চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ দরকার-পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী সংঘাত
রাঙামাটির মাটি আবার রক্তরঞ্জিত হয়েছে। বরকলের নাড়াইছড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিপক্ষ জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বলে ইউপিডিএফ অভিযোগ করেছে।
অবশ্য জেএসএস এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কার্যক্রমে বিশ্বাসী। কিন্তু রাঙামাটির পুলিশ সুপার জেএসএসের কর্মীদের হামলায় ইউপিডিএফের চার কর্মী মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন। এটা যদি সত্য হয়, তাহলে সেখানকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। দুই প্রতিপক্ষের সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধ না হলে পাহাড়ে শান্তি সুদূরপরাহত।
শান্তির ফর্মুলা কারও অজানা নয়। পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নই হলো পাহাড়ি অঞ্চলে এ ধরনের সংঘাতের পরিসমাপ্তি ঘটানোর শ্রেষ্ঠ উপায়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর সেখানে শান্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আদিবাসীরা চাইছিল, যেন চুক্তির শর্তগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়। সরকারের উচিত ছিল চুক্তি বাস্তবায়নে দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের নানা দুর্বলতা ও দোদুল্যমানতা চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরে না আসার এটি অন্যতম কারণ।
পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্যতম পক্ষ জেএসএসের একটি অংশ বলতে থাকে যে চুক্তি বাস্তবায়িত হবে না, তাই এর পেছনে ছুটে লাভ নেই। এই অংশটিই ১৯৯৮ সালে ইউপিডিএফ নামে আত্মপ্রকাশ করে। বাস্তবে দেখা গেল, গত ১৪ বছরে চুক্তির কিছুু ধারা বাস্তবায়িত হলেও চুক্তির অনেক কিছু ঝুলে আছে। আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়েছে, কিছু সেনাক্যাম্প গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলো যথেষ্ট নয়। ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি করে ভূমি জরিপ, প্রত্যাগত আদিবাসী শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের যথাযথ পুনর্বাসনসহ অনেক কিছুই অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। এতে আদিবাসী জনগণ সন্দিহান।
সরকার যদি প্রথম থেকেই চুক্তি বাস্তবায়নে দৃঢ় পদক্ষেপ নিত, তাহলে ইউপিডিএফের বিরোধিতার ভিত্তি থাকত না। পার্বত্য এলাকায় শান্তি অক্ষুণ্ন থাকত। এখানে সরকারের ইতস্তত করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের আমলে চুক্তি হয়েছে। এরপর বিএনপির আমলে যে চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়নি, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ বিএনপি চুক্তির বিরোধিতা করেছিল। তা সত্ত্বেও তারা চুক্তি বাতিল করেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিজেদের আমলের চুক্তি বাস্তবায়নে কেন কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না?
গত এক যুগে দুই প্রতিপক্ষ দলের সশস্ত্র সংঘাতে সাত শতাধিক নেতা-কর্মী খুন, পাঁচ শতাধিক আহত এবং দেড় হাজারের বেশি অপহূত হয়েছেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশের এক প্রান্তে এসব চলতে পারে না। এই সহিংসতা রোধের সহজ উপায় হলো দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়ন। একই সঙ্গে পাহাড়ি সংগঠনগুলোকেও সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি গ্রহণের বিকল্প নেই।
শান্তির ফর্মুলা কারও অজানা নয়। পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নই হলো পাহাড়ি অঞ্চলে এ ধরনের সংঘাতের পরিসমাপ্তি ঘটানোর শ্রেষ্ঠ উপায়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর সেখানে শান্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আদিবাসীরা চাইছিল, যেন চুক্তির শর্তগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়। সরকারের উচিত ছিল চুক্তি বাস্তবায়নে দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের নানা দুর্বলতা ও দোদুল্যমানতা চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরে না আসার এটি অন্যতম কারণ।
পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্যতম পক্ষ জেএসএসের একটি অংশ বলতে থাকে যে চুক্তি বাস্তবায়িত হবে না, তাই এর পেছনে ছুটে লাভ নেই। এই অংশটিই ১৯৯৮ সালে ইউপিডিএফ নামে আত্মপ্রকাশ করে। বাস্তবে দেখা গেল, গত ১৪ বছরে চুক্তির কিছুু ধারা বাস্তবায়িত হলেও চুক্তির অনেক কিছু ঝুলে আছে। আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়েছে, কিছু সেনাক্যাম্প গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলো যথেষ্ট নয়। ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি করে ভূমি জরিপ, প্রত্যাগত আদিবাসী শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের যথাযথ পুনর্বাসনসহ অনেক কিছুই অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। এতে আদিবাসী জনগণ সন্দিহান।
সরকার যদি প্রথম থেকেই চুক্তি বাস্তবায়নে দৃঢ় পদক্ষেপ নিত, তাহলে ইউপিডিএফের বিরোধিতার ভিত্তি থাকত না। পার্বত্য এলাকায় শান্তি অক্ষুণ্ন থাকত। এখানে সরকারের ইতস্তত করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের আমলে চুক্তি হয়েছে। এরপর বিএনপির আমলে যে চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়নি, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ বিএনপি চুক্তির বিরোধিতা করেছিল। তা সত্ত্বেও তারা চুক্তি বাতিল করেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিজেদের আমলের চুক্তি বাস্তবায়নে কেন কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না?
গত এক যুগে দুই প্রতিপক্ষ দলের সশস্ত্র সংঘাতে সাত শতাধিক নেতা-কর্মী খুন, পাঁচ শতাধিক আহত এবং দেড় হাজারের বেশি অপহূত হয়েছেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশের এক প্রান্তে এসব চলতে পারে না। এই সহিংসতা রোধের সহজ উপায় হলো দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়ন। একই সঙ্গে পাহাড়ি সংগঠনগুলোকেও সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি গ্রহণের বিকল্প নেই।
No comments