দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে এসব থামবে না-ভবনধস, দুর্ঘটনা
সমস্যাটি পুরোনো। ঘটনা ঘটে, তদন্ত হয়, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, কেউ শাস্তি পায় না। রাজধানীতে ভবন ধসে পড়ার ঘটনা এখন নিয়মিত একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি এসব ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে মানুষের, কোনো আর্থিক বিবেচনায় যে ক্ষতির বিষয়টি মাপা সম্ভব নয়।
যাঁদের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলায় ভবনধসের ঘটনাগুলো ঘটছে, তাঁরা শাস্তি পাবেন, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শাস্তি না পেলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে, ভবন তৈরির ক্ষেত্রে অনেকেই নিয়মনীতি মানছেন না এবং এর ফল হিসেবে ঘটে চলেছে ভবনধস এবং এ ধরনের দুর্ঘটনা।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে যে হিসাব রয়েছে, তাতে দেখা যায়, ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে প্রায় অর্ধশত ভবন ধসে বা হেলে পড়েছে। এর মধ্যে আটটি বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোর একটির জন্যও কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজউকের চেয়ারম্যান বলেছেন, এসব ঘটনার পর রাজউক মামলা করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থানা থেকে অভিযোগপত্র বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কোনোটাই দেওয়া হয়নি। ভবনধস বা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণভাবে ক্ষমতা ও অর্থের শক্তিতে শক্তিমান। থানা-পুলিশকে প্রভাবিত করা তাঁদের পক্ষে কঠিন নয়। এসব ঘটনায় থানা থেকে কেন অভিযোগপত্র পাওয়া যায় না, তা ধারণা করা কঠিন নয়।
ভবনধস বা দুর্ঘটনার ঘটনায় রাজউক থানায় যে মামলাগুলো করেছে, তাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যেমন একটি পক্ষ, তেমনি রাজউক একটি পক্ষ। এটা পরিষ্কার যে মামলার একটি পক্ষ হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যত সক্রিয় থাকেন, রাজউক তত সক্রিয় নয়। সেটা হলে থানা-পুলিশের পক্ষে অভিযোগপত্র বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন না দিয়ে বসে থাকা সম্ভব হতো না। মামলার পর অভিযোগপত্র না দেওয়ার যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের কাছে আমাদের প্রশ্ন, থানার এই নেতিবাচক অবস্থানের ব্যাপারে মামলার বাদী হিসেবে তারা কতটুকু সোচ্চার ছিল? থানার ওপর দায় চাপিয়ে রাজউক নিজের দায় এড়াতে পারে না।
ভবনধস বা দুর্ঘটনার পর মামলার বিষয়টি ছাড়াও এ ধরনের ভবন নির্মাণ রোধে রাজউকের হাতে অনেক ক্ষমতা রয়েছে। অনুমোদন ছাড়া বা নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণে সহায়তা দিয়েছে এমন প্রকৌশলীদের অধিকাংশই রাজউকের তালিকাভুক্ত। আইন অনুযায়ী তাঁদের তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যায়। কিন্তু রাজউককে কখনো এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেখা যায়নি। নাখালপাড়ায় শনিবার পাইলিং ধসের যে ঘটনা ঘটে, সেখানে কাজ শুরু হয়েছিল হাসপাতালের ১৭ তলা ভবনের নকশা পাস হওয়ার ১০ মাস আগেই। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, নকশা পাস হওয়ার আগে কাজ শুরু করার কোনো সুযোগ নেই।
নাখালপাড়ার ঘটনায় আগের ঘটনাগুলোর মতোই একটি মামলা হয়েছে। এই মামলার ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে ঠেকে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে যে হিসাব রয়েছে, তাতে দেখা যায়, ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে প্রায় অর্ধশত ভবন ধসে বা হেলে পড়েছে। এর মধ্যে আটটি বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোর একটির জন্যও কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজউকের চেয়ারম্যান বলেছেন, এসব ঘটনার পর রাজউক মামলা করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থানা থেকে অভিযোগপত্র বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কোনোটাই দেওয়া হয়নি। ভবনধস বা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণভাবে ক্ষমতা ও অর্থের শক্তিতে শক্তিমান। থানা-পুলিশকে প্রভাবিত করা তাঁদের পক্ষে কঠিন নয়। এসব ঘটনায় থানা থেকে কেন অভিযোগপত্র পাওয়া যায় না, তা ধারণা করা কঠিন নয়।
ভবনধস বা দুর্ঘটনার ঘটনায় রাজউক থানায় যে মামলাগুলো করেছে, তাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যেমন একটি পক্ষ, তেমনি রাজউক একটি পক্ষ। এটা পরিষ্কার যে মামলার একটি পক্ষ হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যত সক্রিয় থাকেন, রাজউক তত সক্রিয় নয়। সেটা হলে থানা-পুলিশের পক্ষে অভিযোগপত্র বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন না দিয়ে বসে থাকা সম্ভব হতো না। মামলার পর অভিযোগপত্র না দেওয়ার যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের কাছে আমাদের প্রশ্ন, থানার এই নেতিবাচক অবস্থানের ব্যাপারে মামলার বাদী হিসেবে তারা কতটুকু সোচ্চার ছিল? থানার ওপর দায় চাপিয়ে রাজউক নিজের দায় এড়াতে পারে না।
ভবনধস বা দুর্ঘটনার পর মামলার বিষয়টি ছাড়াও এ ধরনের ভবন নির্মাণ রোধে রাজউকের হাতে অনেক ক্ষমতা রয়েছে। অনুমোদন ছাড়া বা নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণে সহায়তা দিয়েছে এমন প্রকৌশলীদের অধিকাংশই রাজউকের তালিকাভুক্ত। আইন অনুযায়ী তাঁদের তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যায়। কিন্তু রাজউককে কখনো এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেখা যায়নি। নাখালপাড়ায় শনিবার পাইলিং ধসের যে ঘটনা ঘটে, সেখানে কাজ শুরু হয়েছিল হাসপাতালের ১৭ তলা ভবনের নকশা পাস হওয়ার ১০ মাস আগেই। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, নকশা পাস হওয়ার আগে কাজ শুরু করার কোনো সুযোগ নেই।
নাখালপাড়ার ঘটনায় আগের ঘটনাগুলোর মতোই একটি মামলা হয়েছে। এই মামলার ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে ঠেকে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments