দক্ষিণ এশিয়া-পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমে পাকিস্তান by ইরফান হোসেন
সম্প্রতি বিলেতের গার্ডিয়ান পত্রিকার এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে পাকিস্তানের টিভি উপস্থাপকদের সম্পর্কে ‘সেক্যুলার মোল্লা’ কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে। আমি দ্বিমত পোষণ করি। আমি বরং পাকিস্তানের টিভি টক শোগুলোর উপস্থাপকদের মধ্যে সেক্যুলারিজমের লক্ষণ কমই দেখতে পাই, খুব অল্পসংখ্যক ব্যতিক্রম ছাড়া। কিন্তু এমন লক্ষণ ভূরি ভূরি যে তাঁরা মোল্লা।
বিলেতের সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানের খবর ছাপা হয় প্রচুর। আর তিন সপ্তাহ ধরে যেমন লেখালেখি চলছে, তাতে আমাদের ভাবমূর্তি আরও খারাপ হয়েছে। ওসামা বিন লাদেন লুকিয়ে ছিলেন অ্যাবোটাবাদে—এই খবর বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমে ঝড় তুলেছে। বিবিসির এক রাতের অনুষ্ঠানের দীর্ঘ অংশজুড়ে আন্তর্জাতিক আইনজীবী ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ওসামা বিন লাদেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা না করে হত্যা করার আইনি বৈধতা সম্পর্কে। অধিকাংশেরই মত এমন যে, যদিও ওসামা বিন লাদেন আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, তবু তাঁকে হত্যা না করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করা উচিত ছিল।
আমার এক বন্ধু আমাকে চ্যাটহ্যাম হাউসে পাকিস্তান সম্পর্কে আনাতোল লিয়েভেনের বক্তব্য শোনার জন্য দাওয়াত করেছিলেন। লিয়েভেন পাকিস্তান: এ হার্ড কান্ট্রি নামের একটি বইয়ের লেখক। পাকিস্তান সম্পর্কে বেশির ভাগ বিদেশি পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গি যতটা নৈরাশ্যপূর্ণ, লিয়েভেনের সে রকম নয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, দ্য টাইমস পত্রিকার সাবেক সাংবাদিক, প্রায়ই পাকিস্তান সফরে আসেন। তিনি খুব সূক্ষ্ম যুক্তির সঙ্গে দেখিয়েছেন, পাশ্চাত্যের কাছে পাকিস্তান কেন এত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কের সুবাদে অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য যেভাবে উপকৃত হতে পারে এবং পাকিস্তানে ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণে পাশ্চাত্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে হুমকি সৃষ্টি হতে পারে—এ দুয়ের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য বিধান করা প্রয়োজন। যত যা-ই ঘটুক না কেন, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ভেঙে গেলে শুধু পাশ্চাত্যের জন্যই হুমকি সৃষ্টি হবে না, ভারতের জন্যও হবে, এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের সর্বোত্তম ফসল দিয়েও তার ক্ষতি পূরণ হবে না।’
লিয়েভেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহ যে শুধু পাকিস্তানেই চলছে তা নয়; শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে তা চলেছে অনেক বছর ধরে, আর ভারতের বিরাট অঞ্চলজুড়ে কয়েক দশক ধরে চলছে নকশালপন্থীদের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই। তিনি তাঁর বইটির মুখবন্ধে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান বা ভারত কেউই স্বীকার করতে চায় না, কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের অনেক মিল, এবং ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের অনেক মিল। পাকিস্তান যদি ভারতের একটা রাজ্য হতো, তাহলে উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় ইত্যাদির বিবেচনায় তার অবস্থান হতো মাঝামাঝি—কর্ণাটকের বেশ নিচে, কিন্তু বিহারের বেশ ওপরে। বা অন্যভাবে দেখলে, ভারত যদি হতো উত্তর ভারতের শুধু হিন্দিভাষী একটা অঞ্চল, তাহলে সম্ভবত তা কোনো গণতান্ত্রিক বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি না হয়ে হতো দারিদ্র্যপীড়িত একধরনের হিন্দু জাতীয়তাবাদী স্বৈরতন্ত্র।’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তান সম্পর্কে এমন সূক্ষ্ম ও স্বচ্ছ অন্তর্দৃষ্টির বড্ড অভাব। সম্প্রতি পাশ্চাত্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যে দেশটি ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল, তাঁকে কেন কোটি কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হবে? দৃষ্টান্তস্বরূপ, শিকাগো ট্রিবিউন পত্রিকায় কপিল কমিরেড্ডি লিখেছেন, ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এই ভুল ধারণারও মৃত্যু হয়েছে যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান আমেরিকার মিত্র। