সমাবেশে বক্তারা-দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলছে

ব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের নেতারা বলেছেন, দেশে নতুন 'স্বৈরাচারী' শাসন চলছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। এজন্য দেশবাসীকে নিয়ে গণবিপ্লব ঘটানোর কথা বলেন তারা।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রাণপুরুষদের' সমাবেশ ও গণসঙ্গীত সন্ধ্যায় তৎকালীন ছাত্রনেতা, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী এবং


এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে বীরত্বের জন্য ২৫ ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
এ সমাবেশের কারণে প্রেস ক্লাবে প্রবেশে সদস্য ও গণমান্য ব্যক্তিরা চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। অনেক গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। প্রধান ফটকের বাইরের সড়কে গাড়ি পার্ক করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তারপরও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ অনেকে সমাবেশে যোগ দেওয়ায় প্রেস ক্লাবের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ ব্যাপারে ক্লাব সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ বলেন, নব্বইয়ের রাজপথের সৈনিকরা জড়ো হয়েছেন। আজ দেশে আরেক ধরনের স্বৈরাচারী শাসন চলছে। আওয়ামী লীগের শরিক এরশাদ পরম বন্ধু হয়ে কাজ করছেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক আতাউস সামাদ বলেন, সংসদ জাতির অধিকার পূরণে চরমভাবে ব্যর্থ। তাই স্বৈরাচার আরও বেশি শক্তি পাচ্ছে। দেশে আন্দোলন দানা বেঁধেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আজ যখন স্বৈরাচারবিরোধী সমাবেশ হচ্ছে, তখন সংসদে বিল পাস করে আমাদের প্রিয় ঢাকাকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে। জনগণের মতামত ছাড়া রাজধানীকে বিভক্ত করার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আওয়ামী লীগ দিনে রাজপথে ছিল এবং রাতে এরশাদের সগ্ধেগ বৈঠক করত। আজ শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের সঙ্গে মিলে নতুন আদলে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছেন।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে বিএমএর সভাপতি ডা. এমএ মাজেদ, সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, আমানুল্লাহ কবীর, শওকত মাহমুদ, সৈয়দ জাফর, ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, জিএস খায়রুল কবীর খোকন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শহীদ ডা. মিলনের মা সেলিনা আক্তার, তৎকালীন যুবদল নেতা বরকত উল্লা বুলু, ডা. আবদুল্লাহ মোঃ তাহের, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, যুবনেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস শহীদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী, দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.