গদ্যকার্টুন-চট্টগ্রামগামী ট্রেনে বসে লেখা by আনিসুল হক
চট্টগ্রাম যাচ্ছি। ট্রেনের নাম তূর্ণা নিশীথা। রাত ১১টার ট্রেন ছেড়েছে ১২টায়। তবুও যে ছেড়েছে। এখন সকাল সাতটা। পুবের দিকে দরজাটা খুলতেই ভোরের আলো। আজ ১৪ মার্চ। নতুন দিনের শুরু। আজকের সূর্য বাংলাদেশকে নতুন আলোয় রাঙিয়ে দেবে, এই আশায় আমরা চলেছি চট্টগ্রামে, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উদ্দেশে।
আজ যেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয় হয়!
২.
আমাদের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলকে ১ নম্বর গুরুত্ব দেওয়া হোক। রেল আর নৌপথকে। নইলে আমরা চলতে পারব না। আমাদের ছোট দেশে মানুষ বেশি। যত রাস্তাই বানানো হোক না কেন, যানজট লেগে থাকবেই। তাতে খরচ বেশি, পরিবেশদূষণ বেশি, শ্রমঘণ্টার অপচয়। এই তো ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখে ঈশ্বরদী যাব বলে ভোর পাঁচটায় উঠেছি ঘুম থেকে। ছয়টায় বেরিয়েছি বাসা থেকে। কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছি সাড়ে ছয়টায়। ট্রেন ছাড়ার কথা সাতটায়। সেই ট্রেন ছাড়ল ১১টায়। রেল যেন সতিনের ছেলে। কর্তৃপক্ষ বিমাতা। বাংলাদেশে রেল ভালো চলুক, এটা নাকি চান না বাস-ট্রাকের মালিকেরা। আর যেসব দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে বাস-ট্রাক আমদানি করা হয়, তাদেরও নাকি যোগসাজশ থাকে। কথাটা কি ঠিক?
৩.
আহমদ ছফা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ যখন জেতে, তখন আওয়ামী লীগ একা জেতে। আর যখন হারে, তখন পরাজিত হয় সমস্ত বাংলাদেশ। আর হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ যার প্রতিদ্বন্দ্বী, তাকে জেতার জন্য কিছুই করতে হয় না। বর্তমান সরকারের ক্রিয়াকর্ম দেখে তা-ই কি মনে হচ্ছে না?
নতুন প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছে গত নির্বাচনে। কারণ, তারা দেখেছে, এই দল আধুনিকতার কথা বলে, অসাম্প্রদায়িকতার পথে চলতে চায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে চায় এবং গড়তে চায় ডিজিটাল বাংলাদেশ। মানুষ দলে দলে গেছে ভোটকেন্দ্রে, ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। কিন্তু বিজয়ের পর এই বিজয় আর জনগণের থাকেনি, হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের একার বিজয়। সবকিছু আওয়ামী লীগ একা করছে। আওয়ামী লীগ একা করছে, নাকি সবই হচ্ছে ক্ষমতার একটা মাত্র কেন্দ্র থেকে। শেখ হাসিনা কি নিঃসঙ্গ নন? ক্ষমতা মানুষকে নিঃসঙ্গ করে। এটা এর আগে মনোবিজ্ঞানী-সমাজবিজ্ঞানীর লেখা থেকে উদ্ধৃত করে পাঠকদের জানিয়েছিলাম।
৪.
ওয়েটিং রুমে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম সেদিন। একজন প্রবীণ লোক আমার পাশের আসনে বসলেন। তারপর আমার মুখটা নিরীক্ষণ করে বললেন, ‘ছোট ভাই, আপনি না লেখক। পেপারে লেখেন?’
‘জি।’
‘আপনি কি নেত্রীকে একটা কথা বলতে পারবেন? আমি ১৯৭৫ সালের পর প্রতিবছর ১৫ আগস্টে মিলাদের আয়োজন করি নিজের গ্রামে। একবার তো তখনকার সরকারের লোকজন আমার খিচুড়ির হাঁড়িপাতিল সব উল্টায়া দিছিল। কত জুলুম-অত্যাচার সহ্য করছি। বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙাতে পারি নাই বলে বঙ্গবন্ধুর ছবিওয়ালা টাকা রাখছিলাম। নেত্রীকে বলবেন, ওনাকে মিনতি করি, উনি যেন আরেকবার ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেন।’
আমি হেসে বলি, ‘এটা আপনাকে মিনতি করতে হবে কেন? উনি তো নিজেই চাইবেন আরেকবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে!’