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, ইসলামাবাদ যেমন জঙ্গিদের লালন-পালন করেছে, তেমনি তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করেছে। ইনভেস্টরস বিজনেস ডেইলি লিখেছে, পাকিস্তান আমেরিকার কাছ থেকে দুই হাজার কোটি ডলার সাহায্য নিয়েছে, কিন্তু যখনই জঙ্গিদের দমনের প্রসঙ্গ ওঠে, তারা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। ইসলামাবাদ যে বলেছে, ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করেছে—এ জন্য পত্রিকাটি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যের অভিযোগ এনেছে। এবং শেষে লিখেছে, পাকিস্তানকে যে অর্থসাহায্য দেওয়া বন্ধ করা উচিত, এ নিয়ে আর কোনো চিন্তাভাবনার অবকাশ নেই। এ ধরনের বৈরী মন্তব্য পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য, বিশেষত বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
বিবিসির রেডিও ফোর প্রায়ই নানা বিষয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা ও নাটক প্রচার করে থাকে। সেদিন সন্ধ্যায় একটি টক শো শুনলাম, যেখানে ছিলেন আনাতোল লিয়েভেন, পাকিস্তানি ঔপন্যাসিক মোহসিন হামিদ, একজন বাংলাদেশি লেখক ও উপস্থাপক। আলোচনার মূল বিষয় ছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দক্ষিণ এশিয়ার এ দুটি দেশ নিয়ে। বাংলাদেশ বেশ কার্যকরভাবে জঙ্গিবাদ দমনের চেষ্টা করছে জেনে আমার ভালো লাগল। একটা সময় অবাক হলাম, যখন মোহসিন হামিদকে বলতে শুনলাম, ‘পাকিস্তান ছিল সংখ্যালঘুদের দেশ, এ দেশে কোনো জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না।’ আমি যত দূর জানি, পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই পাঞ্জাবি। তিনি সম্ভবত সেরাইকি ভাষাভাষী অঞ্চলকে এর থেকে বাদ দিয়েছেন। রেডিও ফোরের আরেকটি অনুষ্ঠান শুনলাম আইএসআই এবং বিভিন্ন জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে তার সম্পর্কে অভিযোগ সম্পর্কে। সেখানে বিবিসির সাংবাদিক এবং পাকিস্তান সম্পর্কে একটি বইয়ের লেখক ওয়েন বেনেট-জোনস পাকিস্তানের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিলেন। তাঁদের একজন বললেন, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করার পরও বিচারকেরা তাদের খালাস দিয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তাটি স্বীকার করেন, কিছু কয়েদিকে তিনি বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন, যাতে তাদের হাত থেকে অন্য নিরীহ কয়েদিদের রক্ষা করা যায়।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আমাদের বিচার বিভাগ এ বিষয়ে কোনো নজর দিচ্ছেন না। তাঁদের মনোযোগ সেই সব হাই-প্রোফাইল রাজনৈতিক মামলার দিকে, যেগুলো নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই হয়।
পাকিস্তানের দৈনিক ডন থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মশিউল আলম
ইরফান হোসেন: পাকিস্তানের কলামিস্ট।
আমার এক বন্ধু আমাকে চ্যাটহ্যাম হাউসে পাকিস্তান সম্পর্কে আনাতোল লিয়েভেনের বক্তব্য শোনার জন্য দাওয়াত করেছিলেন। লিয়েভেন পাকিস্তান: এ হার্ড কান্ট্রি নামের একটি বইয়ের লেখক। পাকিস্তান সম্পর্কে বেশির ভাগ বিদেশি পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গি যতটা নৈরাশ্যপূর্ণ, লিয়েভেনের সে রকম নয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, দ্য টাইমস পত্রিকার সাবেক সাংবাদিক, প্রায়ই পাকিস্তান সফরে আসেন। তিনি খুব সূক্ষ্ম যুক্তির সঙ্গে দেখিয়েছেন, পাশ্চাত্যের কাছে পাকিস্তান কেন এত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কের সুবাদে অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য যেভাবে উপকৃত হতে পারে এবং পাকিস্তানে ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণে পাশ্চাত্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে হুমকি সৃষ্টি হতে পারে—এ দুয়ের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য বিধান করা প্রয়োজন। যত যা-ই ঘটুক না কেন, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ভেঙে গেলে শুধু পাশ্চাত্যের জন্যই হুমকি সৃষ্টি হবে না, ভারতের জন্যও হবে, এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের সর্বোত্তম ফসল দিয়েও তার ক্ষতি পূরণ হবে না।’
