উৎসে হাত দিন, তরুণ প্রজন্মকে বাঁচান-মাদকেরথাবা
শিশুটির পিঠে স্কুলব্যাগ, ব্যাগভর্তি ফেনসিডিল। সে বাহক মাত্র, মালিক আরেকজন, নেশাও করবে অন্যরা। ওদিকে কক্সবাজারের উখিয়া মহাসড়কে পাজেরো গাড়ি ছুটছে, গাড়ি ভর্তি ইয়াবা। গন্তব্য ঢাকা। এদিকে ঢাকার উত্তরার এক চায়নিজ রেস্টুরেন্টে মিলল ইয়াবার আরেকটি চালান।
কুমড়োর ভেতরে, শিশুদের স্কুলব্যাগে করে ফেনসিডিল আর অভিজাত গাড়ি ও রেস্তোরাঁয় ইয়াবার অভিযাত্রা চলছে। চলছে সেবন, চলছে ব্যবসা; আর নেশার বিষে ধুঁকছে তরুণ প্রজন্মের একটি অংশ। ধরপাকড় কিছু হচ্ছে মাঝেমধ্যে, কিন্তু তা সমুদ্রে ঢিল ছোড়ার মতোই।
মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন উখিয়া থেকে ঢাকার রামপুরা-উত্তরা পর্যন্ত মাদক আনা-নেওয়ার এই জাল প্রমাণ করে, বিষচক্রের শিকড় অনেক গভীর পর্যন্ত প্রসারিত। দরিদ্র শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চশ্রেণীর ব্যক্তিরাও এতে জড়িত। র্যাব-পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎপরতায় সমস্যার প্রকোপ কমে না। পরিবারের তরুণ সন্তান এমনকি তরুণীদের কেউ কেউ এর শিকার হয়। পরিণামে শেষ হয়ে যায় একটি জীবনের সম্ভাবনা, ধ্বংস হয় পারিবারিক শান্তি ও স্বপ্ন। সমস্যার প্রতিকার কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে করা সম্ভব নয় ঠিক, কিন্তু মাদকের বিষবৃক্ষের গোড়া কাটার প্রধান দায়িত্বটা তাদেরই।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধরা পড়ে খুচরা ও মাঝারি বিক্রেতারা। কিন্তু যারা সীমান্তের ওপার থেকে বড় বড় চালান আনে, সেই সব পাইকারি বিক্রেতা সামান্য লোক নয়। তারা বিত্তবান এবং পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশ। ফেনসিডিল বা ইয়াবার মতো সর্বনাশা মাদকের উৎপাদন দেশের ভেতর হয় না। সুতরাং সীমান্তেই কঠোর নজরদারি করা গেলে এসবের জোগান বন্ধ হওয়ার কথা। এটাই নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মাদকের পাইকারি সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানও চালাতে হবে। সদিচ্ছা থাকলে এগুলোর কোনোটাই অসম্ভব নয়।
মাদকের চালান বন্ধে তাই গোড়ায় হাত দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। উপায়টা সরকারের হাতে, সদিচ্ছাটাও তাদের দিক থেকেই আসতে হবে।
মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন উখিয়া থেকে ঢাকার রামপুরা-উত্তরা পর্যন্ত মাদক আনা-নেওয়ার এই জাল প্রমাণ করে, বিষচক্রের শিকড় অনেক গভীর পর্যন্ত প্রসারিত। দরিদ্র শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চশ্রেণীর ব্যক্তিরাও এতে জড়িত। র্যাব-পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎপরতায় সমস্যার প্রকোপ কমে না। পরিবারের তরুণ সন্তান এমনকি তরুণীদের কেউ কেউ এর শিকার হয়। পরিণামে শেষ হয়ে যায় একটি জীবনের সম্ভাবনা, ধ্বংস হয় পারিবারিক শান্তি ও স্বপ্ন। সমস্যার প্রতিকার কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে করা সম্ভব নয় ঠিক, কিন্তু মাদকের বিষবৃক্ষের গোড়া কাটার প্রধান দায়িত্বটা তাদেরই।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধরা পড়ে খুচরা ও মাঝারি বিক্রেতারা। কিন্তু যারা সীমান্তের ওপার থেকে বড় বড় চালান আনে, সেই সব পাইকারি বিক্রেতা সামান্য লোক নয়। তারা বিত্তবান এবং পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশ। ফেনসিডিল বা ইয়াবার মতো সর্বনাশা মাদকের উৎপাদন দেশের ভেতর হয় না। সুতরাং সীমান্তেই কঠোর নজরদারি করা গেলে এসবের জোগান বন্ধ হওয়ার কথা। এটাই নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মাদকের পাইকারি সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানও চালাতে হবে। সদিচ্ছা থাকলে এগুলোর কোনোটাই অসম্ভব নয়।
মাদকের চালান বন্ধে তাই গোড়ায় হাত দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। উপায়টা সরকারের হাতে, সদিচ্ছাটাও তাদের দিক থেকেই আসতে হবে।
No comments