দেশে এইডসে মৃত্যুহার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি
দেশে এক বছরে এইডস রোগীর মৃত্যুর হার একলাফে দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে। সরকারি হিসাব মতে, বাংলাদেশে এইডস আক্রান্ত ৮৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে গত এক বছরে (গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর)। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭ জনে। এ ছাড়া এ বছর নতুন করে এইডস আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন ২৫১ জন, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৩১ জন। এ সময়ের মধ্যে আরো ৪৪৫ জন নতুন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা গেছে,
গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৪৩ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব এইডস দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন।
গতকাল প্রকাশিত এবারের পরিসংখ্যানে জানানো হয়, এখন দেশে মোট এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৩৩-এ। এইডস রোগী মোট এক হাজার ১০১ জন। এইডসে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩২৫ জন। গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকার ১২ হাজার ৮৯৪ জনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এ আক্রান্ত ও মৃতদের শনাক্ত করা গেছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে গত দুই বছরের সঙ্গে এবারের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালে সরকারি হিসাবে শনাক্তকৃত এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৩ এবং এইচআইভি আক্রান্ত ২৫০। এ ছাড়া এইডস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৯। তুলনামূলক হিসেবে ২০০৯ সালের চেয়ে ২০১০ সালে মৃতের সংখ্যা দুজন কম ছিল। সেখানে এ বছর উল্টো গতবারের চেয়ে ৪৭ জন বেশি রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। একইভাবে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০৯-এর তুলনায় ২০১০ সালে বাড়তি ছিল ৯৩ জন, গতবারের চেয়ে এবার বাড়তি হয়েছে ১০২ জন। তবে কেবল এইডস আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে ২০০৯ সালের চেয়ে ২০১০ সালে বাড়তি হয়েছিল ৮৮ জন, আর গতবারের চেয়ে এবার তা না বেড়ে বরং এ সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ জনে।
এ বিষয়ে জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. আবদুল ওয়াহেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এইডস আক্রান্তদের জন্য কোনো চিকিৎসা যেহেতু নেই, সেহেতু তাদের মৃত্যু নিশ্চিত। তবে পারিপাশ্বর্িক উপসর্গ ও অন্য রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা শতভাগ দেওয়া সম্ভব হয় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে এইডস আক্রান্তদের মধ্যে যারা ধনিক-শ্রেণীর, তারা হয়তো কিছুটা বেশি দিন বাঁচার সুযোগ পেতে পারে। কিন্তু দরিদ্রদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া বা দেওয়া মুশকিল।'
আবদুল ওয়াহেদ বলেন, দেশের চারটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে এইডস আক্রান্তদের পরিচর্যা দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি থাকছে কি না সে জন্য আরো ভালোভাবে মনিটরিং করা যেতে পারে। শনাক্তকৃতরা ঠিকভাবে গাইডলাইন পাচ্ছে কি না কিংবা তা মেনে চলছে কি না, সেটাও দেখা হবে বলে তিনি জানান।
আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র_আইসিডিডিআর-বির এইচআইভি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. নাশাবা মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, এইডস আক্রান্তরা উপযুক্ত পরিচর্যা পায় কি না সেটা আরো গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করা দরকার। যদিও বিষয়টিকে ঠিক সংখ্যা দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না, কারণ এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের যত বেশি খুঁজে বের করা যাবে, ততই সংখ্যা বাড়তে থাকবে। ফলে মৃতের সংখ্যাও বড় হবে।
জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির আয়োজনে গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক সেমিনারে এসব তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এইচআইভি/এইডস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্য দেশগুলোর তুলনায় পরিস্থিতি ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য এ সংখ্যা (এইডস-এইচআইভি আক্রান্তের) শূন্যে নিয়ে আসা। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'এবার শিরায় মাদকগ্রহণকারীদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের হার কমেছে, তবে যৌনকর্মীদের মধ্যে এই হার বেশি পাওয়া গেছে। এ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আমাদের নানান প্রকল্প চলছে। আরো নতুন নতুন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে।'
স্বাস্থ্যসচিব মো. হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির। তাঁরা দুজনও মন্ত্রীর মতোই বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এটাকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করার ওপর তাঁরাও জোর দেন।
এ ছাড়া তারা এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সর্বমহলের সচেতনতামূলক ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান। সেমিনারে দেশের এইচআইভি/এইডস নিয়ে সার্বিক কার্যক্রমের ওপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আমির হোসেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ ইউএনএফপির আবাসিক প্রতিনিধি আর্থার আরকেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক খন্দকার মো. শিফায়েতুল্লাহ, জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. আবদুল ওয়াহেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের পরে অতিথিরা মিলনায়তনের লবিতে আয়োজিত এক মেলায় এইচআইভি/এইডস নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থার স্টল ঘুরে দেখেন। এর আগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় এইচআইভি/এইডস ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের শত শত প্রতিনিধি অংশ নেন।
