ছাড়া হচ্ছে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে-লোকালয়ে বাঘ, নিরাপদে উদ্ধার
পশ্চিম সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপজেলার খাসিটানা গ্রামের একটি বাড়িতে গত শনিবার সন্ধ্যায় একটি বাঘ (বেঙ্গল টাইগার) ঢুকে পড়ে। বন বিভাগের লোকজন এসে অচেতন করে বাঘটি উদ্ধার করেন। পরে এটি কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের উদ্দেশে পাঠানো হয় স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঘ আসতে দেখে ওই বাড়ির বাসিন্দারা সরে যায়। বাঘটি বাড়ির একটি কক্ষে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে আশপাশের কিছু লোক জড়ো হয়।
তারা ওই কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। খাসিটানা গ্রামের শিক্ষক জি এম মশিউর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বন বিভাগের খাসিটানা টহল ফাঁড়ির উত্তর পাশ দিয়ে শাকবাড়িয়া নদী পার হয়ে বাঘটি গ্রামে প্রবেশ করে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম ও খুলনা রেঞ্জ কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, শনিবার মধ্য রাতে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের (ডব্লিউটিবি) সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্টের (এসটিপি) কর্মকর্তারা ওই গ্রামে পৌঁছান। বাঘ ও এলাকাবাসীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে বাঘটিকে অচেতন করা হয়। পরে একটি খাঁচার মধ্যে ভরে স্পিডবোটে করে সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছি টহল ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১২টার দিকে বাঘটির চেতনা ফেরে। এ সময় তাকে মুরগি ও গরুর মাংস খেতে দেওয়া হয়। ফাঁড়িতে আনার পর বাঘটির ওজন, শরীরের তাপমাত্রা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরীক্ষা করা হয়।
বিকেল চারটার দিকে বন বিভাগের লোকজন বিশেষ একটি গাড়িতে করে বাঘটি নিয়ে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের উদ্দেশে রওনা হন।
বন কর্মকর্তারা জানান, বাঘটির পেছনের ডান পা নেই। এটির উচ্চতা তিন ফুট। দৈর্ঘ্যে সাড়ে সাত ফুট। বয়স আনুমানিক ছয় বছর।
ডব্লিউটিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও এসটিপির সমন্বয়ক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসী বাঘটি নিরাপদে উদ্ধারে সহযোগিতা করেন। বাঘটি শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল। এটির হাঁটু পর্যন্ত পা হারানো দেখে মনে হচ্ছে, এটা কোনো শিকারির কাজ। ক্ষতস্থান দেখে বোঝা যাচ্ছে, এ ঘটনা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটেছে।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দীন আহমদ প্রথম আলোকে জানান, বাঘটি কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম ও খুলনা রেঞ্জ কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, শনিবার মধ্য রাতে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের (ডব্লিউটিবি) সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্টের (এসটিপি) কর্মকর্তারা ওই গ্রামে পৌঁছান। বাঘ ও এলাকাবাসীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে বাঘটিকে অচেতন করা হয়। পরে একটি খাঁচার মধ্যে ভরে স্পিডবোটে করে সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছি টহল ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১২টার দিকে বাঘটির চেতনা ফেরে। এ সময় তাকে মুরগি ও গরুর মাংস খেতে দেওয়া হয়। ফাঁড়িতে আনার পর বাঘটির ওজন, শরীরের তাপমাত্রা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরীক্ষা করা হয়।
বিকেল চারটার দিকে বন বিভাগের লোকজন বিশেষ একটি গাড়িতে করে বাঘটি নিয়ে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের উদ্দেশে রওনা হন।
বন কর্মকর্তারা জানান, বাঘটির পেছনের ডান পা নেই। এটির উচ্চতা তিন ফুট। দৈর্ঘ্যে সাড়ে সাত ফুট। বয়স আনুমানিক ছয় বছর।
ডব্লিউটিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও এসটিপির সমন্বয়ক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসী বাঘটি নিরাপদে উদ্ধারে সহযোগিতা করেন। বাঘটি শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল। এটির হাঁটু পর্যন্ত পা হারানো দেখে মনে হচ্ছে, এটা কোনো শিকারির কাজ। ক্ষতস্থান দেখে বোঝা যাচ্ছে, এ ঘটনা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটেছে।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দীন আহমদ প্রথম আলোকে জানান, বাঘটি কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
No comments