প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে জাতীয় সংগীতে ভুল by তানজিম আল ইসলাম
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং মন্ত্রিপরিষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া জাতীয় সংগীতের বানানে ভুল রয়েছে। এ কারণে সাধারণ নাগরিকদের বিভ্রান্তিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং জাতীয় সংগীত গাওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চারণ নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া জাতীয় সংগীতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দলিলের বানানে ভুল নজরে পড়ছে না কারও এবং
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে না। ভুল বানানে জাতীয় সংগীত রাখা হলেও এটি অনুসরণ করতে গেলে উচ্চারণগত সমস্যার কারণে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে অফিস লাইব্রেরি অংশে ঢুকে জাতীয় সংগীত বিধিমালা অনুসন্ধান করলে পিডিএফ আকারে ১৯৭৮ সালের জাতীয় সংগীত বিধিমালাটি পাওয়া যায়। পাঠকের দেখার সুবিধার্থে উৎসটি দেওয়া হলো: (http://lib.pmo.gov.bd/legalms/pdf/national-antheme-rules.pdf )
বিধিমালাটি হুবহু প্রজ্ঞাপন আকারে রাখা হয়েছে। এতে প্রকাশিত তৃতীয় তফসিলে জাতীয় সংগীতের বাংলা, ইংরেজি ও রোমান ভাষার সংস্করণ দেওয়া হয়েছে। এতে ধরে নেওয়া যায়, বিধিমালাটি এভাবেই প্রকাশিত হয়। এর বাংলা অংশে জাতীয় সংগীতের তৃতীয় পঙিক্ততে বানান দেওয়া হয়েছে ‘ও মা ফাল্গুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে’। আবার পঞ্চম পঙিক্ততে বানান দেওয়া হয়েছে ‘ও মা অগ্রহায়ণে তোর ভরা ক্ষেতে, আমি কী দেখেছি মধুর হাসি’। এখানে মাস দুটির নামের বানান ভুল দেওয়া হয়েছে, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মূল বানান এবং গানের উচ্চারণ থেকে ভিন্ন। রবীন্দ্রনাথের লেখা এই পঙিক্তগুলোয় মাস দুটিকে লেখা হয়েছে ‘ফাগুনে’ ও ‘অঘ্রানে’ (গীতবিতান) এবং গানটি গাওয়ার সময় এভাবেই গাওয়া হয়। কিন্তু এই ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ বাংলাদেশের প্রণীত জাতীয় সংগীত বিধিমালায় দেওয়া হয়েছে ‘ফাল্গুনে’ ও ‘অগ্রহায়ণে’। ওয়েবসাইট দুটিতে উল্লিখিত বিধিমালায় বলা আছে, এই বিধিমালার তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ১০ পঙিক্ত জাতীয় সংগীত হিসেবে গাইতে হবে। তফসিল ভিন্ন অন্যভাবে গাওয়া যাবে না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের লেখা মূল বানানের সঙ্গে এই বিধিমালার ভিন্নতা রয়ে গেছে। যুগ যুগ ধরে ‘ফাগুনে’ এবং ‘অঘ্রানে’—এই দুটি শব্দ উচ্চারণ করে জাতীয় সংগীতটি গাওয়া হচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, বিধিমালা লঙ্ঘন করে কী গাওয়া হচ্ছে? এই ভুল দুটিকে নিছক ভুল হিসেবে ধরা যাবে না। কারণ, তা সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এখন কেউ এটি অনুসরণ করতে গেলে বিভ্রান্তিতে পড়াটাই স্বাভাবিক। একই ভুল রাখা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিধিমালায়ও। এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘যদি ওয়েবসাইটে এ রকম দেওয়া থাকে তাহলে সেটা ভুল। এটা সংশোধন করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা ভাষার বিভিন্ন উচ্চারণ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপন করব।’
বিধিমালাটি হুবহু প্রজ্ঞাপন আকারে রাখা হয়েছে। এতে প্রকাশিত তৃতীয় তফসিলে জাতীয় সংগীতের বাংলা, ইংরেজি ও রোমান ভাষার সংস্করণ দেওয়া হয়েছে। এতে ধরে নেওয়া যায়, বিধিমালাটি এভাবেই প্রকাশিত হয়। এর বাংলা অংশে জাতীয় সংগীতের তৃতীয় পঙিক্ততে বানান দেওয়া হয়েছে ‘ও মা ফাল্গুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে’। আবার পঞ্চম পঙিক্ততে বানান দেওয়া হয়েছে ‘ও মা অগ্রহায়ণে তোর ভরা ক্ষেতে, আমি কী দেখেছি মধুর হাসি’। এখানে মাস দুটির নামের বানান ভুল দেওয়া হয়েছে, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মূল বানান এবং গানের উচ্চারণ থেকে ভিন্ন। রবীন্দ্রনাথের লেখা এই পঙিক্তগুলোয় মাস দুটিকে লেখা হয়েছে ‘ফাগুনে’ ও ‘অঘ্রানে’ (গীতবিতান) এবং গানটি গাওয়ার সময় এভাবেই গাওয়া হয়। কিন্তু এই ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ বাংলাদেশের প্রণীত জাতীয় সংগীত বিধিমালায় দেওয়া হয়েছে ‘ফাল্গুনে’ ও ‘অগ্রহায়ণে’। ওয়েবসাইট দুটিতে উল্লিখিত বিধিমালায় বলা আছে, এই বিধিমালার তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ১০ পঙিক্ত জাতীয় সংগীত হিসেবে গাইতে হবে। তফসিল ভিন্ন অন্যভাবে গাওয়া যাবে না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের লেখা মূল বানানের সঙ্গে এই বিধিমালার ভিন্নতা রয়ে গেছে। যুগ যুগ ধরে ‘ফাগুনে’ এবং ‘অঘ্রানে’—এই দুটি শব্দ উচ্চারণ করে জাতীয় সংগীতটি গাওয়া হচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, বিধিমালা লঙ্ঘন করে কী গাওয়া হচ্ছে? এই ভুল দুটিকে নিছক ভুল হিসেবে ধরা যাবে না। কারণ, তা সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এখন কেউ এটি অনুসরণ করতে গেলে বিভ্রান্তিতে পড়াটাই স্বাভাবিক। একই ভুল রাখা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিধিমালায়ও। এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘যদি ওয়েবসাইটে এ রকম দেওয়া থাকে তাহলে সেটা ভুল। এটা সংশোধন করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা ভাষার বিভিন্ন উচ্চারণ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপন করব।’
No comments