পবিত্র কোরআনের আলো-মদিনা আক্রমণের গুজব মুমিনদের মনোবল বাড়িয়েই দিয়েছিল
১৭১. ইয়াস্তাব্শিরূনা বিনি'মাতিম মিনাল্লাহি ওয়া ফাদ্ব্লিউঁ; ওয়া আন্নাল্লাহা লা-ইউদ্বী'উ আজ্রাল মু'মিনীন।
১৭২. আল্লাযীনাস্তাজাবূ লিল্লাহি ওয়ার্রাসূলি মিম বা'দি মা আসাবাহুমুল ক্বার্হু; লিল্লাযীনা আহ্সানূ মিন্হুম ওয়াত্তাক্বূ আজ্রুন 'আজীম।
১৭২. আল্লাযীনাস্তাজাবূ লিল্লাহি ওয়ার্রাসূলি মিম বা'দি মা আসাবাহুমুল ক্বার্হু; লিল্লাযীনা আহ্সানূ মিন্হুম ওয়াত্তাক্বূ আজ্রুন 'আজীম।
১৭৩. আল্লাযীনা ক্বালা লাহুমুন্নাসুু ইন্নান্নাসা ক্বাদ জামা'ঊ লাকুম ফাখ্শাওহুম ফাযাদাহুম ঈমানান; ওয়া ক্বালূ হাস্বুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল। [সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৭১-১৭৩]
অনুবাদ
১৭১. তারা আনন্দিত হয় আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহের দরুন; আর এ জন্য যে, আল্লাহ মুমিনদের কাজের প্রতিদান নষ্ট করেন না।
১৭২. যারা ওহুদ যুদ্ধে এত বড় আঘাতের পরও আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর ডাকে সাড়া দিয়েছে, তাদের মধ্যে যারা নেককার এবং আল্লাহর প্রতি দায়িত্বনিষ্ঠ, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।
১৭৩. তারা সেসব মানুষ, যাদের জন্য লোকেরা এসে খবর দিল যে মক্কার লোকেরা সমবেত হচ্ছে, সুতরাং তাদের ভয় করা উচিত। তখন তাদের ইমানের জোর আরো বেড়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম কর্মবিধায়ক।
ব্যাখ্যা
এই আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে ওহুদ যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইমানদারদের পুনর্গঠিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে। ওহুদ যুদ্ধে কাফিররা বিজয়ী হলেও মদিনা আক্রমণের সাহস করেনি। কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরে ভয় সঞ্চার করে দিয়েছিলেন। কাফিররা মক্কার দিকেই ফিরে আসছিল। তবে তাদের কেউ কেউ মদিনা আক্রমণে যাওয়ার জন্য উস্কানি দিচ্ছিল।
তারা পথে যেসব ব্যবসায়ী যাত্রীদলকে পাচ্ছিল, তাদের বলেছিল, তোমরা মদিনায় গিয়ে বলো, মক্কার লোকেরা সমবেত হচ্ছে, তারা অচিরেই মদিনা আক্রমণে আসবে। রাসুল (সা.) অহির মাধ্যমে এসব কথা জানতে পেরে সাহাবায়ে কিরামসহ কাফিরদের পশ্চাদ্ধাবন করে হামরাউল আসাদ নামক স্থানে পেঁৗছে শিবির স্থাপন করলেন। কিন্তু কাফিররা আর সেদিকে না গিয়ে সোজা মক্কায় চলে এল। এরপর আবু সুফিয়ান মদিনায় খবর পাঠাল, কুরাইশরা অতিসত্বর মদিনা দখল করার জন্য আসছে। এ খবর মদিনায় ছড়িয়ে পড়লে মুমিনদের মনোবল আরো চাঙ্গা হয়ে উঠল। তাঁরা বলতে লাগলেন, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম কার্যনির্ধারক। এখানে ১৭৩ নম্বর আয়াতে এ কথাই বলা হয়েছে। এটাই এই আয়াতের শানেনুজুল। ১৭২ নম্বর আয়াতে সেসব মুমিনের জন্য মহাপুরস্কারের খবর দেওয়া হয়েছে, যাঁরা ওহুদের বিপর্যয়ের পরও ইমানের জোর অটুট রেখেছেন এবং সৎ কাজে নিজেদের নিবেদিত করেছেন। তাঁরা সত্য ও ন্যায়ের পথে সব বিপদাপদ উপেক্ষা করে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এসব মানুষের জন্য এই আয়াতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ
১৭১. তারা আনন্দিত হয় আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহের দরুন; আর এ জন্য যে, আল্লাহ মুমিনদের কাজের প্রতিদান নষ্ট করেন না।
১৭২. যারা ওহুদ যুদ্ধে এত বড় আঘাতের পরও আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর ডাকে সাড়া দিয়েছে, তাদের মধ্যে যারা নেককার এবং আল্লাহর প্রতি দায়িত্বনিষ্ঠ, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।
১৭৩. তারা সেসব মানুষ, যাদের জন্য লোকেরা এসে খবর দিল যে মক্কার লোকেরা সমবেত হচ্ছে, সুতরাং তাদের ভয় করা উচিত। তখন তাদের ইমানের জোর আরো বেড়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম কর্মবিধায়ক।
ব্যাখ্যা
এই আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে ওহুদ যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইমানদারদের পুনর্গঠিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে। ওহুদ যুদ্ধে কাফিররা বিজয়ী হলেও মদিনা আক্রমণের সাহস করেনি। কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরে ভয় সঞ্চার করে দিয়েছিলেন। কাফিররা মক্কার দিকেই ফিরে আসছিল। তবে তাদের কেউ কেউ মদিনা আক্রমণে যাওয়ার জন্য উস্কানি দিচ্ছিল।
তারা পথে যেসব ব্যবসায়ী যাত্রীদলকে পাচ্ছিল, তাদের বলেছিল, তোমরা মদিনায় গিয়ে বলো, মক্কার লোকেরা সমবেত হচ্ছে, তারা অচিরেই মদিনা আক্রমণে আসবে। রাসুল (সা.) অহির মাধ্যমে এসব কথা জানতে পেরে সাহাবায়ে কিরামসহ কাফিরদের পশ্চাদ্ধাবন করে হামরাউল আসাদ নামক স্থানে পেঁৗছে শিবির স্থাপন করলেন। কিন্তু কাফিররা আর সেদিকে না গিয়ে সোজা মক্কায় চলে এল। এরপর আবু সুফিয়ান মদিনায় খবর পাঠাল, কুরাইশরা অতিসত্বর মদিনা দখল করার জন্য আসছে। এ খবর মদিনায় ছড়িয়ে পড়লে মুমিনদের মনোবল আরো চাঙ্গা হয়ে উঠল। তাঁরা বলতে লাগলেন, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম কার্যনির্ধারক। এখানে ১৭৩ নম্বর আয়াতে এ কথাই বলা হয়েছে। এটাই এই আয়াতের শানেনুজুল। ১৭২ নম্বর আয়াতে সেসব মুমিনের জন্য মহাপুরস্কারের খবর দেওয়া হয়েছে, যাঁরা ওহুদের বিপর্যয়ের পরও ইমানের জোর অটুট রেখেছেন এবং সৎ কাজে নিজেদের নিবেদিত করেছেন। তাঁরা সত্য ও ন্যায়ের পথে সব বিপদাপদ উপেক্ষা করে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এসব মানুষের জন্য এই আয়াতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments