আর যাতে কারও ভুল না হয়-বাঘের লেজ দেখেছ, বাঘ দেখনি
বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকানো যে কত ভয়ংকর, যুগে যুগে তা প্রমাণিত হয়েছে। কান সবারই আছে। কারও বড়, কারও ছোট। বিভিন্ন সময় সেই কান চুলকানোর প্রয়োজন পড়ে। বাঘের সুন্দর লেজটি দেখে অনেকেই সেটা দিয়ে কান চুলকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এটা খুবই ভয়ংকর একটা ব্যাপার।
লেজের সামনের দিকেই যে বাঘের হিংস্র দাঁত, তা তারা ভেবে দেখে না। এ জন্যই কবি বলেছেন, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। কবিরা সমাজের দর্পণ। মিষ্টি কুমড়ার দাম থাকবে, আর কবিদের কথার দাম থাকবে না, তা হয় নাকি? কিন্তু সবার মধ্যে সুকুমারবৃত্তির চর্চা নেই। সবাই কবির কথার মূল্য বোঝে না। ভাবনা-চিন্তা না করেই একটা কাজ করে বসে। গত সংখ্যার রস+আলোর প্রচ্ছদে দেখলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়েরা বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকাচ্ছে। কত বড় সাহস! আরে ভাই, ৫-১০ টাকা দিলেই তো এক প্যাকেট ‘কটন বাড’ কিনতে পাওয়া যায়। সেটা দিয়ে যত পারো কান চুলকাও। কলমের ঢাকনা, চাবি, ঝাড়ুর কাঠি, ম্যাচের কাঠি—এগুলো দিয়ে কান চুলকানো তো ঐতিহ্য। সেগুলোর কথা ভুলে গিয়ে বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকাতে আসো কোন ভরসায়? সাধারণ মেছো বাঘ হলেও না হয় মেনে নেওয়া যেত, তাই বলে একেবারে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের লেজ নিয়ে টানাটানি! রয়েল বেঙ্গল টাইগারের লেজ নিয়ে টানাটানি করার ফল যে কখনোই ভালো হয় না, তা তো বিশ্ববাসী ভালোমতোই টের পেল; সবচেয়ে বেশি টের পেল এবার ইংল্যান্ড। আশা করি, ভবিষ্যতে আর কেউ বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকানোর সাহস করবে না।
No comments