স্পিনারদের দাপট by নাজমুল হক নোবেল
গতকাল ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ নম্বর টি২০ এবং সবগুলোতেই বেশ বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। পঞ্চম ম্যাচে অবশ্য দারুণ একটি সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল। আর এ সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছিলেন স্পিনাররা। যে উইকেটে বাংলাদেশের সাকিব-অলকরা জাদু দেখান, সেখানে কী আফ্রিদি-আজমলরা বসে থাকবেন! যা হওয়ার তাই হয়েছে; বরং বলা উচিত আরও বেশি হয়েছে। পাক স্পিনাররা রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের
ব্যাটিং। গতকালের ১৩৫ রান বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন টি২০ রান। বাংলাদেশ ৫০ রানে ম্যাচ হারলেও বোলারদের জন্য অবশ্যই এটা একটা অর্জন। তামিম না থাকার পরও দুরন্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে একটা ভালো সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন স্পিনাররা। পাকিস্তানের পতন হওয়া ৭ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। অন্য উইকেটটি রান আউটের মাধ্যমে। তবে ব্যাটিংয়ের সময় পাক ব্যাটসম্যানরা রান তোলার জন্য সংগ্রাম করলেও হয়তো মুখ টিপে হাসছিলেন মিসবাহ-উল হক। অফ স্পিনার মোহাম্মদ হাফিজকে দিয়ে বোলিংয়ের সূচনা করান তিনি। আর আফ্রিদি-আজমলদের তো মনে হয়, হাত নিশপিশ করছিল। নিশ্চিতভাবেই তাদের আর তর সইছিল না। বাংলাদেশের ৯ উইকেটের ৫টি নিয়েছেন পাক স্পিনাররা। দুটি রান আউট এবং অন্য দুটি পেসারদের দখলে গেছে। তবে পাক স্পিনারদের বিপক্ষেই ব্যাট করতে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের। তাদের কারণেই সফরকারীদের জয়টা সহজ হয়ে গেছে।
এদিকে বাংলাদেশে পা রাখার পরই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আলোচনার শেষ ছিল না। পাক বোলারদের ভয়ে উইকেট বানানো নিয়ে পর্যন্ত তালগোল পাকানোর অবস্থা বিসিবির। প্রথমত পেস উইকেট বানানো যাবে না। এমনিতেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পেস তেমন ভালো খেলতে পারেন না। তার ওপর পেস উইকেট পেলে উমর গুল, আইজাজ চিমা, সোহেল তানভিররা যে কী করবেন, তা আল্লাহ মালুম। তাহলে স্পিন উইকেট বানানোই বুদ্ধিমানের কাজ; কিন্তু সেখানে তো আরও বড় বিপদ। শহিদ আফ্রিদি, সাঈদ আজমলের মতো বিশ্বসেরা দুই স্পিনার আছেন পাকিস্তান দলে। তাদের সঙ্গে পার্টটাইমার মোহাম্মদ হাফিজও ইদানীং কম যাচ্ছেন না_ এবং হলোও তাই। বাংলাদেশের সাকিব-অলকরা ভালো করেছেন ঠিকই, কিন্তু তাদের চেয়েও বেশি ভালো করেছেন আফ্রিদি-হাফিজরা। এমনকি নিরীহ দর্শন অফ স্পিনার শোয়েব মালিকও গতকাল মনের মতো পিচ পেয়ে ভয়ানক হয়ে উঠেছিলেন।
