ইসরায়েলকে দখলদারি ছাড়তে হবে-স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি এক নীতিনির্ধারণী ভাষণে ১৯৬৭ সালের পূর্ব সীমানাকে ভিত্তি ধরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে তাঁকে এ কথাও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, ইতিপূর্বে একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট মধ্যপ্রাচ্য
সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন প্রস্তাব দিলেও তা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের উদ্যোগে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের শীর্ষনেতার বৈঠকও সমস্যার সমাধান দিতে পারেনি ইসরায়েলের একগুঁয়েমির কারণে। প্রশাসনসহ আমেরিকার ক্ষমতাবলয়ে ইহুদি লবি এতটাই শক্তিশালী যে ইসরায়েল বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ফিলিস্তিন ভূমি দখল করে আছে।
বারাক ওবামা ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বাস্তবসম্মত। ইসরায়েলি রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিতই হয়েছে মাতৃভূমি থেকে ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করে। সেখানে তাদের জবরদখল এবং বেসামরিক জনগোষ্ঠীর নির্যাতন অব্যাহত আছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিন নয়; মিসর, সিরিয়া ও জর্ডানেরও বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সর্বাত্মক সহায়তা না করলে ইসরায়েল কখনোই দখলদারি বজায় রাখতে পারত না। সে ক্ষেত্রে ওবামার প্রস্তাবটি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়া ওবামার প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। সমর্থন জানিয়েছে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। এই ঔদ্ধত্য তিনি কোথায় পেলেন? যে যুক্তরাষ্ট্র অবাধ্যতার জন্য ইরাক, আফগানিস্তানকে শাস্তি দিতে পারে, আল-কায়েদার নেতা বিন লাদেনকে ধরতে পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালাতে পারে, সেই যুক্তরাষ্ট্র কী করে ইসরায়েলের বেয়াদবি বরদাশত করে, সেটাই বড় প্রশ্ন।
বারাক ওবামা ইসরায়েলের প্রতি চাপ বজায় রাখতে ব্রিটেনের সমর্থন চেয়েছেন। তিনি সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর এসব উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েও যে প্রশ্নটি তোলা প্রয়োজন তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি চান? যদি চান, ইসরায়েলের অন্যায় ও বেআইনি দখলদারির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। ফিলিস্তিনসহ গোটা আরব বিশ্ব ইসরায়েলের অস্তিত্ব মেনে নিয়েছে। ইসরায়েলকেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা মেনে নিতে হবে এবং আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মদদ ছাড়া ইসরায়েল এক পা-ও এগোতে পারে না। ইসরায়েলকে অবশ্যই ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানায় ফিরে যেতে হবে। বহির্বিশ্বের সমর্থন আদায়ের পাশাপাশি ওবামার কর্তব্য হবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে যে ইহুদি লবি ইসরায়েলকে মদদ দিচ্ছে তাদের নিবৃত্ত করা। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর বিকল্প নেই।
বারাক ওবামা ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বাস্তবসম্মত। ইসরায়েলি রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিতই হয়েছে মাতৃভূমি থেকে ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করে। সেখানে তাদের জবরদখল এবং বেসামরিক জনগোষ্ঠীর নির্যাতন অব্যাহত আছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিন নয়; মিসর, সিরিয়া ও জর্ডানেরও বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সর্বাত্মক সহায়তা না করলে ইসরায়েল কখনোই দখলদারি বজায় রাখতে পারত না। সে ক্ষেত্রে ওবামার প্রস্তাবটি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়া ওবামার প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। সমর্থন জানিয়েছে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। এই ঔদ্ধত্য তিনি কোথায় পেলেন? যে যুক্তরাষ্ট্র অবাধ্যতার জন্য ইরাক, আফগানিস্তানকে শাস্তি দিতে পারে, আল-কায়েদার নেতা বিন লাদেনকে ধরতে পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালাতে পারে, সেই যুক্তরাষ্ট্র কী করে ইসরায়েলের বেয়াদবি বরদাশত করে, সেটাই বড় প্রশ্ন।
বারাক ওবামা ইসরায়েলের প্রতি চাপ বজায় রাখতে ব্রিটেনের সমর্থন চেয়েছেন। তিনি সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর এসব উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েও যে প্রশ্নটি তোলা প্রয়োজন তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি চান? যদি চান, ইসরায়েলের অন্যায় ও বেআইনি দখলদারির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। ফিলিস্তিনসহ গোটা আরব বিশ্ব ইসরায়েলের অস্তিত্ব মেনে নিয়েছে। ইসরায়েলকেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা মেনে নিতে হবে এবং আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মদদ ছাড়া ইসরায়েল এক পা-ও এগোতে পারে না। ইসরায়েলকে অবশ্যই ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানায় ফিরে যেতে হবে। বহির্বিশ্বের সমর্থন আদায়ের পাশাপাশি ওবামার কর্তব্য হবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে যে ইহুদি লবি ইসরায়েলকে মদদ দিচ্ছে তাদের নিবৃত্ত করা। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর বিকল্প নেই।
No comments