নতুন কূপ খনন ও বিকল্প উৎস জরুরি-দীর্ঘায়িত গ্যাস-সংকট
গ্যাসের বর্তমান যে চাহিদা, সেই অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে না। এই ঘাটতি কাটাতে নানা উদ্যোগও সরকার নিয়েছে, কিন্তু এ বছরের শেষ নাগাদ গ্যাসের উৎপাদন বাড়লেও ঘাটতি না কমে বরং বাড়ার আশঙ্কাই দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, এ সময়ে যে পরিমাণ গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে, সেই তুলনায় চাহিদা বাড়বে আরও বেশি।
এখন চাহিদা আছে যেখানে ২৫০ কোটি ঘনফুট, সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে ২০০ কোটি ঘনফুট। এ বছরের শেষ নাগাদ চাহিদা বেড়ে ২৮০ কোটি ঘনফুট হবে, আর উৎপাদন বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২২০ কোটি ঘনফুটে। বর্তমানের ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি বছরের শেষ নাগাদ বেড়ে দাঁড়াবে ৬০ কোটি ঘনফুটে। এই অবস্থায় কী করণীয়?
গ্যাসের চাহিদা যে হারে বাড়বে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন বাড়ানোই হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পথ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রায় আট বছর দেশে নতুন কোনো গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের এই নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সে কারণেই। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, কিন্তু নতুন গ্যাস অনুসন্ধান, ক্ষেত্র আবিষ্কার এবং সেই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে নিয়ে আসা সময়সাপেক্ষ কাজ। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তার ফল পেতে বেশ সময় লাগবে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়াই হতে পারে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সহজ উপায়।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সেল এ ব্যাপারে বর্তমান গ্যাসকূপগুলোর যন্ত্রপাতি পরিবর্তন এবং সংস্কারের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। তাদের হিসাব অনুসারে, এ ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে দৈনিক ৩৫ থেকে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এই সুপারিশ বাস্তবসম্মত ও স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ হিসেবে কার্যকর বলে বিবেচনা করা যায়। সরকারের উচিত বর্তমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেই অনুযায়ী সম্ভাব্য সব উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া। কূপগুলোয় নানামুখী সংস্কারের পাশাপাশি বর্তমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে নতুন কূপ খননের বিষয়টি সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। গ্যাস সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কারণেও গ্যাস উৎপাদনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমেও পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় করা সম্ভব।
আট বছর নতুন গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ থাকায় সংকট যেখানে গিয়ে ঠেকেছে, তা সামাল দিতে এ ধরনের উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের বিকল্প নেই; পাশাপাশি গ্যাস অনুসন্ধানের যে কার্যক্রম চলছে, তাও জোরদার করতে হবে। বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে, তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে জ্বালানির ক্ষেত্রে গ্যাসের ওপর আমাদের অতিরিক্ত নির্ভরতা বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প জ্বালানির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে; বিশেষ করে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস-নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি খুবই জরুরি।
গ্যাসের চাহিদা যে হারে বাড়বে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন বাড়ানোই হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পথ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রায় আট বছর দেশে নতুন কোনো গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের এই নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সে কারণেই। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, কিন্তু নতুন গ্যাস অনুসন্ধান, ক্ষেত্র আবিষ্কার এবং সেই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে নিয়ে আসা সময়সাপেক্ষ কাজ। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তার ফল পেতে বেশ সময় লাগবে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়াই হতে পারে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সহজ উপায়।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সেল এ ব্যাপারে বর্তমান গ্যাসকূপগুলোর যন্ত্রপাতি পরিবর্তন এবং সংস্কারের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। তাদের হিসাব অনুসারে, এ ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে দৈনিক ৩৫ থেকে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এই সুপারিশ বাস্তবসম্মত ও স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ হিসেবে কার্যকর বলে বিবেচনা করা যায়। সরকারের উচিত বর্তমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেই অনুযায়ী সম্ভাব্য সব উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া। কূপগুলোয় নানামুখী সংস্কারের পাশাপাশি বর্তমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে নতুন কূপ খননের বিষয়টি সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। গ্যাস সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কারণেও গ্যাস উৎপাদনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমেও পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় করা সম্ভব।
আট বছর নতুন গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ থাকায় সংকট যেখানে গিয়ে ঠেকেছে, তা সামাল দিতে এ ধরনের উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের বিকল্প নেই; পাশাপাশি গ্যাস অনুসন্ধানের যে কার্যক্রম চলছে, তাও জোরদার করতে হবে। বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে, তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে জ্বালানির ক্ষেত্রে গ্যাসের ওপর আমাদের অতিরিক্ত নির্ভরতা বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প জ্বালানির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে; বিশেষ করে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস-নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি খুবই জরুরি।
No comments