এঁরাই বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন?-‘রাষ্ট্রদূত’
কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠতে পারে, তা অকল্পনীয়। কিন্তু বাংলাদেশের তিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো এমনই। সবচেয়ে বড় কথা, গুরুতর নানা অভিযোগ ওঠার পরও তাঁরা আছেন বহাল তবিয়তে। বাংলাদেশ বলে কথা!
রাষ্ট্রদূতেরা প্রতিনিধিত্ব করেন দেশের। বলা যায় দেশের বাইরে তাঁরাই দেশ। বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে বিদেশে আছেন এমন তিন রাষ্ট্রদূতের একজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবারের লোকজন দিয়ে দূতাবাস চালানো, বেশি ভিসা ফি নেওয়া। ফিলিপাইনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সত্য হলে এ প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক যে এমন রুচিবোধ যাঁর, তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান কীভবে? বিদেশে বাংলাদেশকে যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাঁদের গুণ-মান যাচাই করার কোনো বিধান কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেই? ওমানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের কারণে সে দেশের সঙ্গে সম্পর্কই বিপন্ন হওয়ার পথে। এই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ওমান এখন সরকারি পর্যায়ে কোনো যোগাযোগই করছে না। এমন রাষ্ট্রদূতকে ওমানে বসিয়ে রাখার কী কারণ থাকতে পারে? নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ ও ঘুষ গ্রহণের যে অভিযোগ উঠেছে, প্রাথমিক তদন্তে তার সত্যতাও মিলেছে বলে জানা গেছে। তাঁর বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেই। এখনো তিনি নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত!
এই তিন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একজন পেশাদার কূটনীতিক। বাকি দুজনের নিয়োগের পেছনে যে কাজ করেছে রাজনৈতিক বিবেচনা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। রাষ্ট্রদূতের মতো পদে পেশাদার কূটনীতিকদের নিয়োগই প্রত্যাশিত। এর বাইরে কাউকে নিয়োগ দিতে হলে যোগ্যতা ও মানের বিষয়টিই হওয়া উচিত সবচেয়ে বড় বিবেচ্য। দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে অনেক সময় পেশাদার কূটনীতিকদের বাইরে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিষয়টি উল্টো। এখানে বিবেচনার বিষয় দেশ নয়, উদ্দেশ্য থাকে ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা বা সুবিধা দেওয়া। তা সেই ব্যক্তির যোগ্যতা থাক বা না থাক। তাঁরা যাচ্ছেতাই করবেন, তাতে অবাক হওয়ার কী আছে! কিন্তু ফিলিপাইনে নিযুক্ত পেশাদার কূটনীতিকও তো কম যাননি। এর আগে জর্ডানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করার সময় যাঁর বিরুদ্ধে এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল, তিনি এখন ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূতেরা যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাই তাঁদের আচার-আচরণের সঙ্গে দেশের মানসম্মানের প্রশ্ন জড়িত। আর অভিযোগ ওঠার পরও রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টি দেশের ভাবমূর্তির জন্য আরও ক্ষতিকর। কয়েকজনের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সরকার কেন দেশের ভাবমূর্তিকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে? অভিযোগগুলো তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
এই তিন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একজন পেশাদার কূটনীতিক। বাকি দুজনের নিয়োগের পেছনে যে কাজ করেছে রাজনৈতিক বিবেচনা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। রাষ্ট্রদূতের মতো পদে পেশাদার কূটনীতিকদের নিয়োগই প্রত্যাশিত। এর বাইরে কাউকে নিয়োগ দিতে হলে যোগ্যতা ও মানের বিষয়টিই হওয়া উচিত সবচেয়ে বড় বিবেচ্য। দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে অনেক সময় পেশাদার কূটনীতিকদের বাইরে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিষয়টি উল্টো। এখানে বিবেচনার বিষয় দেশ নয়, উদ্দেশ্য থাকে ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা বা সুবিধা দেওয়া। তা সেই ব্যক্তির যোগ্যতা থাক বা না থাক। তাঁরা যাচ্ছেতাই করবেন, তাতে অবাক হওয়ার কী আছে! কিন্তু ফিলিপাইনে নিযুক্ত পেশাদার কূটনীতিকও তো কম যাননি। এর আগে জর্ডানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করার সময় যাঁর বিরুদ্ধে এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল, তিনি এখন ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূতেরা যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাই তাঁদের আচার-আচরণের সঙ্গে দেশের মানসম্মানের প্রশ্ন জড়িত। আর অভিযোগ ওঠার পরও রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টি দেশের ভাবমূর্তির জন্য আরও ক্ষতিকর। কয়েকজনের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সরকার কেন দেশের ভাবমূর্তিকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে? অভিযোগগুলো তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
No comments