লিয়েভেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহ যে শুধু পাকিস্তানেই চলছে তা নয়; শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে তা চলেছে অনেক বছর ধরে, আর ভারতের বিরাট অঞ্চলজুড়ে কয়েক দশক ধরে চলছে নকশালপন্থীদের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই। তিনি তাঁর বইটির মুখবন্ধে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান বা ভারত কেউই স্বীকার করতে চায় না, কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের অনেক মিল, এবং ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের অনেক মিল। পাকিস্তান যদি ভারতের একটা রাজ্য হতো, তাহলে উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় ইত্যাদির বিবেচনায় তার অবস্থান হতো মাঝামাঝি—কর্ণাটকের বেশ নিচে, কিন্তু বিহারের বেশ ওপরে। বা অন্যভাবে দেখলে, ভারত যদি হতো উত্তর ভারতের শুধু হিন্দিভাষী একটা অঞ্চল, তাহলে সম্ভবত তা কোনো গণতান্ত্রিক বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি না হয়ে হতো দারিদ্র্যপীড়িত একধরনের হিন্দু জাতীয়তাবাদী স্বৈরতন্ত্র।’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তান সম্পর্কে এমন সূক্ষ্ম ও স্বচ্ছ অন্তর্দৃষ্টির বড্ড অভাব। সম্প্রতি পাশ্চাত্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যে দেশটি ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল, তাঁকে কেন কোটি কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হবে? দৃষ্টান্তস্বরূপ, শিকাগো ট্রিবিউন পত্রিকায় কপিল কমিরেড্ডি লিখেছেন, ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এই ভুল ধারণারও মৃত্যু হয়েছে যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান আমেরিকার মিত্র। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, ইসলামাবাদ যেমন জঙ্গিদের লালন-পালন করেছে, তেমনি তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করেছে। ইনভেস্টরস বিজনেস ডেইলি লিখেছে, পাকিস্তান আমেরিকার কাছ থেকে দুই হাজার কোটি ডলার সাহায্য নিয়েছে, কিন্তু যখনই জঙ্গিদের দমনের প্রসঙ্গ ওঠে, তারা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। ইসলামাবাদ যে বলেছে, ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করেছে—এ জন্য পত্রিকাটি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যের অভিযোগ এনেছে। এবং শেষে লিখেছে, পাকিস্তানকে যে অর্থসাহায্য দেওয়া বন্ধ করা উচিত, এ নিয়ে আর কোনো চিন্তাভাবনার অবকাশ নেই। এ ধরনের বৈরী মন্তব্য পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য, বিশেষত বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
বিবিসির রেডিও ফোর প্রায়ই নানা বিষয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা ও নাটক প্রচার করে থাকে। সেদিন সন্ধ্যায় একটি টক শো শুনলাম, যেখানে ছিলেন আনাতোল লিয়েভেন, পাকিস্তানি ঔপন্যাসিক মোহসিন হামিদ, একজন বাংলাদেশি লেখক ও উপস্থাপক। আলোচনার মূল বিষয় ছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দক্ষিণ এশিয়ার এ দুটি দেশ নিয়ে। বাংলাদেশ বেশ কার্যকরভাবে জঙ্গিবাদ দমনের চেষ্টা করছে জেনে আমার ভালো লাগল। একটা সময় অবাক হলাম, যখন মোহসিন হামিদকে বলতে শুনলাম, ‘পাকিস্তান ছিল সংখ্যালঘুদের দেশ, এ দেশে কোনো জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না।’ আমি যত দূর জানি, পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই পাঞ্জাবি। তিনি সম্ভবত সেরাইকি ভাষাভাষী অঞ্চলকে এর থেকে বাদ দিয়েছেন। রেডিও ফোরের আরেকটি অনুষ্ঠান শুনলাম আইএসআই এবং বিভিন্ন জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে তার সম্পর্কে অভিযোগ সম্পর্কে। সেখানে বিবিসির সাংবাদিক এবং পাকিস্তান সম্পর্কে একটি বইয়ের লেখক ওয়েন বেনেট-জোনস পাকিস্তানের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিলেন। তাঁদের একজন বললেন, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করার পরও বিচারকেরা তাদের খালাস দিয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তাটি স্বীকার করেন, কিছু কয়েদিকে তিনি বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন, যাতে তাদের হাত থেকে অন্য নিরীহ কয়েদিদের রক্ষা করা যায়।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আমাদের বিচার বিভাগ এ বিষয়ে কোনো নজর দিচ্ছেন না। তাঁদের মনোযোগ সেই সব হাই-প্রোফাইল রাজনৈতিক মামলার দিকে, যেগুলো নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই হয়।
পাকিস্তানের দৈনিক ডন থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মশিউল আলম
ইরফান হোসেন: পাকিস্তানের কলামিস্ট।
No comments