ভদ্রলোক বললেন, ‘আরে না। উনি মনে হয় চান না, আরেকবার উনি ভোটে জেতেন, সেইটা চাইলে কেউ এত উল্টাপাল্টা কাজ করতে পারে? ওনার এক নম্বর শত্রু জামাত, পাকিস্তানি চক্র। এক নম্বর প্রতিপক্ষ বিএনপি। ওনার শত্রু তারা, যারা তাঁকে মারার জন্য বোমা পাতছিল। বোমা মারছিল। বাকিরা তো ওনার শত্রু না। বড়জোর সমালোচক। উনি শত্রুদের ঘায়েল না করে সমালোচকদের পিছনে সময় নষ্ট করতেছেন কেন? উনি কেন বন্ধুদের শত্রু বানাচ্ছেন? শত্রুর সংখ্যা বাড়ায়া ফেলছেন? তার মানে কী, জানেন? উনি আরেকবার ভোটে জিততে চান না। উনাকে বলেন, প্লিজ, উনি যেন আরেকবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন। আর সেটা ইলেকশনে জিতে। মানুষের ভোট পেয়ে।’
আমি ভদ্রলোকের চোখের দিকে তাকাই। তাঁর চোখে পানি ছলছল করছে। তিনি আকুল স্বরে বলেন, ‘আপা কেন আরেকবার ক্ষমতায় আসতে চাইতেছেন না? আমার ট্রেন এসে গেছে, আমি যাই।’ বলে তিনি ওয়েটিং রুম ত্যাগ করেন।
৫.
আওয়ামী লীগ যখন জেতে, আওয়ামী লীগ একা জেতে। যখন হারে, তখন পরাজিত হয় সমস্ত বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম যখন হারে, তখন সাকিব আল হাসান বাহিনী একা হারে। যখন জেতে, তখন জেতে পুরোটা বাংলাদেশ।
হেরে গেলে? আরে বাংলাদেশ তো! কত দূর আর পারবে? কিচ্ছু হবে না! না। এই দলকে দিয়েই হবে। এই দেশকে দিয়েই হবে।
জিতলে অবশ্য পুরস্কারের বন্যাও বয়ে যায়। আমাদের যে সবটাতেই বাড়াবাড়ি। হারলে যেমন তিরস্কারের সুনামি আঘাত হানতে থাকে।
আচ্ছা সবাই তো পুরস্কার ঘোষণা করেন। আমিও না হয় একটা করি। আমি হিসাব কষে দেখলাম, আমি কলাম লিখছি ২২ বছর ধরে, আর সংবাদপত্রে লিখছি ২৫ বছর। মানে আমার লেখকজীবনের বয়স সাকিব আল হাসানের বয়সের চেয়েও বেশি। আচ্ছা, বাংলাদেশ যদি কোয়ার্টার ফাইনালে যায়, তাহলে আমি সাকিব আল হাসানসহ নবীন কলামলেখকদের কলাম লেখাবিষয়ক একটা কর্মশালায় বিনে পয়সায় লেকচার দেব! হা হা হা। আমার মনে হয়, সেটা বাড়াবাড়ি হবে না। কারণ, ওই কাজটাই আমি ২২ বছর ধরে করে আসছি। কিন্তু সাকিব আল হাসান যদি এসে বলেন, ‘কীভাবে কলাম লিখতে হয়, আপনাকে আমি শেখাব,’ আমি নিশ্চয়ই আমোদ পাব, কিন্তু পাত্তা দেব না। তাহলে আমরা কলামলেখকেরা যখন ক্রিকেটারদের, দলের থিম ট্যাংককে শেখাতে চাই ক্রিকেটটা কীভাবে খেলতে হবে, তখন যে সেটা একটা কৌতুক ছাড়া কিছুই নয়, সেটা কি আমরা জানি?
একজন গায়ক নাকি সুরে গান করেন। তিনি একবার বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটারকে বলেছিলেন, ‘আপনারা তো ভালোই খেলেন, কিন্তু আপনাদের পা চলে না কেন? ফুটওয়ার্ক নেই কেন?’
ক্রিকেটার জবাব দিয়েছিলেন, ‘আপনি তো ভালোই গান করেন, কিন্তু মুখ থাকতে নাক দিয়ে গান করেন কেন?’
