাসুদ গাড়ি ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কটি মামলা আছে। ঘটনাস্থলে ১৫-১৬টি গুলিবিনিময় হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে কয়েকজন দোকানি জানান, ভোরের দিকে তাঁরা চার-পাঁচটি গুলির শব্দ পেয়েছেন। সব গুলি র্যাবই চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক নৈশপ্রহরী বলেন, ‘চেকপোস্টে চার-পাঁচটা গুলির শব্দ শুইনা তাকাইয়া দেখি, গাড়ির চাকা পাংচার, ভিতরে লাশ।’
নিহত মাসুদ রানার ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের বাসা থেকে বের হন মাসুদ। রাত সাড়ে ১১টার পর তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতে তাঁর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। সকালে টিভিতে দেখে মর্গে এসে তাঁরা লাশ শনাক্ত করেন।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র রাখা ও ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যুবকের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এজাহারে এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।
No comments