মধুসূদনের আত্মহত্যা মামলার অগ্রগতি নেই by মিলন রহমান
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মধুসূদন চক্রবর্তীকে আত্মহননে প্ররোচিত করার অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। ২০১১ সালের ১১ মে মধুসূদনের বাবা শংকর চক্রবর্তী বাদী হয়ে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এ এই মামলা করেছিলেন।
এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করতে পারেননি। এই মামলায় যে দুজনকে আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রভাষক এনামুল হক ও ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক আমিনুল হক।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তাঁর ছেলে মধুসূদন চক্রবর্তী শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ১৯তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি একটু বাক্প্রতিবন্ধী (তোতলা) ছিলেন। যে কারণে ক্লাস চলাকালে ওই শিক্ষকেরা তাঁকে নানা রকম ভর্ৎসনা এবং আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেন। ওই শিক্ষকদের এসব অপমান সহ্য করতে না পেরে মধুসূদন ২০১০ সালের ১১ ডিসেম্বর বগুড়া শহরের চকযাদু রোডে অবস্থিত চাঁদনী আবাসিকের ৫ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। সেখানে তিনি তাঁর বাবার উদ্দেশে দুটি চিরকুট লিখে রাখেন এবং বিষপান করেন। সেই চিঠিতে তাঁর এই আত্মহত্যার জন্য ওই শিক্ষকদের দায়ী করা হয়। ১২ ডিসেম্বর তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
তাঁর সহপাঠীরা এই মৃত্যুর জন্য ওই শিক্ষকদের দায়ী করে বলেছেন, তাঁদের কারণেই মধুসূদন এই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন বগুড়া সদর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া। তিনি জানান, এই মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। অচিরেই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের রুল
মধুসূদন চক্রবর্তীর আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে গত বছরের ১০ ও ১৭ এপ্রিল ‘আইন অধিকার’ পাতায় পর পর দুটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট, মধুসূদনের বাবা শংকর চক্রবর্তী এবং প্রথম আলোর আইন অধিকার পাতার প্রতিবেদক তানজিম আল ইসলাম আবেদনকারী হয়ে একটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ প্রতিরোধে নীতিমালা না থাকা কেন মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ প্রতিরোধ ও বৈষম্য দূরীকরণে ইতিমধ্যে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে-সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বলা হয়েছে। আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষাসচিব, স্বাস্থ্যসচিবসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী সারা হোসেন, কাজী জাহেদ ইকবাল ও শাহরিয়ার শাকির মামলা পরিচালনা করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তাঁর ছেলে মধুসূদন চক্রবর্তী শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ১৯তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি একটু বাক্প্রতিবন্ধী (তোতলা) ছিলেন। যে কারণে ক্লাস চলাকালে ওই শিক্ষকেরা তাঁকে নানা রকম ভর্ৎসনা এবং আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেন। ওই শিক্ষকদের এসব অপমান সহ্য করতে না পেরে মধুসূদন ২০১০ সালের ১১ ডিসেম্বর বগুড়া শহরের চকযাদু রোডে অবস্থিত চাঁদনী আবাসিকের ৫ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। সেখানে তিনি তাঁর বাবার উদ্দেশে দুটি চিরকুট লিখে রাখেন এবং বিষপান করেন। সেই চিঠিতে তাঁর এই আত্মহত্যার জন্য ওই শিক্ষকদের দায়ী করা হয়। ১২ ডিসেম্বর তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
তাঁর সহপাঠীরা এই মৃত্যুর জন্য ওই শিক্ষকদের দায়ী করে বলেছেন, তাঁদের কারণেই মধুসূদন এই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন বগুড়া সদর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া। তিনি জানান, এই মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। অচিরেই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের রুল
মধুসূদন চক্রবর্তীর আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে গত বছরের ১০ ও ১৭ এপ্রিল ‘আইন অধিকার’ পাতায় পর পর দুটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট, মধুসূদনের বাবা শংকর চক্রবর্তী এবং প্রথম আলোর আইন অধিকার পাতার প্রতিবেদক তানজিম আল ইসলাম আবেদনকারী হয়ে একটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ প্রতিরোধে নীতিমালা না থাকা কেন মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ প্রতিরোধ ও বৈষম্য দূরীকরণে ইতিমধ্যে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে-সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বলা হয়েছে। আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষাসচিব, স্বাস্থ্যসচিবসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী সারা হোসেন, কাজী জাহেদ ইকবাল ও শাহরিয়ার শাকির মামলা পরিচালনা করেন।
No comments