পাদটীকা: লেখাটা লিখতে পারলাম, কারণ ছয়টার ট্রেন আটটায় পৌঁছাল। ল্যাপটপে সেরে ফেললাম। ট্রেনে বসেই। ডিজিটাল বাংলাদেশের জয় হোক।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
২.
আমাদের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলকে ১ নম্বর গুরুত্ব দেওয়া হোক। রেল আর নৌপথকে। নইলে আমরা চলতে পারব না। আমাদের ছোট দেশে মানুষ বেশি। যত রাস্তাই বানানো হোক না কেন, যানজট লেগে থাকবেই। তাতে খরচ বেশি, পরিবেশদূষণ বেশি, শ্রমঘণ্টার অপচয়। এই তো ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখে ঈশ্বরদী যাব বলে ভোর পাঁচটায় উঠেছি ঘুম থেকে। ছয়টায় বেরিয়েছি বাসা থেকে। কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছি সাড়ে ছয়টায়। ট্রেন ছাড়ার কথা সাতটায়। সেই ট্রেন ছাড়ল ১১টায়। রেল যেন সতিনের ছেলে। কর্তৃপক্ষ বিমাতা। বাংলাদেশে রেল ভালো চলুক, এটা নাকি চান না বাস-ট্রাকের মালিকেরা। আর যেসব দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে বাস-ট্রাক আমদানি করা হয়, তাদেরও নাকি যোগসাজশ থাকে। কথাটা কি ঠিক?
৩.
আহমদ ছফা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ যখন জেতে, তখন আওয়ামী লীগ একা জেতে। আর যখন হারে, তখন পরাজিত হয় সমস্ত বাংলাদেশ। আর হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ যার প্রতিদ্বন্দ্বী, তাকে জেতার জন্য কিছুই করতে হয় না। বর্তমান সরকারের ক্রিয়াকর্ম দেখে তা-ই কি মনে হচ্ছে না?
নতুন প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছে গত নির্বাচনে। কারণ, তারা দেখেছে, এই দল আধুনিকতার কথা বলে, অসাম্প্রদায়িকতার পথে চলতে চায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে চায় এবং গড়তে চায় ডিজিটাল বাংলাদেশ। মানুষ দলে দলে গেছে ভোটকেন্দ্রে, ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। কিন্তু বিজয়ের পর এই বিজয় আর জনগণের থাকেনি, হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের একার বিজয়। সবকিছু আওয়ামী লীগ একা করছে। আওয়ামী লীগ একা করছে, নাকি সবই হচ্ছে ক্ষমতার একটা মাত্র কেন্দ্র থেকে। শেখ হাসিনা কি নিঃসঙ্গ নন? ক্ষমতা মানুষকে নিঃসঙ্গ করে। এটা এর আগে মনোবিজ্ঞানী-সমাজবিজ্ঞানীর লেখা থেকে উদ্ধৃত করে পাঠকদের জানিয়েছিলাম।
৪.
ওয়েটিং রুমে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম সেদিন। একজন প্রবীণ লোক আমার পাশের আসনে বসলেন। তারপর আমার মুখটা নিরীক্ষণ করে বললেন, ‘ছোট ভাই, আপনি না লেখক। পেপারে লেখেন?’
‘জি।’
‘আপনি কি নেত্রীকে একটা কথা বলতে পারবেন? আমি ১৯৭৫ সালের পর প্রতিবছর ১৫ আগস্টে মিলাদের আয়োজন করি নিজের গ্রামে। একবার তো তখনকার সরকারের লোকজন আমার খিচুড়ির হাঁড়িপাতিল সব উল্টায়া দিছিল। কত জুলুম-অত্যাচার সহ্য করছি। বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙাতে পারি নাই বলে বঙ্গবন্ধুর ছবিওয়ালা টাকা রাখছিলাম। নেত্রীকে বলবেন, ওনাকে মিনতি করি, উনি যেন আরেকবার ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেন।’
আমি হেসে বলি, ‘এটা আপনাকে মিনতি করতে হবে কেন? উনি তো নিজেই চাইবেন আরেকবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে!’
