বিএনপির কৌশল দেখে প্রার্থী ঠিক করবে আ.লীগ by শরিফুল হাসান
ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) নির্বাচন হবে আগামী মে মাসের শেষার্ধে। এখনো প্রায় দুই মাস বাকি।এরই মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী বাছাই নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দলগুলোতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে অনেকে প্রচার-জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘নির্দলীয়’ এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী মনোনয়নের সুযোগ নেই। তার পরও ক্ষমতাসীন দল বা জোটের প্রার্থী থাকবে। দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া-না নেওয়ার ওপর নির্ভর করছে ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী কে হবেন। বিএনপি প্রার্থী দিলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে। এর কিছু আলামতও এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। যেমন, জাসদের শিরীন আখতার এত দিন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রচার চালিয়েছিলেন। এখন তিনি ঢাকা উত্তর থেকে ১৪ দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। এ নিয়ে শিরীন আখতার কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখাও করেন। তখন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ আরও কয়েকজন নেতাও ছিলেন। ওই বৈঠকে শিরীন আখতারকে উত্তর থেকে প্রার্থী করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মনোভাব প্রকাশ করেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শিরীনকে উত্তর থেকে নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছেন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা বিষয়টি ভাবছি।’
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, উত্তর থেকে নাগরিক সমাজের প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিক ও কলাম লেখক মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচন করতে পারেন। তিনি বিরোধী দলের সহানুভূতিও পেতে পারেন বলে আওয়ামী লীগ মনে করছে। এই অবস্থায় মান্নার বিপরীতে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে শিরীন আখতারের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে। শিরীন আখতার জাসদের রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবীদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করছেন।
শিরীন আখতার প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশনের কার্যালয়কে দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি ও দলবাজিমুক্ত করে হাতের কাছে নাগরিক সেবাকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি মেয়র নির্বাচন করতে চান। নগরকে আরও বাসযোগ্য, সচল ও নিরাপদ করতে তাঁর সুদূরপ্রসারী চিন্তা আছে বলেও তিনি দাবি করেন।
আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তা এখনো দলীয়ভাবে চূড়ান্ত করা হয়নি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেননি। ১৪ দলীয় জোটে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
এদিকে উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে কয়েক মাস ধরেই প্রচারণা চালাচ্ছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গত শুক্রবার মিরপুর ১ নম্বর শাহ আলী মাজার মসজিদে জুমার নামাজ শেষে তিনি উত্তরের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য জনসাধারণের কাছে দোয়া চান। তিনি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘দলের সর্বোচ্চ মহল থেকে আমাকে ইতিবাচক সংকেত দেওয়ার কারণেই আমি নির্বাচন করতে এসেছি। এই বয়সে সর্বোচ্চ মহল না চাইলে আমি নির্বাচন করতে আসতাম না।’
এ ছাড়া ঢাকার মিরপুরের সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার, চিত্রনায়ক ফারুক ও ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল হক আওয়ামী লীগের ব্যানারে এবং জাসদের মহানগর শাখার সমন্বয়ক মীর আখতার ১৪ দল থেকে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক হিসেবে প্রচারে আছেন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দিন ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল্লাহ আল কাফীও উত্তর থেকে নির্বাচন করতে চান।
রাজনৈতিক দলের বাইরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে উত্তর থেকে নির্বাচন করতে চান ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে। আমি মনে করি, পানি, বিদ্যুৎ, যানজটসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করে ঢাকাকে সবার জন্য বাসযোগ্য একটি নগর হিসেবে গড়া সম্ভব। জনগণকে বলব আমাকে একবার সুযোগ দেওয়ার জন্য। আর যেহেতু এটি নির্দলীয় নির্বাচন, কাজেই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হয়েই আমি নির্বাচন করব।’
ঢাকা দক্ষিণ: দক্ষিণে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য রঙিন পোস্টার-বিলবোর্ড দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ।
দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য সাঈদ খোকন ও হাজি সেলিম দুজনেই জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা দুজনই দক্ষিণ থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাবেন বলে প্রথম আলোর কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচনে দলটি কাকে সমর্থন দেবে, তা নির্ভর করছে বিএনপির ওপর। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে কাউকে সমর্থন নাও দিতে পারে। আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সমর্থনের ব্যাপারে কৌশলী হবে। এমনকি বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে না এসে নাগরিক কমিটির ব্যানারেও কাউকে সমর্থন দিলে আওয়ামী লীগেরও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার চিন্তা রয়েছে।