এ ছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এমিনেন্সের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাল কাপড়ে মুখ ঢেকে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ মানববন্ধন থেকে প্রবাসী কর্মী ও তাঁদের স্ত্রীদের এইডস বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এমিনেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. শামীম হায়দার তালুকদার, সোহানা সামরিন চৌধুরী, সুস্মিতা হোসেন খান, দিনা ফারহানা, কৌশিক আহমেদসহ এমিনেন্সের সব সদস্য।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) উদ্যোগে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য এবং এইডস-সংক্রান্ত মৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য নারী সংবেদী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংস্থার পরিচালক ওমর তারেক চৌধুরী। এ সময় বিএনপিএসের উপপরিচালক শাহনাজ সুমী, নির্বাহী পরিচালক ও নারীনেত্রী রোকেয়া কবীর, এইচআইভি/এইডস বিশেষজ্ঞ এবং হাসাবের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল প্রকাশিত এবারের পরিসংখ্যানে জানানো হয়, এখন দেশে মোট এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৩৩-এ। এইডস রোগী মোট এক হাজার ১০১ জন। এইডসে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩২৫ জন। গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকার ১২ হাজার ৮৯৪ জনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এ আক্রান্ত ও মৃতদের শনাক্ত করা গেছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে গত দুই বছরের সঙ্গে এবারের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালে সরকারি হিসাবে শনাক্তকৃত এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৩ এবং এইচআইভি আক্রান্ত ২৫০। এ ছাড়া এইডস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৯। তুলনামূলক হিসেবে ২০০৯ সালের চেয়ে ২০১০ সালে মৃতের সংখ্যা দুজন কম ছিল। সেখানে এ বছর উল্টো গতবারের চেয়ে ৪৭ জন বেশি রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। একইভাবে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০৯-এর তুলনায় ২০১০ সালে বাড়তি ছিল ৯৩ জন, গতবারের চেয়ে এবার বাড়তি হয়েছে ১০২ জন। তবে কেবল এইডস আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে ২০০৯ সালের চেয়ে ২০১০ সালে বাড়তি হয়েছিল ৮৮ জন, আর গতবারের চেয়ে এবার তা না বেড়ে বরং এ সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ জনে।
এ বিষয়ে জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. আবদুল ওয়াহেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এইডস আক্রান্তদের জন্য কোনো চিকিৎসা যেহেতু নেই, সেহেতু তাদের মৃত্যু নিশ্চিত। তবে পারিপাশ্বর্িক উপসর্গ ও অন্য রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা শতভাগ দেওয়া সম্ভব হয় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে এইডস আক্রান্তদের মধ্যে যারা ধনিক-শ্রেণীর, তারা হয়তো কিছুটা বেশি দিন বাঁচার সুযোগ পেতে পারে। কিন্তু দরিদ্রদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া বা দেওয়া মুশকিল।'
আবদুল ওয়াহেদ বলেন, দেশের চারটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে এইডস আক্রান্তদের পরিচর্যা দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি থাকছে কি না সে জন্য আরো ভালোভাবে মনিটরিং করা যেতে পারে। শনাক্তকৃতরা ঠিকভাবে গাইডলাইন পাচ্ছে কি না কিংবা তা মেনে চলছে কি না, সেটাও দেখা হবে বলে তিনি জানান।
আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র_আইসিডিডিআর-বির এইচআইভি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. নাশাবা মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, এইডস আক্রান্তরা উপযুক্ত পরিচর্যা পায় কি না সেটা আরো গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করা দরকার। যদিও বিষয়টিকে ঠিক সংখ্যা দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না, কারণ এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের যত বেশি খুঁজে বের করা যাবে, ততই সংখ্যা বাড়তে থাকবে। ফলে মৃতের সংখ্যাও বড় হবে।
জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির আয়োজনে গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক সেমিনারে এসব তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এইচআইভি/এইডস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্য দেশগুলোর তুলনায় পরিস্থিতি ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য এ সংখ্যা (এইডস-এইচআইভি আক্রান্তের) শূন্যে নিয়ে আসা। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'এবার শিরায় মাদকগ্রহণকারীদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের হার কমেছে, তবে যৌনকর্মীদের মধ্যে এই হার বেশি পাওয়া গেছে। এ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আমাদের নানান প্রকল্প চলছে। আরো নতুন নতুন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে।'
স্বাস্থ্যসচিব মো. হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির। তাঁরা দুজনও মন্ত্রীর মতোই বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এটাকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করার ওপর তাঁরাও জোর দেন।
এ ছাড়া তারা এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সর্বমহলের সচেতনতামূলক ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান। সেমিনারে দেশের এইচআইভি/এইডস নিয়ে সার্বিক কার্যক্রমের ওপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আমির হোসেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ ইউএনএফপির আবাসিক প্রতিনিধি আর্থার আরকেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক খন্দকার মো. শিফায়েতুল্লাহ, জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. আবদুল ওয়াহেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের পরে অতিথিরা মিলনায়তনের লবিতে আয়োজিত এক মেলায় এইচআইভি/এইডস নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থার স্টল ঘুরে দেখেন। এর আগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় এইচআইভি/এইডস ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের শত শত প্রতিনিধি অংশ নেন।
এ ছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এমিনেন্সের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাল কাপড়ে মুখ ঢেকে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ মানববন্ধন থেকে প্রবাসী কর্মী ও তাঁদের স্ত্রীদের এইডস বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এমিনেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. শামীম হায়দার তালুকদার, সোহানা সামরিন চৌধুরী, সুস্মিতা হোসেন খান, দিনা ফারহানা, কৌশিক আহমেদসহ এমিনেন্সের সব সদস্য।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) উদ্যোগে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য এবং এইডস-সংক্রান্ত মৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য নারী সংবেদী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংস্থার পরিচালক ওমর তারেক চৌধুরী। এ সময় বিএনপিএসের উপপরিচালক শাহনাজ সুমী, নির্বাহী পরিচালক ও নারীনেত্রী রোকেয়া কবীর, এইচআইভি/এইডস বিশেষজ্ঞ এবং হাসাবের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
No comments