ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা-বিএনপির মধ্যম সারির নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান by তানভীর সোহেল
বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (উত্তর ও দক্ষিণ) অংশ নিতে আগ্রহী বিএনপির মধ্যম সারি ও ঢাকা মহানগর শাখার বেশ কিছু নেতা। তাঁরা এ জন্য দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। এমনকি দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজি করাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করারও উদ্যোগ নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিতে চান না। এ জন্য মাঠপর্যায়ে কাজও শুরু করেছেন। প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ভেতরে ভেতরে প্রচার-জনসংযোগ শুরু করেছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা দলের মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা মেয়র পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেখে বিএনপি প্রার্থী ঠিক করবে।
আগামী মে মাসের শেষার্ধে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এপ্রিলের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, সরকার ঢাকা সিটিকে দুই ভাগ করেছে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে না যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগকে সেই সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বিএনপির মহানগর শাখার নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ দিচ্ছেন। শিগগিরই বিষয়টি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জানানো হবে।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী জয়ী হলে তা দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য কাজে আসবে। বিশেষ করে রাজধানীতে দলীয় বড় কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। ১২ মার্চের মহাসমাবেশের জন্য ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা করতে সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু তা পায়নি। অথচ সাদেক হোসেন খোকা মেয়র থাকাকালীন এই সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারত বিএনপি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পেছনে এই যুক্তিও তুলে ধরতে চাইছেন প্রার্থী হতে আগ্রহী ব্যক্তিরা।
আগ্রহী প্রার্থীদের নাম: দলীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ, কেন্দ্রীয় মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া উত্তর এলাকার মেয়র পদে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কথাও আলোচনায় আছে।
আর দক্ষিণের আগ্রহী প্রার্থীরা হলেন বিএনপির মহানগর কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, সাবেক সাংসদ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে আছেন)।
আবদুস সালাম বলেন, তিনি দক্ষিণ এলাকা থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করতে চান। এর আগে তিনি অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান।
একই এলাকা থেকে প্রার্থী হতে আগ্রহী সালাহ উদ্দিন আহমেদও। অবশ্য তিনি বলেন, ‘দল যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই মানব।’
আগ্রহী নন ‘ওজনদার’ প্রার্থীরা: অবিভক্ত সিটি করপোরেশন থাকাকালে মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আ স ম হান্নান শাহ প্রমুখ। এখন বিভক্ত সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে এসব ‘ওজনদার’ নেতাদের আগ্রহ কমে গেছে।
সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ঢাকাকে ভাগ করে মেয়র পদের সম্মান কমানো হয়েছে। আগে ঢাকার মেয়র পূর্ণমন্ত্রীর সম্মান পেতেন। এখন প্রতিমন্ত্রীর সম্মান পাবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে নীতিনির্ধারকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপির জন্য প্রার্থী সমস্যা নয়, অনেক ভালো প্রার্থী আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাই কোনো না কোনোভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে দলটির।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা দলের মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা মেয়র পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেখে বিএনপি প্রার্থী ঠিক করবে।
আগামী মে মাসের শেষার্ধে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এপ্রিলের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, সরকার ঢাকা সিটিকে দুই ভাগ করেছে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে না যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগকে সেই সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বিএনপির মহানগর শাখার নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ দিচ্ছেন। শিগগিরই বিষয়টি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জানানো হবে।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী জয়ী হলে তা দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য কাজে আসবে। বিশেষ করে রাজধানীতে দলীয় বড় কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। ১২ মার্চের মহাসমাবেশের জন্য ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা করতে সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু তা পায়নি। অথচ সাদেক হোসেন খোকা মেয়র থাকাকালীন এই সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারত বিএনপি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পেছনে এই যুক্তিও তুলে ধরতে চাইছেন প্রার্থী হতে আগ্রহী ব্যক্তিরা।
আগ্রহী প্রার্থীদের নাম: দলীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ, কেন্দ্রীয় মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া উত্তর এলাকার মেয়র পদে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কথাও আলোচনায় আছে।
আর দক্ষিণের আগ্রহী প্রার্থীরা হলেন বিএনপির মহানগর কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, সাবেক সাংসদ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে আছেন)।
আবদুস সালাম বলেন, তিনি দক্ষিণ এলাকা থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করতে চান। এর আগে তিনি অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান।
একই এলাকা থেকে প্রার্থী হতে আগ্রহী সালাহ উদ্দিন আহমেদও। অবশ্য তিনি বলেন, ‘দল যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই মানব।’
আগ্রহী নন ‘ওজনদার’ প্রার্থীরা: অবিভক্ত সিটি করপোরেশন থাকাকালে মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আ স ম হান্নান শাহ প্রমুখ। এখন বিভক্ত সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে এসব ‘ওজনদার’ নেতাদের আগ্রহ কমে গেছে।
সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ঢাকাকে ভাগ করে মেয়র পদের সম্মান কমানো হয়েছে। আগে ঢাকার মেয়র পূর্ণমন্ত্রীর সম্মান পেতেন। এখন প্রতিমন্ত্রীর সম্মান পাবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে নীতিনির্ধারকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপির জন্য প্রার্থী সমস্যা নয়, অনেক ভালো প্রার্থী আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাই কোনো না কোনোভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে দলটির।
No comments