অবশ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা স্থানীয় নির্বাচন। তাই দলীয় বা জোটগতভাবে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে তফসিল ঘোষণার পর যাঁরা মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন, তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে আমরা সমর্থন দিতেও পারি। তফসিল ঘোষণার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শিরীনকে উত্তর থেকে নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছেন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা বিষয়টি ভাবছি।’
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, উত্তর থেকে নাগরিক সমাজের প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিক ও কলাম লেখক মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচন করতে পারেন। তিনি বিরোধী দলের সহানুভূতিও পেতে পারেন বলে আওয়ামী লীগ মনে করছে। এই অবস্থায় মান্নার বিপরীতে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে শিরীন আখতারের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে। শিরীন আখতার জাসদের রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবীদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করছেন।
শিরীন আখতার প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশনের কার্যালয়কে দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি ও দলবাজিমুক্ত করে হাতের কাছে নাগরিক সেবাকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি মেয়র নির্বাচন করতে চান। নগরকে আরও বাসযোগ্য, সচল ও নিরাপদ করতে তাঁর সুদূরপ্রসারী চিন্তা আছে বলেও তিনি দাবি করেন।
আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তা এখনো দলীয়ভাবে চূড়ান্ত করা হয়নি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেননি। ১৪ দলীয় জোটে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
এদিকে উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে কয়েক মাস ধরেই প্রচারণা চালাচ্ছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গত শুক্রবার মিরপুর ১ নম্বর শাহ আলী মাজার মসজিদে জুমার নামাজ শেষে তিনি উত্তরের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য জনসাধারণের কাছে দোয়া চান। তিনি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘দলের সর্বোচ্চ মহল থেকে আমাকে ইতিবাচক সংকেত দেওয়ার কারণেই আমি নির্বাচন করতে এসেছি। এই বয়সে সর্বোচ্চ মহল না চাইলে আমি নির্বাচন করতে আসতাম না।’
এ ছাড়া ঢাকার মিরপুরের সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার, চিত্রনায়ক ফারুক ও ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল হক আওয়ামী লীগের ব্যানারে এবং জাসদের মহানগর শাখার সমন্বয়ক মীর আখতার ১৪ দল থেকে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক হিসেবে প্রচারে আছেন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দিন ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল্লাহ আল কাফীও উত্তর থেকে নির্বাচন করতে চান।
রাজনৈতিক দলের বাইরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে উত্তর থেকে নির্বাচন করতে চান ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে। আমি মনে করি, পানি, বিদ্যুৎ, যানজটসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করে ঢাকাকে সবার জন্য বাসযোগ্য একটি নগর হিসেবে গড়া সম্ভব। জনগণকে বলব আমাকে একবার সুযোগ দেওয়ার জন্য। আর যেহেতু এটি নির্দলীয় নির্বাচন, কাজেই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হয়েই আমি নির্বাচন করব।’
ঢাকা দক্ষিণ: দক্ষিণে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য রঙিন পোস্টার-বিলবোর্ড দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ।
দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য সাঈদ খোকন ও হাজি সেলিম দুজনেই জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা দুজনই দক্ষিণ থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাবেন বলে প্রথম আলোর কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচনে দলটি কাকে সমর্থন দেবে, তা নির্ভর করছে বিএনপির ওপর। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে কাউকে সমর্থন নাও দিতে পারে। আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সমর্থনের ব্যাপারে কৌশলী হবে। এমনকি বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে না এসে নাগরিক কমিটির ব্যানারেও কাউকে সমর্থন দিলে আওয়ামী লীগেরও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার চিন্তা রয়েছে।
অবশ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা স্থানীয় নির্বাচন। তাই দলীয় বা জোটগতভাবে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে তফসিল ঘোষণার পর যাঁরা মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন, তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে আমরা সমর্থন দিতেও পারি। তফসিল ঘোষণার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
No comments