তবে ম্যাচ হারলেও বোলার সাকিব নিজেকে ঠিকই সফল প্রমাণ করেছেন। আক্রমণে এসেই ইমরান ফারহাতের উইকেটটি তুলে নিলেন। দ্বিতীয় ওভারে দিলেন মাত্র ৩ রান। আর সাকিবের তৃতীয় ওভারকে (ইনিংসের নবম) তো বলা যায় 'ওভার অব দ্য ম্যাচ'। হাফিজকে নাচিয়ে বোল্ড করেন ওই ওভারে। শুধু সাকিব না, বাংলাদেশ দলের পার্টটাইম স্পিনার অলক কাপালিও দুর্দান্ত বোলিং করেন। নিজের দ্বিতীয় বলেই উমর আকমলকে বোকা বানান এ লেগি। এরপর পাকিস্তানের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান শহিদ আফ্রিদিকেও ফেরান তিনি। অবশ্য সাবিক-অলকের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্য স্পিনাররাও সফল হয়েছেন। নাসির-রাজ্জাকও বেশ ভালো বোলিং করেছেন। মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে দ্বিতীয় ওভার থেকেই বাঁ-হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাককে আক্রমণে আনেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
টি২০ ম্যাচে পাক স্পিনাররা যে বোলিং দেখালেন তাতে সফরের বাকি ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাজটা সত্যিই অনেক কঠিন হয়ে গেল। আর উইকেট বানানো নিয়ে আরও লেজেগোবরে অবস্থায় পড়ে গেল বিসিবি।
এদিকে বাংলাদেশে পা রাখার পরই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আলোচনার শেষ ছিল না। পাক বোলারদের ভয়ে উইকেট বানানো নিয়ে পর্যন্ত তালগোল পাকানোর অবস্থা বিসিবির। প্রথমত পেস উইকেট বানানো যাবে না। এমনিতেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পেস তেমন ভালো খেলতে পারেন না। তার ওপর পেস উইকেট পেলে উমর গুল, আইজাজ চিমা, সোহেল তানভিররা যে কী করবেন, তা আল্লাহ মালুম। তাহলে স্পিন উইকেট বানানোই বুদ্ধিমানের কাজ; কিন্তু সেখানে তো আরও বড় বিপদ। শহিদ আফ্রিদি, সাঈদ আজমলের মতো বিশ্বসেরা দুই স্পিনার আছেন পাকিস্তান দলে। তাদের সঙ্গে পার্টটাইমার মোহাম্মদ হাফিজও ইদানীং কম যাচ্ছেন না_ এবং হলোও তাই। বাংলাদেশের সাকিব-অলকরা ভালো করেছেন ঠিকই, কিন্তু তাদের চেয়েও বেশি ভালো করেছেন আফ্রিদি-হাফিজরা। এমনকি নিরীহ দর্শন অফ স্পিনার শোয়েব মালিকও গতকাল মনের মতো পিচ পেয়ে ভয়ানক হয়ে উঠেছিলেন।
তবে ম্যাচ হারলেও বোলার সাকিব নিজেকে ঠিকই সফল প্রমাণ করেছেন। আক্রমণে এসেই ইমরান ফারহাতের উইকেটটি তুলে নিলেন। দ্বিতীয় ওভারে দিলেন মাত্র ৩ রান। আর সাকিবের তৃতীয় ওভারকে (ইনিংসের নবম) তো বলা যায় 'ওভার অব দ্য ম্যাচ'। হাফিজকে নাচিয়ে বোল্ড করেন ওই ওভারে। শুধু সাকিব না, বাংলাদেশ দলের পার্টটাইম স্পিনার অলক কাপালিও দুর্দান্ত বোলিং করেন। নিজের দ্বিতীয় বলেই উমর আকমলকে বোকা বানান এ লেগি। এরপর পাকিস্তানের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান শহিদ আফ্রিদিকেও ফেরান তিনি। অবশ্য সাবিক-অলকের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্য স্পিনাররাও সফল হয়েছেন। নাসির-রাজ্জাকও বেশ ভালো বোলিং করেছেন। মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে দ্বিতীয় ওভার থেকেই বাঁ-হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাককে আক্রমণে আনেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
টি২০ ম্যাচে পাক স্পিনাররা যে বোলিং দেখালেন তাতে সফরের বাকি ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাজটা সত্যিই অনেক কঠিন হয়ে গেল। আর উইকেট বানানো নিয়ে আরও লেজেগোবরে অবস্থায় পড়ে গেল বিসিবি।
No comments