কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রনেতা খুন-ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি করুন
ক্ষমতা বা আধিপত্য বজায় রাখতে কোনো কিছু করতেই এখন আর বাধছে না। তা না হলে ছাত্র সংসদের ওপর প্রভাব-আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এভাবে নরসিংদী কলেজের ছাত্র বিল্লাল হোসেনকে প্রাণ দিতে হতো না। এই দুঃখজনক ঘটনার পর কলেজটি বন্ধ করা হয়েছে ১৯ মার্চ পর্যন্ত। গতকাল শহরটিতে পালিত হলো সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।
দলাদলির রাজনীতি আর এর সঙ্গে ছাত্রদের জড়িয়ে এই যে হানাহানির সংস্কৃতি চলছে, তা থেকে আমাদের মুক্তি কবে মিলবে?
নিহত বিল্লাল হোসেন কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি খুন হয়েছেন কলেজের ক্যাম্পাসে, ছাত্র সংসদে নিজের রুমে। খুনিরা সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়েছিল, নিহত বিল্লাল তা টেরও পেয়েছিলেন। বিষয়টি অধ্যক্ষের কাছে জানিয়ে তিনি তাঁর প্রাণ বাঁচাতে পারলেন না। রুমে ঢুকে গুলি করে ও কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। একটি কলেজের ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এ ধরনের ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক দিকটিকেই তুলে ধরছে।
বিল্লালের পরিবার বলছে, জেলা বিএনপির বিভক্ত রাজনীতির কারণে বিল্লাল খুন হয়েছেন। জেলা বিএনপির একটি পক্ষ এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা দাবি করেছে, গত বছর অনুষ্ঠিত ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বিএনপির এক নেতার মনোনীত প্যানেলের ভরাডুবি হওয়ার পর এই নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, যার পরিণতিতে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। এই খুনের পেছনে কে বা কারা রয়েছেন তা প্রমাণসাপেক্ষ। তবে এর পেছনে যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ছিল, তা নিশ্চিত করে বলা যায়। বিষয়টি সামগ্রিকভাবে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ছাত্ররাজনীতির চরম হতাশার দিকটিকে তুলে ধরে।
রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ভবিষ্যতে নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি বজায় রাখাসহ নানা হিসাব-নিকাশের কারণে এ ধরনের খুনের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। এসব ঘটনার হোতাদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষাঙ্গনে অপরাধ কমে আসত। বিল্লাল হোসেন হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করা কঠিন কাজ বলে মনে করি না। আমরা আশা করব, যত দ্রুত সম্ভব এই খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এবং এর পেছনে কোনো শক্তি কাজ করলে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। নিহত বিল্লালের পরিবারের প্রতি রইল আমাদের শোক ও সমবেদনা।
নিহত বিল্লাল হোসেন কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি খুন হয়েছেন কলেজের ক্যাম্পাসে, ছাত্র সংসদে নিজের রুমে। খুনিরা সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়েছিল, নিহত বিল্লাল তা টেরও পেয়েছিলেন। বিষয়টি অধ্যক্ষের কাছে জানিয়ে তিনি তাঁর প্রাণ বাঁচাতে পারলেন না। রুমে ঢুকে গুলি করে ও কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। একটি কলেজের ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এ ধরনের ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক দিকটিকেই তুলে ধরছে।
বিল্লালের পরিবার বলছে, জেলা বিএনপির বিভক্ত রাজনীতির কারণে বিল্লাল খুন হয়েছেন। জেলা বিএনপির একটি পক্ষ এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা দাবি করেছে, গত বছর অনুষ্ঠিত ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বিএনপির এক নেতার মনোনীত প্যানেলের ভরাডুবি হওয়ার পর এই নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, যার পরিণতিতে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। এই খুনের পেছনে কে বা কারা রয়েছেন তা প্রমাণসাপেক্ষ। তবে এর পেছনে যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ছিল, তা নিশ্চিত করে বলা যায়। বিষয়টি সামগ্রিকভাবে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ছাত্ররাজনীতির চরম হতাশার দিকটিকে তুলে ধরে।
রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ভবিষ্যতে নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি বজায় রাখাসহ নানা হিসাব-নিকাশের কারণে এ ধরনের খুনের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। এসব ঘটনার হোতাদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষাঙ্গনে অপরাধ কমে আসত। বিল্লাল হোসেন হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করা কঠিন কাজ বলে মনে করি না। আমরা আশা করব, যত দ্রুত সম্ভব এই খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এবং এর পেছনে কোনো শক্তি কাজ করলে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। নিহত বিল্লালের পরিবারের প্রতি রইল আমাদের শোক ও সমবেদনা।
No comments