সুন্দলপুর থেকে পূর্ণ ক্ষমতায় গ্যাস তোলা যাচ্ছে না by অরুণ কর্মকার
দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট অব্যাহত থাকলেও নোয়াখালীর সুন্দলপুর ক্ষেত্র থেকে পূর্ণ ক্ষমতায় গ্যাস তোলা যাচ্ছে না। ক্ষেত্রটি থেকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা সম্ভব। কিন্তু তোলা হচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ৮৫ লাখ ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুন্দলপুর ক্ষেত্রটিকে জাতীয় গ্যাস গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি। এটা করার জন্য ক্ষেত্রটি থেকে ফেনী পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হতো। এটা করা হলে ক্ষেত্রটি থেকে পূর্ণ ক্ষমতায় গ্যাস তুলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যেত।
কিন্তু জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত না করে, সুন্দলপুর থেকে দাগনভূঞা পর্যন্ত মাত্র ১৪ কিলোমিটার পাইপলাইন বসিয়ে ক্ষেত্রটিকে যুক্ত করা হয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সরবরাহ-ব্যবস্থার সঙ্গে। ওই কোম্পানির দৈনিক সর্বোচ্চ চাহিদা ৮৫ লাখ ঘনফুট। রাতের বেলায় তা ২০ লাখ ঘনফুটেও নেমে আসে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, এ কারণে ক্ষেত্রটি থেকে পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন না হওয়া ছাড়াও সমস্যা আছে। তা হলো, সুন্দলপুর ক্ষেত্রে গ্যাসের প্রাকৃতিক চাপ প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে এক হাজার ৮০০ পাউন্ড (১৮০০ পিএসআই)। আর বাখরাবাদ কোম্পানির সরবরাহ লাইনে গ্যাসের চাপ ১৫০ পিএসআই। ফলে ক্ষেত্রটি থেকে তোলা গ্যাস সহজেই ওই লাইনে দেওয়া যায় না।
সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ প্রায় এক হাজার পিএসআই থাকায় ক্ষেত্রটি থেকে গ্রিডে গ্যাস দেওয়া অনেক সহজ হতো। আর প্রতিদিন এক কোটি ঘনফুটেরও বেশি গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ থাকত, যা বর্তমান সংকটের সময় অনেক কাজে লাগত।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুন্দলপুরেই প্রথম নতুন অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়। তাতে আশানুরূপ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া না গেলেও ক্ষেত্রটি থেকে অনেক বছর ধরে প্রতিদিন দুই-তিন কোটি ঘনফুট করে তোলার মতো গ্যাস আছে বলে সংশ্লিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ ও প্রকৌশলীদের ধারণা।
এ ছাড়া সুন্দলপুর ও পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানো হলে আরও অনেক বেশি গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী ভূতত্ত্ববিদ ও প্রকৌশলীরা।
কিন্তু জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত না করে, সুন্দলপুর থেকে দাগনভূঞা পর্যন্ত মাত্র ১৪ কিলোমিটার পাইপলাইন বসিয়ে ক্ষেত্রটিকে যুক্ত করা হয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সরবরাহ-ব্যবস্থার সঙ্গে। ওই কোম্পানির দৈনিক সর্বোচ্চ চাহিদা ৮৫ লাখ ঘনফুট। রাতের বেলায় তা ২০ লাখ ঘনফুটেও নেমে আসে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, এ কারণে ক্ষেত্রটি থেকে পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন না হওয়া ছাড়াও সমস্যা আছে। তা হলো, সুন্দলপুর ক্ষেত্রে গ্যাসের প্রাকৃতিক চাপ প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে এক হাজার ৮০০ পাউন্ড (১৮০০ পিএসআই)। আর বাখরাবাদ কোম্পানির সরবরাহ লাইনে গ্যাসের চাপ ১৫০ পিএসআই। ফলে ক্ষেত্রটি থেকে তোলা গ্যাস সহজেই ওই লাইনে দেওয়া যায় না।
সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ প্রায় এক হাজার পিএসআই থাকায় ক্ষেত্রটি থেকে গ্রিডে গ্যাস দেওয়া অনেক সহজ হতো। আর প্রতিদিন এক কোটি ঘনফুটেরও বেশি গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ থাকত, যা বর্তমান সংকটের সময় অনেক কাজে লাগত।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুন্দলপুরেই প্রথম নতুন অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়। তাতে আশানুরূপ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া না গেলেও ক্ষেত্রটি থেকে অনেক বছর ধরে প্রতিদিন দুই-তিন কোটি ঘনফুট করে তোলার মতো গ্যাস আছে বলে সংশ্লিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ ও প্রকৌশলীদের ধারণা।
এ ছাড়া সুন্দলপুর ও পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানো হলে আরও অনেক বেশি গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী ভূতত্ত্ববিদ ও প্রকৌশলীরা।
No comments