সাইকেলের জনপ্রিয়তা by তন্ময় হক
গাড়ির বিকল্প হিসেবে সাইকেলের কদর বাড়ছে। জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও চীনে সাইকেলের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এসব দেশে ছোটখাটো কাজ ও ভ্রমণের জন্য গাড়ির বদলে সাইকেলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক সাইকেল আসার পর সাইকেল চালানো বেশ সহজ হয়ে গেছে।
ফলে সাইকেল আরোহীর সংখ্যাও বেড়েছে। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এসব সাইকেলের জনপ্রিয়তা বেশি। এখন অনেকেই সাইকেলে চড়ে অফিস করতে যাচ্ছেন, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সাইকেলে চড়ে যাচ্ছে ক্লাসে। ঢাকার রাস্তায় সাইকেলে চড়ে কেউ কেউ অফিসে কিংবা ক্লাস করতে যান বটে, তবে সে সংখ্যা খুবই কম। এর জন্য ঢাকার রাস্তার অবকাঠামো দায়ী। সাইকেল চলাচলের জন্য ঢাকার রাস্তায় আলাদা কোনো লেন থাকলে বাহন হিসেবে এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়ত। বর্তমানে দ্রুতগামী অন্য বাহনগুলোর সঙ্গে একই লেনে সাইকেল চালাতে হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকেই প্রধান সড়কগুলোতে সাইকেল চালাচ্ছে না। এক্ষেত্রে ট্রাফিক ব্যবস্থার একটু উন্নয়ন করলেই ঢাকার রাস্তায় সাইকেল জনপ্রিয় পরিবহন মাধ্যম হয়ে উঠতে পারত।
১৮১৬ সালে জার্মানিতে সাইকেলের উদ্ভব হয়। সাইকেলের উদ্ভাবক কার্ল ভন ডেভিস তিন চাকার সাইকেল চালিয়ে প্যারিসে তখন তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তার আবিষ্কৃত সেই সাইকেল কালের পরিক্রমায় অনেক পরিবর্তিত হয়ে জনপ্রিয় পরিবহন হয়ে উঠেছে। সাইকেল চালানোর কথা বললে প্রসঙ্গক্রমে সাইক্লিংয়ের কথাও আসে। বর্তমানে সাইক্লিং সারাবিশ্বেই তরুণ-তরুণীদের কাছে বিনোদনের জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ঢাকার রাস্তায় প্রায়ই সাইক্লিং আয়োজনের খবর পাওয়া যায়। বেশ কিছু সাইক্লিং ক্লাবও গড়ে উঠেছে ঢাকায়। সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশীদ্রোণ গ্রামের স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা সাইকেলে চড়েই ক্লাস করতে যায়। প্রতিদিন চা বাগান আর ১০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পার হয়ে তাদের স্কুলে পেঁৗছাতে হয়। কেবল শিক্ষার আলো পেতে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে তারা নিয়মিত স্কুলে যায়। গরিব বাবা-মা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে পারেন না। তবে সামান্য আয় থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে সন্তানের জন্য সাইকেল কিনে দিয়েছেন তারা। সাইকেল কিনে দেওয়ার পর স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে অনেক। স্থানীয়দের কাছে এ শিক্ষার্থীরা পরিচিত সাইকেল বালিকা হিসেবে।
বাহন হিসেবে সাইকেল একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে সাশ্রয়ী। ঢাকার রাস্তায় বাহন হিসেবে সাইকেলকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারলে তা ঢাকার পরিবেশের জন্যই ইতিবাচক হবে। বাংলাদেশে নানা আয়োজনে সাইকেলের ব্যবহার দেখা যায়। সাইকেলে চড়ে সচেতনতা তৈরি করতে বাংলাদেশ ভ্রমণের খবরও আমরা দেখতে পাই। কিছুদিন আগেও নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকায় সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে দিলীপ চৌধুরী দীপু, অ্যাঞ্জেলা চৌধুরী মেঘ ও খন্দকার আহম্মদ আলী সায়েদ নামে তিন তরুণ-তরুণী পরিবেশ, পর্যটন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সারাদেশ সাইকেলে ভ্রমণ করছেন। মানুষকে নানা বিষয়ে সচেতন করে তুলতে সাইকেলকে ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন সময় এসেছে ঢাকার পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানো। জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসে যদি দৈনন্দিন কাজে সাইকেলের ব্যবহার করা হয় তাহলে ঢাকার ক্ষেত্রে বাধা কোথায়?
১৮১৬ সালে জার্মানিতে সাইকেলের উদ্ভব হয়। সাইকেলের উদ্ভাবক কার্ল ভন ডেভিস তিন চাকার সাইকেল চালিয়ে প্যারিসে তখন তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তার আবিষ্কৃত সেই সাইকেল কালের পরিক্রমায় অনেক পরিবর্তিত হয়ে জনপ্রিয় পরিবহন হয়ে উঠেছে। সাইকেল চালানোর কথা বললে প্রসঙ্গক্রমে সাইক্লিংয়ের কথাও আসে। বর্তমানে সাইক্লিং সারাবিশ্বেই তরুণ-তরুণীদের কাছে বিনোদনের জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ঢাকার রাস্তায় প্রায়ই সাইক্লিং আয়োজনের খবর পাওয়া যায়। বেশ কিছু সাইক্লিং ক্লাবও গড়ে উঠেছে ঢাকায়। সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশীদ্রোণ গ্রামের স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা সাইকেলে চড়েই ক্লাস করতে যায়। প্রতিদিন চা বাগান আর ১০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পার হয়ে তাদের স্কুলে পেঁৗছাতে হয়। কেবল শিক্ষার আলো পেতে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে তারা নিয়মিত স্কুলে যায়। গরিব বাবা-মা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে পারেন না। তবে সামান্য আয় থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে সন্তানের জন্য সাইকেল কিনে দিয়েছেন তারা। সাইকেল কিনে দেওয়ার পর স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে অনেক। স্থানীয়দের কাছে এ শিক্ষার্থীরা পরিচিত সাইকেল বালিকা হিসেবে।
বাহন হিসেবে সাইকেল একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে সাশ্রয়ী। ঢাকার রাস্তায় বাহন হিসেবে সাইকেলকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারলে তা ঢাকার পরিবেশের জন্যই ইতিবাচক হবে। বাংলাদেশে নানা আয়োজনে সাইকেলের ব্যবহার দেখা যায়। সাইকেলে চড়ে সচেতনতা তৈরি করতে বাংলাদেশ ভ্রমণের খবরও আমরা দেখতে পাই। কিছুদিন আগেও নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকায় সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে দিলীপ চৌধুরী দীপু, অ্যাঞ্জেলা চৌধুরী মেঘ ও খন্দকার আহম্মদ আলী সায়েদ নামে তিন তরুণ-তরুণী পরিবেশ, পর্যটন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সারাদেশ সাইকেলে ভ্রমণ করছেন। মানুষকে নানা বিষয়ে সচেতন করে তুলতে সাইকেলকে ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন সময় এসেছে ঢাকার পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানো। জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসে যদি দৈনন্দিন কাজে সাইকেলের ব্যবহার করা হয় তাহলে ঢাকার ক্ষেত্রে বাধা কোথায়?
No comments