ভদ্রলোক বললেন, ‘আরে না। উনি মনে হয় চান না, আরেকবার উনি ভোটে জেতেন, সেইটা চাইলে কেউ এত উল্টাপাল্টা কাজ করতে পারে? ওনার এক নম্বর শত্রু জামাত, পাকিস্তানি চক্র। এক নম্বর প্রতিপক্ষ বিএনপি। ওনার শত্রু তারা, যারা তাঁকে মারার জন্য বোমা পাতছিল। বোমা মারছিল। বাকিরা তো ওনার শত্রু না। বড়জোর সমালোচক। উনি শত্রুদের ঘায়েল না করে সমালোচকদের পিছনে সময় নষ্ট করতেছেন কেন? উনি কেন বন্ধুদের শত্রু বানাচ্ছেন? শত্রুর সংখ্যা বাড়ায়া ফেলছেন? তার মানে কী, জানেন? উনি আরেকবার ভোটে জিততে চান না। উনাকে বলেন, প্লিজ, উনি যেন আরেকবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন। আর সেটা ইলেকশনে জিতে। মানুষের ভোট পেয়ে।’
আমি ভদ্রলোকের চোখের দিকে তাকাই। তাঁর চোখে পানি ছলছল করছে। তিনি আকুল স্বরে বলেন, ‘আপা কেন আরেকবার ক্ষমতায় আসতে চাইতেছেন না? আমার ট্রেন এসে গেছে, আমি যাই।’ বলে তিনি ওয়েটিং রুম ত্যাগ করেন।
৫.
আওয়ামী লীগ যখন জেতে, আওয়ামী লীগ একা জেতে। যখন হারে, তখন পরাজিত হয় সমস্ত বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম যখন হারে, তখন সাকিব আল হাসান বাহিনী একা হারে। যখন জেতে, তখন জেতে পুরোটা বাংলাদেশ।
হেরে গেলে? আরে বাংলাদেশ তো! কত দূর আর পারবে? কিচ্ছু হবে না! না। এই দলকে দিয়েই হবে। এই দেশকে দিয়েই হবে।
জিতলে অবশ্য পুরস্কারের বন্যাও বয়ে যায়। আমাদের যে সবটাতেই বাড়াবাড়ি। হারলে যেমন তিরস্কারের সুনামি আঘাত হানতে থাকে।
আচ্ছা সবাই তো পুরস্কার ঘোষণা করেন। আমিও না হয় একটা করি। আমি হিসাব কষে দেখলাম, আমি কলাম লিখছি ২২ বছর ধরে, আর সংবাদপত্রে লিখছি ২৫ বছর। মানে আমার লেখকজীবনের বয়স সাকিব আল হাসানের বয়সের চেয়েও বেশি। আচ্ছা, বাংলাদেশ যদি কোয়ার্টার ফাইনালে যায়, তাহলে আমি সাকিব আল হাসানসহ নবীন কলামলেখকদের কলাম লেখাবিষয়ক একটা কর্মশালায় বিনে পয়সায় লেকচার দেব! হা হা হা। আমার মনে হয়, সেটা বাড়াবাড়ি হবে না। কারণ, ওই কাজটাই আমি ২২ বছর ধরে করে আসছি। কিন্তু সাকিব আল হাসান যদি এসে বলেন, ‘কীভাবে কলাম লিখতে হয়, আপনাকে আমি শেখাব,’ আমি নিশ্চয়ই আমোদ পাব, কিন্তু পাত্তা দেব না। তাহলে আমরা কলামলেখকেরা যখন ক্রিকেটারদের, দলের থিম ট্যাংককে শেখাতে চাই ক্রিকেটটা কীভাবে খেলতে হবে, তখন যে সেটা একটা কৌতুক ছাড়া কিছুই নয়, সেটা কি আমরা জানি?
একজন গায়ক নাকি সুরে গান করেন। তিনি একবার বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটারকে বলেছিলেন, ‘আপনারা তো ভালোই খেলেন, কিন্তু আপনাদের পা চলে না কেন? ফুটওয়ার্ক নেই কেন?’
ক্রিকেটার জবাব দিয়েছিলেন, ‘আপনি তো ভালোই গান করেন, কিন্তু মুখ থাকতে নাক দিয়ে গান করেন কেন?’
পাদটীকা: লেখাটা লিখতে পারলাম, কারণ ছয়টার ট্রেন আটটায় পৌঁছাল। ল্যাপটপে সেরে ফেললাম। ট্রেনে বসেই। ডিজিটাল বাংলাদেশের জয় হোক।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
No comments