আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-কোনো কৌঁসুলি পদত্যাগ করতে চাইলে সরকারের আপত্তি নেই
আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো কৌঁসুলি যদি পদত্যাগ করতে চান, তবে সরকার তাতে কোনো আপত্তি জানাবে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের কিছুসংখ্যক কৌঁসুলির মামলা পরিচালনার যোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ওঠার পর গতকাল বিবিসির কাছে
আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন। আইনমন্ত্রী জানান, কিছুদিনের মধ্যেই সরকার ট্রাইব্যুনালে আরও কয়েকজন নতুন কৌঁসুলি নিয়োগ করবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার সংগঠনগুলো অনেক দিন ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলিদের কাজের ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিল। এসব সংগঠনের অভিযোগ, কৌঁসুলিরা যেভাবে অনেক পুরোনো সাক্ষ্য আইনের ওপর ভিত্তি করে মামলা পরিচালনা করছেন, তাতে করে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। কৌঁসুলিরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও সামপ্রতিক সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও তীব্র হয়েছে। সে কারণে কৌঁসুলিদের দলে কোনো পরিবর্তন আনা হবে কি না—জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, পরিবর্তন মানে তাঁরা যদি স্বেচ্ছায় চলে যেতে চান, তাহলে অসুবিধার কিছু নেই। আর থাকতে চাইলে তাতেও অসুবিধা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো চাপ সৃষ্টি করা হবে না।
কিন্তু ব্যাপক সমালোচনার বিষয়টি বোধ হয় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমকেও ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গুরুতর কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। পত্রপত্রিকায় এসেছে। হয়তো সময়ের মধ্যে অনেকটা তারা নিজেদের দক্ষ করে করে ফেলছে বা ফেলবে, এটা আমরা বিশ্বাস করছি।’
আইনমন্ত্রী জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে নতুন কয়েকজন কৌঁসুলি নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে সংখ্যাটি সম্পর্কে তিনি এখনই কিছু বলতে চাননি।
ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার আসামি জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থতার কারণে সমপ্রতি ট্রাইব্যুনালও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব তদন্ত দলের। তবে তদন্ত দলে পরিবর্তন আনার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
গত বৃহস্পতিবার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য দ্বিতীয় একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার। আজ রোববার থেকে নতুন এই ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করবেন বলে কথা রয়েছে। নতুন করে আরও প্রায় সাতজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং এসব মামলার বেশির ভাগই নতুন ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে জানা গেছে। তবে দুটি ট্রাইব্যুনাল হওয়ার কারণে এখন বিধিতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে বলে জানান শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কোনো একটি ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি কোনো একটি মামলা অন্য ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে চান, তাহলে সেই বিধানটি রাখার বিষয়টি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।’
নতুন করে যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তাঁদের মধ্যে দুজন বিদেশে রয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, এঁদের বিচারের আওতায় আসার জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁরা বাংলাদেশে না এলে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ শেষ করা হবে।
কিন্তু ব্যাপক সমালোচনার বিষয়টি বোধ হয় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমকেও ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গুরুতর কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। পত্রপত্রিকায় এসেছে। হয়তো সময়ের মধ্যে অনেকটা তারা নিজেদের দক্ষ করে করে ফেলছে বা ফেলবে, এটা আমরা বিশ্বাস করছি।’
আইনমন্ত্রী জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে নতুন কয়েকজন কৌঁসুলি নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে সংখ্যাটি সম্পর্কে তিনি এখনই কিছু বলতে চাননি।
ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার আসামি জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থতার কারণে সমপ্রতি ট্রাইব্যুনালও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব তদন্ত দলের। তবে তদন্ত দলে পরিবর্তন আনার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
গত বৃহস্পতিবার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য দ্বিতীয় একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার। আজ রোববার থেকে নতুন এই ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করবেন বলে কথা রয়েছে। নতুন করে আরও প্রায় সাতজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং এসব মামলার বেশির ভাগই নতুন ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে জানা গেছে। তবে দুটি ট্রাইব্যুনাল হওয়ার কারণে এখন বিধিতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে বলে জানান শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কোনো একটি ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি কোনো একটি মামলা অন্য ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে চান, তাহলে সেই বিধানটি রাখার বিষয়টি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।’
নতুন করে যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তাঁদের মধ্যে দুজন বিদেশে রয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, এঁদের বিচারের আওতায় আসার জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁরা বাংলাদেশে না এলে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ শেষ করা হবে।
No comments