যাদের কেউ নেই, আইন কি তাদের বাঁচাবে না?-শিশু গৃহকর্মীদের যৌন নিরাপত্তা
নারী ও শিশু গৃহকর্মীদের ওপর কমবেশি নির্যাতন হয়, এটা জানা কথা। শিশু গৃহকর্মীদের ১৭ শতাংশই যৌন নির্যাতনের শিকার বলে জানিয়েছে একটি গবেষণাপত্র। এই অনুসন্ধান সব গৃহকর্তার সামনে একটি আয়না হাজির করেছে। সেই আয়নায় সবারই দেখে নেওয়া উচিত, বাড়ির শিশু গৃহকর্মীটির চোখে গৃহকর্তা কতটা ‘নিরাপদ’ পুরুষ।
ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় পরিচালিত এই গবেষণা মূলত মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে শিশু গৃহকর্মীদের দুর্দশা জানায়। নিম্নবিত্ত এলাকাগুলোতেও পরিস্থিতি একই রকম। একটি নির্যাতিত শিশু মানে নিশ্চিতভাবেই একজন নির্যাতকের উপস্থিতি। ফলে একদিকে যেমন শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, অন্যদিকে নির্যাতক পুরুষের সংখ্যাও সমাজে বেড়ে যাচ্ছে। প্রায়ই যে গৃহকর্মীকে শারীরিক নির্যাতন, এমনকি হত্যার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, তা থেকেও পরিস্থিতির ভয়াবহতা কল্পনা করা যায়। এই নীরব ব্যাধি যে ঘর-সংসারগুলোতে বিরাজ করছে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের অনেকেই যে এ ধরনের ঘৃণিত কাজের সঙ্গে জড়িত, এটি অতি আশঙ্কার কথা। অথচ উপযুক্ত আইন নেই, নজরদারির জন্য কার্যকর সংস্থা নেই। বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখাই যেন প্রচলিত অভ্যাস। সরকারের ব্যর্থতা এবং সামাজিক দায়ের এই শিথিলতারই শিকার হচ্ছে দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিশু গৃহকর্মীরা।
বাংলাদেশে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র বাদে শর্ত সাপেক্ষে শিশুশ্রম ব্যবহারের সুযোগ আইনে রয়েছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের গৃহকর্মকে শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য করা এবং তাকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা আদতে নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সামাজিক সংস্কার, উপায়ের অভাব ইত্যাদি কারণে আইনের হাত পারিবারিক জীবনের ভেতরে প্রবেশও করতে পারে না। পাশাপাশি নির্যাতিত শিশুদের বয়স, অভিভাবকহীনতা এবং সচেতনতার অভাবের জন্যও বিচার চাওয়া তাদের পক্ষে কঠিন। সব মিলিয়ে যে ১৭ শতাংশ শিশু গৃহকর্মী নিয়মিতভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তাদের অবস্থা ভয়াবহ।
বলা হয়, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের নাগরিক, শিশু গৃহকর্মীরাও এর বাইরে নয়। সুতরাং, রাষ্ট্র আগামী দিনের নাগরিকদের জীবন বিপর্যয়ের মধ্যে রেখে নির্দায় থাকতে পারে না। এ বিষয়ে আইনের সংস্কার হোক, নজরদারির জন্য স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা হোক। একই সঙ্গে শিশুদের গৃহকর্মে নিয়োগের আগে তাদের নিবন্ধন করানো এবং নিয়োগদাতাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করাও জরুরি। সমাজে গভীর বৈষম্য যত রকম বিকৃতির জন্ম দেয়, শিশুশ্রমিকদের শোষণ ও নির্যাতন তার অন্যতম। এই বিকৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করার দায় সরকারসহ সবার।
বাংলাদেশে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র বাদে শর্ত সাপেক্ষে শিশুশ্রম ব্যবহারের সুযোগ আইনে রয়েছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের গৃহকর্মকে শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য করা এবং তাকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা আদতে নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সামাজিক সংস্কার, উপায়ের অভাব ইত্যাদি কারণে আইনের হাত পারিবারিক জীবনের ভেতরে প্রবেশও করতে পারে না। পাশাপাশি নির্যাতিত শিশুদের বয়স, অভিভাবকহীনতা এবং সচেতনতার অভাবের জন্যও বিচার চাওয়া তাদের পক্ষে কঠিন। সব মিলিয়ে যে ১৭ শতাংশ শিশু গৃহকর্মী নিয়মিতভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তাদের অবস্থা ভয়াবহ।
বলা হয়, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের নাগরিক, শিশু গৃহকর্মীরাও এর বাইরে নয়। সুতরাং, রাষ্ট্র আগামী দিনের নাগরিকদের জীবন বিপর্যয়ের মধ্যে রেখে নির্দায় থাকতে পারে না। এ বিষয়ে আইনের সংস্কার হোক, নজরদারির জন্য স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা হোক। একই সঙ্গে শিশুদের গৃহকর্মে নিয়োগের আগে তাদের নিবন্ধন করানো এবং নিয়োগদাতাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করাও জরুরি। সমাজে গভীর বৈষম্য যত রকম বিকৃতির জন্ম দেয়, শিশুশ্রমিকদের শোষণ ও নির্যাতন তার অন্যতম। এই বিকৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করার দায় সরকারসহ সবার।
No comments